বন্দরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, বিএনপি নেতার গাড়ি চালক গ্রেপ্তার
Published: 15th, March 2025 GMT
বন্দরে এক পোশাক তৈরি কারখানায় দুর্র্ধষ ডাকাতি ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সভাপতির ব্যক্তিগত গাড়ি চালক শিশির (৪৫) সহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত বুধবার ভোরে মদনপুর ইউপির দেওয়ানবাগ এলাকায় অবস্থিত আল ফাহাদ ট্রেডলাইন্স নামে এক পোশাক তৈরি কারখানায় এ দুর্র্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে। গ্রেপ্তাকৃত আবুল বাশার ওরফে বাদশা(৪০) মুরাদপুর গ্রামের কাইয়ুম মিয়ার ছেলে ও মাহবুব আলম শিশির দেওয়ানবাগ গ্রামের শহিদুল ইসলাম ওরফে শহীদ ড্রাইভারের ছেলে।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, দেওয়ানবাগ এলাকায় একটি গার্মেন্টসের
পিছনের দরজা দিয়ে ১০/১২ জনের একটি মুখোশদারি ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে সিকিউরিটি গার্ডদের জিম্মি করে।
গার্ডদের হাত পা বেধে ভল্ট, লকার ভেঙ্গে নগদ ১৩ লক্ষ ২০ টাকা মোট ২২ লক্ষ টাকার মালামাল লুটে নিয়ে যায়। এ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দেওয়ানবাগ ও মুরাদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যহত রয়েছে।
বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ বলেন, চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় থাকার কারণে শিশিরকে চাকরি থেকে বিতারিত করে দেওয়া হয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
মার্চে নির্যাতনের শিকার ৪৪২ নারী
গত মার্চে ৪৪২ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণ করা হয়েছে ১২৫ কন্যাসহ ১৬৩ জনকে। ১৮ কন্যাসহ ৩৬ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। দুই কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। দুই কন্যা ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছে। এছাড়া ৫৫ কন্যাসহ ৭০ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে সাম্প্রতিক নারীর মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ তথ্য জানান। এর আয়োজন করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে মোট ১৮৯ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ৩০ কন্যাসহ ৪৮ জন। তার মধ্যে তিন কন্যাসহ ১১ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এক কন্যাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
জানুয়ারিতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে মোট ২০৫ নারী ও কন্যাশিশু। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৩৩ কন্যাসহ ৪৯ জন। তার মধ্যে ১৪ কন্যাসহ ২০ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এক কন্যাসহ দুইজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া দুইজনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
মডারেটরের বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৫ নম্বর ধারা জেন্ডার সমতা। এটি উপেক্ষা করা কোনো রাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব নয়।
সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, নারী আন্দোলনের অন্যতম দাবি অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন, রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ, সংসদে এক-তৃতীয়াংশ আসন ও সরাসরি নির্বাচন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদা রেহানা বেগম প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় অ্যাডভোকেসি ও নেটওয়ার্কিং পরিচালক জনা গোস্বামী।
পুলিশ সদরদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মার্চে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে দুই হাজার ৫৪টি। এর আগে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চে ১৩২টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) জানায়, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২৯৯ কন্যাশিশু।