ঢাকা ছাড়ার আগে প্রধান উপদেষ্টাকে ফোনে গুতেরেসের বিদায়ী শুভেচ্ছা
Published: 16th, March 2025 GMT
চার দিনের সফর শেষে এরইমধ্যে ঢাকা ছেড়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস। রবিবার (১৬ মার্চ) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।
ঢাকা ছাড়ার আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন জাতিসংঘ মহাসচিব। এ সময় তারা বিদায়ী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এর পরপরই তিনি বাংলাদেশ ত্যাগ করেন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান প্রধান উপদেষ্টার পরিবেশ বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকালে জাতিসংঘের মহাসচিব ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.
সফরের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন গুতেরেস। এ সময় তিনি রোহিঙ্গাদের সাথে ইফতারে অংশ নেন। সফরের তৃতীয় দিন শনিবার সকালে জাতিসংঘ কান্ট্রি টিম বাংলাদেশের সাথে একটি বৈঠকে অংশ নেন। এরপর দুপুরে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক করেন। পরে তরুণ সমাজের প্রতিনিধিদের সাথেও বৈঠক করেন। এদিন বিকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনের পর অংশ নেন ইফতার ও আর্লি ডিনার সেশনে।
এ সময় বাংলাদেশকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন অ্যান্টোনিও গুতেরেস। পাশাপাশি বাংলাদেশের আতিথেয়তায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেন তিনি।
ঢাকা/হাসান//
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের
ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।