চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপের মোট আটটি দল অংশ নিবে। তার মধ্যে ছয়টি দল আগেই নিশ্চিত হয়েছে। দলগুলো হলো- অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, নিউ জিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা।

আরও দুটি দল বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব খেলে আসবে। আগামী ৯ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিল ২০২৫ নারী বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে দুটি স্থানের জন্য লড়বে মোট ছয়টি দল। তার মধ্যে আইসিসির পূর্ণ সদস্য পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ড রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে স্কটল্যান্ড ও থাইল্যান্ড।

আজ শুক্রবার (১৪ মার্চ, ২০২৫) বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সূচি প্রকাশ করেছে আইসিসি। প্রথম দিনেই দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। মুখোমুখি হবে পাকিস্তান-আয়ারল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ-স্কটল্যান্ড। পরের দিন মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড।

আরো পড়ুন:

৯ বছর পর প্যারাগুয়ের কাছে ব্রাজিলের হার

অস্ট্রেলিয়া এবার ২ গোলের বেশি দিতে পারেনি বাংলাদেশকে

দিনে ও রাতে মিলিয়ে বাছাইপর্বের সবগুলো ম্যাচ লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম ও লাহোর সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এলসিসিএ) মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের সূচি:

৯ এপ্রিল (বুধবার):
পাকিস্তান বনাম আয়ারল্যান্ড – গাদ্দাফি স্টেডিয়াম (দিন)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম স্কটল্যান্ড – এলসিসিএ (দিন)।

১০ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার):
থাইল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ – এলসিসিএ (দিন)।

১১ এপ্রিল (শুক্রবার):
পাকিস্তান বনাম স্কটল্যান্ড – এলসিসিএ (দিন)।
আয়ারল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ – গাদ্দাফি স্টেডিয়াম (দিন)।

১৩ এপ্রিল (রবিবার):
স্কটল্যান্ড বনাম থাইল্যান্ড - এলসিসিএ (দিন)
বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড – গাদ্দাফি স্টেডিয়াম (দিবারাত্রি)

১৪ এপ্রিল (সোমবার):
পাকিস্তান বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ – গাদ্দাফি স্টেডিয়াম (দিবারাত্রি)।

১৫ এপ্রিল (মঙ্গলবার):
থাইল্যান্ড বনাম আয়ারল্যান্ড – এলসিসিএ (দিন)।
স্কটল্যান্ড বনাম বাংলাদেশ – গাদ্দাফি স্টেডিয়াম (দিবারাত্রি)।

১৭ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার):
বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ – এলসিসিএ (দিন)।
পাকিস্তান বনাম থাইল্যান্ড – গাদ্দাফি স্টেডিয়াম (দিবারাত্রি)।

১৮ এপ্রিল (শুক্রবার):
আয়ারল্যান্ড বনাম স্কটল্যান্ড – গাদ্দাফি স্টেডিয়াম (দিবারাত্রি)।

১৯ এপ্রিল (শনিবার):
পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ – এলসিসিএ (দিবারাত্রি)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম থাইল্যান্ড – গাদ্দাফি স্টেডিয়াম (দিবারাত্রি)।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ বক প ব ছ ই প ক স ত ন বন ম ব ছ ইপর ব র স স কটল য ন ড য ন ড বন ম স ট ইন ড জ এলস স এ

এছাড়াও পড়ুন:

‘লিচুর বাগানে’ যে কারণে ‘পিরিতের বেড়া’ দিতে হয়

‘তাণ্ডব’ সিনেমার গান ‘লিচুর বাগানে’ প্রকাশের পর রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে। কফি শফ থেকে বাস, মেট্রোরেল আশপাশে কান পাতলে গানটা শোনা যাচ্ছে। কেউ না কেউ শুনছেন। সামাজিক মাধ্যমের স্টোরি ও রিলসেও গানটি ভেসে বেড়াচ্ছে। চরকি ও এসভিএফের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত গানটির আজ পর্যন্ত (১২ এপ্রিল ২০২৫) ভিউ হয়েছে যথাক্রমে ১২ মিলিয়ন ও ৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন।

উচ্ছ্বসিত অনেক দর্শক গানটি নিয়ে মন্তব্যও করেছেন। তাহসিন নামের এক শ্রোতা লিখেছেন, ‘গানটির প্রতিটি সুর, দৃশ্য ও পরিবেশনায় বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অপূর্ব রূপ ফুটে উঠেছে। যাত্রাপালার ফিল্মের আবহে তৈরি এই গানটি যেন গ্রামীণ বাংলার প্রাণস্পন্দন তুলে ধরেছে। লোকেশন থেকে শুরু করে কস্টিউম, প্রতিটি ডিটেইলে আছে নিখুঁত যত্ন।’

গানটি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বন্ধুদের মধ্যে খুনসুটিও চলছে। বন্ধুকে মেনশন দিয়ে কেউ যেমন প্রশ্ন করছেন, ‘কী রে, বেড়া ডিঙাতে পারলি?’ আবার কেউ জিজ্ঞেস করছেন বল তো, ‘“লিচুর বাগানে” কেন “পিরিতের বেড়া” দিতে হয়?’

প্রশ্নটির উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা যাক। শুরুতেই ‘লিচুর বাগানে’ গানটি দিয়ে আলোচিত, ‘কে এই ছত্তার পাগলা’ শীর্ষক প্রথম আলোর প্রতিবেদন থেকে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক। গবেষক সরোজ মোস্তফার মতে ‘কে দিল পিরিতের বেড়া লিচুরও বাগানে’ পঙ্‌ক্তির রচয়িতা ও সুরকার ছত্তার পাগলা। তবে সংগীতগবেষক গৌতম কে শুভর মত ভিন্ন। তাঁর মতে, ‘এটি মূলত প্রচলিত ঘেটু গান। “কে দিল পিরিতির বেড়া লিচুর বাগানে?” অংশটি মূল গানের অংশ। ছত্তার পাগলা নিজের মতো করে এর সঙ্গে কথা সংযোজন করেছেন। নেত্রকোনায় ছত্তার পাগলার লেখা রূপটিই বিখ্যাত হয়েছে।’ ২০১৪ সালের এপ্রিলে মারা গেছেন ছত্তার পাগলা। জীবদ্দশায় রচনা ও সুরারোপ করেছেন কয়েক শ গান। মৃত্যুর বছর তিনেক আগে তাঁর কাছ থেকে গানটি শুনে হাতে লিখে রেখেছিলেন আল মামুন চৌধুরী।

আল মামুন চৌধুরীর লেখা অনুযায়ী গানটির কথা:
কে দিল পিরিতের বেড়া, লিচুরও বাগানে
লিচুরও বাগানে গো সই…লিচুরও বাগানে …(ঐ)
পাখি খাইছ না লিচু, বন্দে খাইবো
বন্দে লিচু খাইয়া, খুশি হইবো
আমার কাছে আইসা কইবো
কত শান্তি দিবো আমার মনেপ্রাণে (ঐ)
ছোট ছোট লিচুগুলি, বন্দে তুলে আম্বো তুলি
বন্দে দেয় গো আমার মুখে,
আমি দিতে চাই বন্ধুর মুখের পানে…(ঐ)
মিষ্টি লিচু খাইয়া বন্দে, বাঁশি বাজায় মন আনন্দে
আমার মনে লাগে সন্দে বন্ধু সম্ভব জাদু জানে (ঐ)
বাঁশি হাতে পলায় মালা, তারে চায় ছত্তার পাগলা,
করব লইয়া উলামেলা, (২) প্রাণবন্ধুর সনে…(ঐ)

সরল অর্থে ‘বেড়া’ হচ্ছে  প্রতিবন্ধকতা তথা বাধা তৈরির উপকরণ। আর ‘পিরিতের বেড়া’ মানে ভালোবাসায় বাধা। কিন্তু ভালোবাসার এই বাধা তথা প্রতিবন্ধকতা ‘লিচুর বাগানে’ কেন? কবিতা তথা গানে অর্থের তারতম্য অর্থের অনুগত না হয়ে বোধ কিংবা ভাবনার পরবশে প্রস্ফুটিত হয়। ব্যক্তিবিশেষে তা ভিন্ন ভিন্ন অর্থ লাভ করে, ভিন্ন ভিন্ন মূল্য পায়।

আরও পড়ুন‘লিচুর বাগানে’ গানটি দিয়ে আলোচিত, কে এই ছত্তার পাগলা ০৬ জুন ২০২৫

‘কে দিল পিরিতের বেড়া, লিচুরও বাগানে’ একটি ‘ঘাটু গান’ বা ‘ঘেটু গান’। এই গান প্রসঙ্গে জানা যায়, এই গানের অন্যতম অনুষঙ্গ ছিল নৃত্য। অল্প বয়সী একটি ছেলেকে মেয়ে সাজিয়ে তার নৃত্যের মধ্য দিয়ে ঘেটু গান পরিবেশিত হতো। সঙ্গে থাকত ঢোল, হারমোনিয়াম, বাঁশি ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র। কয়েকটি ‘ঘেটু গানে’র দৃষ্টান্ত দেখা যাক।
(১)
‘তুই আমারে চিনলে নারে
আমি তো রসের কমলা।
বন্ধুর বাড়ি আমার বাড়ি
মধ্যে নলের বেড়া।’
(২)
ঘুমাইলা ঘুমাইলারে বন্ধু
পান খাইলায়না
এক বালিশে দুইটি মাথা
সুন্দর কইরা কওরে কথা।
গানগুলো থেকে উপলব্ধি করতে কষ্ট হয় না যে ‘ঘেটু গানে’ যেমন ভাষার সারল্য আছে, তেমনিভাবে রূপকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে যাপিত জীবনের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে থাকা নানা উপকরণ। আর এ ক্ষেত্রে গান রচনার সময় রচয়িতা তাঁর আশপাশ থেকেই গান নির্মাণের উপকরণগুলো যে নিয়ে থাকবেন, সেই ধারণাও পাওয়া যায়। ‘লিচুর বাগানে’ গানের ক্ষেত্রেও বোধ করি এটা ঘটেছে। তাই এই গানে যেমন ‘লিচু বাগানে’র কথা আছে, একইভাবে আছে ‘পাখি’, ‘বাঁশি’ ও ‘লিচু’র কথাও। পাখিকে লিচু না খাওয়ার অনুরোধ করলেও পাখি যেন খেতে না পারে সে কারণেই যে বেড়া দেওয়া হয়েছে; সেই ব্যথাও গানটিতে ফুটে উঠেছে। সব মিলিয়ে ‘লিচুর বাগান’ শেষ পর্যন্ত ‘লিচুর বাগানে’ সীমাবদ্ধ থাকেনি। হয়ে উঠেছে ভালোবাসার প্রতীক।

কথায় আছে, ভালোবাসা জয় করে নিতে হয়। জিতে নেওয়ার মধ্যেই আছে অপার আনন্দ। ভালোবাসায় প্রতিবন্ধকতা থাকাটা মোটেও দোষের নয়। বরং বাধা না থাকাটাই যেন আশ্চর্যের। একইভাবে ভালোবাসা জিতে নেওয়ার পরও পেয়ে গেছি বলে হাল ছেড়ে দিলে চলে না। ‘লিচুর বাগান’কে এ ক্ষেত্রে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করলে, ‘লিচুর বাগানে’ ‘পিরিতের বেড়া’ তথা ভালোবাসার বেষ্টনী দেওয়াটাই যুক্তিযুক্ত। কেননা ‘ভালোবাসা’কে ভালোবাসা দিয়েই আগলে রাখতে হয়। প্রবল যত্নে আঁকড়ে রাখতে হয়। যেন কোনো কৌতূহলেই তা দুলে না ওঠে, হারিয়ে না যায়।

আরও পড়ুনসাবিলা তো ‘লিচুর বাগানে’ দিয়ে কী যে আগুন লাগিয়ে দিল...০৫ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সেরা
  • একঝলক (১৫ জুন ২০২৫)
  • ‘লিচুর বাগানে’ যে কারণে ‘পিরিতের বেড়া’ দিতে হয়
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৫ জুন ২০২৫)
  • অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে আরও যাঁরা পেয়েছেন ‘দ্য কিংস ফাউন্ডেশন পুরস্কার ২০২৫’
  • সৌদি আরবের ৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ, আবেদনের শেষ তারিখ আজ 
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৪ জুন ২০২৫)
  • মুহাম্মদ ইলিয়াসের তাবলিগি দর্শন
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে মাস্টার্স, ক্লাস শুক্র ও শনিবার
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৩ জুন ২০২৫)