শরীফের সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
Published: 17th, March 2025 GMT
মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ থাকায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী আবু শাহাদাৎ মো. শরীফের কুমিল্লার সাড়ে ৫১ শতক জমির ওপর নির্মিত রুপায়ন দেলোয়ার টাওয়ায় নামে একটি বেইসমেন্ট, একটি সেমি বেইসমেন্ট ও ১৩ তলার বাণিজ্যিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় ১২২ বর্গফুটের দোকান জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তার নামে ৩টি ব্যাংক হিসাব ও ৬টি বিও হিসাব এবং তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তারের একটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৭ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
দুদকের পক্ষে সহকারী পরিচালক মো.
আবেদনে বলা হয়, আবু শাহাদাৎ মো. শরীফের বিরুদ্ধে পদ-পদবি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রভাব খাটিয়ে অন্য কোনো উৎস থেকে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ নিজ নামে ও তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার মজুমদারের নামে ব্যাংক হিসাবে আনায়ন করে বৈধতা প্রদানের চেষ্টা গ্রহণপূর্বক ষ্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেডের কুমিল্লা শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ আল মাসুদের হিসাবে স্থানান্তরসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সম্পৃক্ত অপরাধ করার অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। আবু শাহাদৎ মো. শরীফের নামীয় স্থাবর সম্পদ, ব্যাংক হিসাব ও বিও হিসাবসমূহ এবং তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার মজুমদার নামীয় ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ অন্যত্র স্থানান্তর/হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্ঠা করছেন। অনুসন্ধান নিষ্পত্তির আগে এসব সম্পদ স্থানান্তর, হস্তান্তর বা বেহাত হয়ে গেলে পরবর্তীতে ওই টাকা উদ্ধারকরণ দুরুহ হয়ে পরবে। এজন্য স্থাবর সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাবসমূহ এবং বিও হিসাবসমূহ থেকে অর্থ উত্তোলন অবিলম্বে অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।
ঢাকা/মামুন/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।