চা বিক্রির টাকায় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার সেই আব্দুল খালেক (৯৮) মারা গেছেন। শুক্রবার বেলা ১টা ১৫ মিনিটে তার নিজ বাড়ি বরুড়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের নলুয়া চাঁদপুর (ডেবপুর) গ্রামে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান তিনি।

তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার প্রতিষ্ঠিত নলুয়া চাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো.

শাহ আলম।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল খালেক বরুড়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের নলুয়া চাঁদপুর গ্রামের মাক্কু মিয়ার ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। শুক্রবার অবস্থার অবনতি হয়ে মারা যান। 

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ১ জানুয়ারি চা বিক্রির টাকায় কেনা ৫২ শতক জমি দান করে স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন আব্দুল খালেক। নলুয়া চাঁদপুর উচ্চবিদ্যালয় নামের ওই স্কুলটি ২০১৯ সালে এমপিওভুক্ত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টির জায়গার পরিমাণ ৯৩ দশমিক ৫০ শতক। বিয়ের কয়েক বছর পর তার স্ত্রী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। আব্দুল খালেকের কোনো সন্তান ছিল না।

জীবিত থাকতে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ও নানান বক্তব্যে আব্দুল খালেক বলতেন, এই এলাকায় স্কুল ছিল না। অন্ধকার ছিল। আলো ছড়ানোর জন্যই স্কুল দিয়েছি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মরহুম আবদুল খালেক সমাজের জন্য অনুকরণীয়। তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক ছিলেন না। চা দোকানের মালিক থেকে বিদ্যালয়ের জন্য জমি দান করা সত্যি আমাদের বিমোহিত করেছে। আবদুল খালেকের করা এ স্কুল প্রত্যন্ত এলাকায় আলো ছড়াচ্ছে। তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকার রাস্তায় টেসলা, রোলস–রয়েস, পোরশেসহ ২৫০০ বিলাসবহুল গাড়ি

রাজধানী ঢাকার রাস্তায় চলে বিশ্বের আলোচিত টেসলা গাড়ি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে ছয়টি টেসলা গাড়ির নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে। শুধু টেসলা নয়; রোলস-রয়েস, ফেরারি, বেন্টলি, পোরশের মতো বিলাসবহুল অভিজাত গাড়ি এখন ঢাকার রাস্তার বুক চিড়ে চড়ে বেড়ায়।

অন্যদিকে রেঞ্জ রোভার, বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো অভিজাত গাড়িও ঢাকার রাস্তায় অহরহ দেখা যায়। এ গাড়িগুলো যেন দেশের ধনীদের আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে গেছে।

সব মিলিয়ে দেশে এখন আড়াই হাজারের বেশি এমন বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি আছে। এই গাড়িগুলোর দাম ১ কোটি থেকে ১২ কোটি টাকা। দেশের একশ্রেণির অতিধনী ব্যবসায়ীরা এসব বিলাসবহুল গাড়ি চালান।

গাড়ি ব্যবসায়ীরা জানান, এমন বিলাসবহুল দামি গাড়ির গ্রাহকের সংখ্যা দেড় থেকে দুই হাজারের মতো। কেউ কেউ একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন।

দেশে বিলাসবহুল গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ ও আউডি (অনেকে অডি বলেন) ব্র্যান্ডের গাড়ি। রাজধানীর ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামের রাস্তায় এমন দামি গাড়ি মাঝেমধ্যে দেখা যায়।

এক দশক আগেও রাস্তায় বিলাসবহুল গাড়ি অনেক কম দেখা যেত। গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারা ও বসুন্ধরার মতো অভিজাত এলাকায় এখন প্রায়ই দেখা মিলে রেঞ্জ রোভার, মার্সিডিজ ও বিএমডব্লিউর মতো বিলাসবহুল গাড়ি। সাধারণত রাতের দিকে অভিজাত এলাকায় এমন গাড়ির আনাগোনা বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে গত ১০ বছরে আড়াই হাজারের বেশি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছরে দেশে শুধু রোলস-রয়েস ব্র্যান্ডের গাড়ি আমদানি হয়েছে ১২টি। আর গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষে (বিআরটিএ) ৮টি রোলস-রয়েস নিবন্ধিত হয়েছে।

গত জুলাই মাসে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পরে রোলস-রয়েসের ‘স্পেক্টার’ মডেলের গাড়ি। যার দাম ফিচারভেদে প্রায় ১১ থেকে ১২ কোটি টাকা। তখন এই দামি গাড়ি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়।

টেসলা ব্র্যান্ডের ‘মডেল এস’ গাড়ি

সম্পর্কিত নিবন্ধ