মাঠের বিরাট কোহলি কতটা আক্রমণাত্মক স্বভাবের, তা সবার জানা। বিশেষ করে ফিল্ডিংয়ের সময় তাঁকে বরাবরই আগ্রাসী মেজাজে দেখা যায়। প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে তিনি মাঠে কম কাণ্ড-কারখানার জন্ম দেননি।

অধিনায়ক না হয়েও কখনো কখনো নিজেই ফিল্ডিং সাজিয়ে দেওয়া, কোনো সতীর্থ বাজে ফিল্ডিং করলে চোখরাঙানি দেওয়া, কখনো ‘ফেক ফিল্ডিং’ করা, উইকেটের পর বুনো উদ্‌যাপন! এ ছাড়া প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে চাপে রাখতে অনবরত স্লেজিং করে যাওয়া, এমনকি বাউন্ডারির কাছে ফিল্ডিংয়ের সময় প্রতিপক্ষ সমর্থকদের সঙ্গে ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ করে বিতর্কের জন্ম দেওয়া—কী করেননি কোহলি? সর্বশেষ বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে তো অস্ট্রেলিয়ার তরুণ ওপেনার স্যাম কনস্টাসকে কাঁধ দিয়ে ধাক্কা মেরে জরিমানাও গুনেছেন।

মাঠে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কোহলি যেমন সমালোচিত হয়েছেন, তেমনি যুদ্ধংদেহী মনোভাবের কারণে প্রশংসিতও হয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, মাঠের বাইরে কোহলিকে শান্তশিষ্ট মনে হলেও ফিল্ডিংয়ের সময় কেন এমন আগ্রাসী থাকেন? উত্তরটা ৩৬ বছর বয়সী তারকা নিজেই দিয়েছেন।

মাঠে নামলেই কোহলি আক্রমণাত্মক স্বভাবের হয়ে ওঠেন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে

১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।

এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ