বাংলাদেশের জার্সিতে ভারতের বিপক্ষে ২৫ মার্চ অভিষেক হতে যাচ্ছে হামজা চৌধুরীর। চাইলে সরাসরি ভারতে দলের ক্যাম্পে যোগ দিতে পারতেন। কিন্তু আগে ঘরে ফিরেছেন তিনি। সিলেটে এসে ভক্তদের ভালোবাসায় সিক্ত  হয়েছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার ডিভিশনের এই ফুটবলার। 

সোমবার সকাল ১১টা ৩৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। সঙ্গে ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা।

এর আগে রোববার দিবাগত রাত বাংলাদেশ সময় ২টায় যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে বিমান ধরেন হামজা। তার বাড়ি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে। সেখানে তার জন্য অপেক্ষা করছেন হাজারো ভক্ত। 

বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার জন্য প্রথমবারের মতো দেশে এসে ভক্তদের ভালোবাসায় সিক্ত হন তিনি। তার আগমণন সিলেট বিমানবন্দরে ভিড় জমান শত শত ভক্ত-সমর্থক। তাদের অনেকের হাতে ছিল ব্যানার। 
হামজা ও তার পরিবারকে বরণ করে নিতে সিলেটে আসেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)  বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা।

হামজার আগমনে সংবাদ মাধ্যমকর্মীদের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে বের হয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন এই ইংল্যান্ডের লিগে খেলা এই ফুটবলার। তবে ভক্তদের অতিরিক্ত চাপে বেশি কিছু বলতে পারেননি এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। 

শুধু সিলেটি ভাষায় বলেন, আমরা উইন করমু ইনশাআল্লাহ। সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে  আবার বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে ঢুকে যান। বাফুফে সদস্যরা জানান, বিমানবন্দর থেকে ফুটবলার হামজা গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাটে যাবেন। সেখান থেকে আগামীকাল ঢাকা যাবেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা

সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল‌্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’ 

জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই ‍আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব‌্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।

সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।

তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"

"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।

ঢাকা/ইয়াসিন 

সম্পর্কিত নিবন্ধ