দোল পূর্ণিমায় শেষ হলো একদিনের লালন স্মরণোৎসব
Published: 14th, March 2025 GMT
‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার লালন মাজার এলাকায় দোল পূর্ণিমায় একদিনের লালন স্মরণোৎসব শেষ হয়েছে।
এবারে পবিত্র রমজানের কারণে একদিনের উৎসব উদযাপনের প্রস্তুুতি নিয়েছিলো লালন একাডেমি ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে কুষ্টিয়ার লালন একাডেমি মিলনাতায়নে আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ স্মরণোৎসবের উদ্বোধন করা হয়। পরে সন্ধ্যায় বাল্যসেবা এবং রাতে শুধু সাধু সঙ্গের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ উৎসব।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন ও লালন একাডেমি আয়োজিত এ আলোচনা সভায় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, জেলা বিএনপির আহবায়ক কুতুব উদ্দিন আহম্মেদ, সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল মামুন সাগর, কুষ্টিয়া জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তারিকুল হক তারিক, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়া শাখার আহবায়ক হাসিবুর রহমান।
আলোচক হিসাবে আলোচনা করেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড.
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন লালন আঁখড়ার খাদেম ফকির মহম্মদ আলী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম মিকাইল ইসলাম।
বাউল সম্রাট লালন ফকির তার জীবদ্দশায় প্রতিবছর ভক্ত ও অনুসারীদের নিয়ে দোল পূর্ণিমা তিথিতে লালন মাজারে স্মরণোৎসব পালন করতেন। সেই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর দোল পূর্ণিমায় লালন ভক্ত, অনুসারী ও বাউলরা অনুষ্ঠান উদযাপন করে আসছেন।
ঢাকা/কাঞ্চন/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স মরণ ৎসব
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।