বন্দরে এক পোশাক তৈরি কারখানায় দুর্র্ধষ ডাকাতি ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সভাপতির ব্যক্তিগত গাড়ি চালক শিশির (৪৫) সহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত বুধবার ভোরে মদনপুর ইউপির দেওয়ানবাগ এলাকায় অবস্থিত আল ফাহাদ ট্রেডলাইন্স নামে  এক পোশাক তৈরি  কারখানায় এ  দুর্র্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে। গ্রেপ্তাকৃত  আবুল বাশার ওরফে বাদশা(৪০) মুরাদপুর গ্রামের কাইয়ুম মিয়ার ছেলে ও মাহবুব আলম শিশির দেওয়ানবাগ গ্রামের শহিদুল ইসলাম ওরফে শহীদ  ড্রাইভারের ছেলে।

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, দেওয়ানবাগ এলাকায় একটি গার্মেন্টসের
পিছনের দরজা দিয়ে ১০/১২ জনের একটি মুখোশদারি ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে সিকিউরিটি গার্ডদের জিম্মি করে।

গার্ডদের  হাত পা বেধে  ভল্ট, লকার ভেঙ্গে  নগদ ১৩ লক্ষ ২০ টাকা মোট ২২ লক্ষ টাকার মালামাল লুটে  নিয়ে যায়।  এ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দেওয়ানবাগ ও মুরাদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।  তাদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যহত রয়েছে।

বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ বলেন, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় থাকার কারণে শিশিরকে চাকরি থেকে বিতারিত করে দেওয়া হয়েছে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

শিশু ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা 

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার উত্তমপুর গুচ্ছগ্রাম এলাকায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে আদর্শগ্রাম নূরানী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেনের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকালে মাদ্রাসায় কোচিংয়ে পড়তে গেলে শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন ওই শিক্ষার্থীর উপর যৌন নির্যাতন চালান বলে জানিয়েছেন শিশুটির মা।

শিশুটির পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে বৃষ্টি হওয়ায় মাদ্রাসার কোচিংয়ে মাত্র চারজন শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়। তাদের মধ্যে দুইজনকে ছুটি দিয়ে দুইজনকে মাদ্রাসায় রেখে দেন শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন। তাদের মধ্যে একজন ছেলে ও ভুক্তভোগী ছিল মেয়ে। শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন ছেলেটিকে কৌশলে মাদ্রাসার রুম ঝাড়ু দিতে পাঠিয়ে দেন। মেয়েটিকে তার কোলের উপর বসিয়ে অশালীন আচরণ করেন। মাদ্রাসার পাশের ভবনের কক্ষ থেকে একটি মেয়ে সেই দৃশ্য দেখে ফেলেন।  

আরো পড়ুন:

অপারেশনের পর শিশুর মৃত্যু: তদন্ত কমিটি গঠন, থানায় মামলা

বানরের সহযোগিতায় ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচলো শিশু

পরে শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন ওই শিশুকে মাদ্রাসায় তার বিশ্রাম কক্ষে নিয়ে যৌন নির্যাচন চালান। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে তাকে ট্যাবলেট খাইয়ে দিয়ে মুখের ভিতরে কাপড় ঢুকিয়ে আবারো যৌন নির্যাচন চালান। এরপর কক্ষটি তালা দিয়ে অন্যত্র চলে যান। শিশুটি চিৎকার করলে অপর শিক্ষার্থী তালা খুলে তাকে বাইরে বের করে আনে।

এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে মাদ্রাসায় ভাঙচুর চালায়। এর আগেও শাহাদাৎ হোসেন কয়েকবার শিশু শিক্ষার্থীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান। 

শিক্ষক শাহাদাৎ হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাকে ফাঁসাতে এবং প্রতিষ্ঠানটি শেষ করে দেয়ার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে।

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। 
 

ঢাকা/অলোক/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাবা-মেয়ের কাছ থেকে টাকা ছিনতাই, গ্রেপ্তার ২
  • সিংড়ার ভ্যানচালক জিহাদ হত্যার রহস্য উদঘাটন, ২ বন্ধু গ্রেপ্তার
  • শিশু ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা