কুমিল্লার নাঙ্গলকোট ছাত্র ফোরাম ঢাকার (এন.এস.এফ) উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এতে ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত নাঙ্গলকোটের বহু শিক্ষার্থী ও ঢাকাস্থ সুধীজনেরা উপস্থিত ছিলেন। ইফতার মাহফিল নাঙ্গলকোটের এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।

অনুষ্ঠানে মুহিব্বুল্লাহ আল হুসাইনীকে সভাপতি ও হোসনে ইয়াছিন আরাফাতকে সাধারণ সম্পাদক করে ২০২৫-২৬ সেশনের জন্য ছাত্র ফোরামের ৬৮ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। ছাত্র ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত এই কমিটি ঘোষণা করেন।

সদ্য নির্বাচিত সভাপতি মুহিব্বুল্লাহ আল হুসাইনীর সভাপতিত্বে ও সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসানের পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ছাত্র ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা, (কুমিল্লা-১০) নাঙ্গলকোট, সদর দক্ষিণ, লালমাই উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, যুব নেতা মুহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে কৃতি শিক্ষার্থী ও গুণীজন সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন ঙ গলক ট আর ফ ত অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ভিনগ্রহের বস্তু নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ইলন মাস্ক

গত জুলাই মাসে শনাক্ত হওয়া রহস্যময় ‘৩আই/অ্যাটলাস’ নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুর পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। আমাদের সৌরজগতের মধ্যে থাকা বস্তুটি এমন আচরণ করছে, যা বিজ্ঞানীরা আগে কখনো দেখেননি। কারও ধারণা এটি ধূমকেতু, আবার কারও মতে ভিনগ্রহ থেকে আসা মহাকাশযান। উৎস ও পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে না পারলেও বস্তুটি পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয় বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানী অভি লোব অভিযোগ করেছেন, নাসা বস্তুটির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করছে। বিশাল আকারের অতিদ্রুতগামী মহাজাগতিক বস্তুটি অস্বাভাবিক রাসায়নিক উপাদান নিঃসরণ করছে, যা বিজ্ঞানের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। অনেকের ধারণা, ৩আই/অ্যাটলাস কোনো কৃত্রিম উৎস থেকে তৈরি হতে পারে। এবার এই বিতর্কে নাম লিখিয়েছেন মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক।

জনপ্রিয় মার্কিন পডকাস্ট দ্য জো রোগান এক্সপেরিয়েন্সে ইলন মাস্ক ৩আই/অ্যাটলাস নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু সম্পর্কে নিজের ভাবনা প্রকাশ করেছেন। বস্তুটি কোনো ভিনগ্রহের মহাকাশযান হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইলন মাস্ক বলেন, ‘আপনি যদি এটিকে সম্পূর্ণ নিকেল দিয়ে তৈরি করেন, তবে তা হবে একটি অত্যন্ত ভারী মহাকাশযান। এটি এমন একটি যান হতে পারে, যা একটি মহাদেশকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। তার চেয়েও খারাপ কিছু ঘটাতে পারে। যদি আমি ভিনগ্রহের কোনো প্রমাণ সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে কথা দিচ্ছি আপনার অনুষ্ঠানে আসব। আর এখানেই তা প্রকাশ করব।’

অভি লোবের দাবি, আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুটি পৃথিবীর ওপর নজরদারি করতে পাঠানো ভিনগ্রহের কোনো মহাকাশযান হতে পারে। অস্বাভাবিক লেজযুক্ত বস্তুটি প্রতি সেকেন্ডে চার গ্রাম নিকেল নিঃসরণ করছে; যদিও সেখানে কোনো লোহার উপস্থিতি নেই। ধূমকেতুর ক্ষেত্রে এমন আচরণ আগে দেখা যায়নি।

জো রোগান তাঁর আলোচনায় ধূমকেতুর রহস্যময় বৈশিষ্ট্যের ওপর জোর দেন। ধূমকেতুর গ্যাসের মেঘে নিকেলের উপস্থিতি উল্লেখ করেন। এই ধাতু পৃথিবীতে প্রধানত শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত সংকর ধাতুতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে ইলন মাস্ক নিকেলের উপস্থিতির একটি পার্থিব ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, অনেক ধূমকেতু ও গ্রহাণু প্রাথমিকভাবে নিকেল দিয়ে তৈরি। পৃথিবীতে যেখানে নিকেলখনি দেখা যায়, সেখানে আসলে অতীতে নিকেলসমৃদ্ধ কোনো গ্রহাণু বা ধূমকেতু আঘাত করেছিল।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ