দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন ও তাঁর ছেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের লিভ টু আপিল (আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন) মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এই মামলায় মীর নাসিরের ১৩ বছরের সাজা এবং তাঁর ছেলে মীর হেলালের তিন বছরের সাজা স্থগিত করা হয়েছে।

আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো.

আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মীর নাসির ও মীর হেলালের করা পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) মঞ্জুর করে এ আদেশ দেওয়া হয়।

আদালতে মীর নাসির ও মীর হেলালের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী। দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

আদেশের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, মীর নাসিরের ১৩ বছর এবং মীর হেলালের তিন বছরের সাজা স্থগিত করা হয়েছে। তাঁদের করা লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে আপিলের ওপর শুনানি হবে।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মীর নাসির ও তাঁর ছেলে মীর হেলালের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ গুলশান থানায় দুদক মামলা করে। এ মামলায় বিশেষ জজ আদালত একই বছরের ৪ জুলাই মীর নাসির উদ্দিনকে ১৩ বছর এবং মীর হেলালকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন। হাইকোর্ট ২০১০ সালের ১০ আগস্ট মীর নাসিরের এবং একই বছরের ২ আগস্ট মীর হেলালের সাজা বাতিল করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়ে আপিল আবেদন করে দুদক। এর শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ৩ জুলাই আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করেন। একই সঙ্গে বিচারিক আদালতের সাজার বিরুদ্ধে বাবা–ছেলের করা পৃথক আপিল হাইকোর্টে পুনরায় শুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়।

আপিলের ওপর পুনরায় শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন। এই রায়ে মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১৩ বছরের সাজা এবং মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনকে দেওয়া তিন বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে তাঁরা পৃথক লিভ টু আপিল করেন। শুনানি নিয়ে এই লিভ টু আপিল মঞ্জুর করে সাজা স্থগিত করে আদেশ দেওয়া হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম র ম হ ম মদ ত ন বছর র বছর র স জ ১৩ বছর

এছাড়াও পড়ুন:

মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসানো যাবে না: হাইকোর্ট

আসন্ন কোরবানির ঈদে রাজধানীর বনশ্রীর মেরাদিয়ায় গরুর হাট বসানো যাবে না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (২৮ এপ্রিল) এ আদেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রিটকারীর আইনজীবীর জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত ২১ এপ্রিল রাজধানীর বনশ্রীর মেরাদিয়ায় পশুট হাট বসানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। এ বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন বনশ্রী এলাকার বাসিন্দা শাহাবুদ্দিন সরকার। রিটের শুনানি নিয়ে গতকাল হাইকোর্ট মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসানোর ইজারা বিজ্ঞপ্তি তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। পাশাপাশি রুল জারি করেন।

আরেক আইনজীবী খুররম শাহ মুরাদ বলেছেন, বনশ্রী আবাসিক এলাকা। বনশ্রীর মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসলে এ হাট পুরো আবাসিক এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ওই এলাকার বাসিন্দারা। এ কারণে এলাকাবাসীর পক্ষে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছিল।

ঢাকা/এম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
  • শ্রম আদালতে ঝুলছে ২২ হাজার মামলা
  • মাওলানা রইস হত্যার বিচার দাবি জানিয়ে ১০২ নাগরিকের বিবৃতি
  • বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও কিশোর গ্যাংয়ের মামলায় আসামিপক্ষে সরকারি আইনজীবীদের না দাঁড়ানোর নির্দেশ
  • চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহার, রোববার ফের শুনানি
  • চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন, শুনানি হতে পারে রোববার
  • আনিসুল-সালমান-মামুন রিমান্ডে, নতুন মামলায় গ্রেপ্তার আতিক
  • আবারও নিরপরাধ দাবি হিটু শেখের, ভিন্ন কথা সাক্ষীদের
  • কিউআর কোডসহ অনলাইন যাচাই ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ নিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ
  • মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসানো যাবে না: হাইকোর্ট