ফটোগ্রাফি নিয়ে গ্রন্থ ‘আলোকচিত্রে শৈল্পিকতা’ প্রকাশিত
Published: 17th, March 2025 GMT
আলো দিয়ে ছবি আঁকা-এই হলো আলোকচিত্রের সহজ সংজ্ঞা। আলোর সমীকরণে ক্যামেরায় ধারণ করা সেই ছবিটিই শিল্প হয়ে ওঠে, যখন তার সাথে যুক্ত হয় নান্দনিকতা। শিল্পগুণ যোগ হলে একটি আটপৌরে ছবিও হয়ে ওঠে আর্টিস্টিক। তখন ফটোগ্রাফার বা আলোকচিত্রীও আলোকচিত্র শিল্পীর তকমা পেয়ে যান।
Photography is an austere and blazing poetry of the real-এই কথাটি আলোকচিত্র শিল্পে নতুন প্রযুক্তির আবিস্কারক অ্যানসেল অ্যাডামসের। প্রশ্নটি হলো, ক্যামেরা তো বাস্তবের ছবি ধারণ করে, সেই ছবিটি কবিতার মতো শৈল্পিক হয়ে ওঠে কী প্রকারে! আসলেই এ এক বড় সমস্যা-আলোকচিত্র শিল্পে উৎসাহদাতার সংখ্যা আদতেই কম। পথ দেখানোর মতো গাইড, প্রশিক্ষণের জন্য প্রতিষ্ঠান আমাদের দেশে অতটা সহজসাধ্যও নয়। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের বিখ্যাত ফটোগ্রাফারদের বইপত্র আজও এত সহজলভ্য না। সেই ঘাটতির জায়গাটিতে নজর দিয়েছেন সাংবাদিক, লেখক ও গবেষক নাঈম আহমেদ জুলহাস।
ক্যামেরার একটি ক্লিক থেকে আলোর কারসাজিতে আঁকা ছবি কেমন করে শৈল্পিক হয়ে ওঠে। একটি ফ্রেম, তাতে গ্রহণ-বর্জনের সিদ্ধান্ত, মূল ফোকাস-আউট অব ফোকাসের মুন্সিয়ানা, কতটা আলো, কতটুকু রংয়ের খেলায় ভালো হবে ছবিটি.
আরো পড়ুন:
আসিফ মাহমুদের বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান
আরো অন্তত পাঁচ-দশ বছর তোমরা আমাদের নেতা থাক: আসিফ নজরুল
রাজ মাসুদ ফরহাদের দুটি কাব্যগ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত
দীর্ঘ ফটো সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা এবং চর্চার ফসল তার এই গ্রন্থ। মূলত শীর্ষ দৈনিকে কাজের সুবাদে নাঈম আহমেদ জুলহাস দেশের বরেণ্য ফটো সাংবাদিকদের সান্নিধ্য পেয়েছেন। তিনি জড়ো করেছেন সেই অভিজ্ঞতা। মাঠের ফটো সাংবাদিক হিসেবে কাজ করতে গিয়ে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকবার। গুলিবিদ্ধও হয়েছেন। সেসব বাস্তব জ্ঞান প্রকাশ করেছেন তিনি তার এ গ্রন্থে। দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও চর্চার মেলবন্ধন ঘটেছে তার প্রথম গ্রন্থ ‘আলোক চিত্রে শৈল্পিকতা’য়।
‘আলোকচিত্রে শৈল্পিকতা’ গ্রন্থটি এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত হয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে মিজান পাবলিকশার্স।পাওয়া যাবে রকমারিতে।
ঢাকা/এনএফ/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আমার স্ত্রী খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করছেন না: জেডি ভ্যান্স
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স তাঁর স্ত্রী উষা ভ্যান্স ক্যাথলিক গির্জার মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে কোনো একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন বলে যে মন্তব্য করেছিলেন, তা নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। নিজের এ মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বিশাল এক পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
জেডি ভ্যান্স বলেন, তাঁর যে মন্তব্য নিয়ে কথা হচ্ছে, সেটি মূল বক্তব্য থেকে কেটে নেওয়া একটি অংশ। কোন প্রসঙ্গে তিনি ওই মন্তব্য করেছেন, সেটা দেখানো হয়নি।
গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে তরুণদের সংগঠন ‘টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ’র একটি অনুষ্ঠানে এক তরুণীর প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ভ্যান্স তাঁর স্ত্রী উষা একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত উষা হিন্দু সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠেছেন।
স্ত্রী একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, ভ্যান্সের এ মন্তব্য কি তাঁর স্ত্রীকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়ার ইঙ্গিত।
স্ত্রী একদিন খ্রিষ্টধর্ম গ্রহণ করবেন, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করা ভিডিও ভাইরাল হওয়া পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, ভ্যান্সের এ মন্তব্য কি তাঁর স্ত্রীকে ধর্ম পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়ার ইঙ্গিত।জবাব দিতে এক্স পোস্টে ভ্যান্স বলেন, একটি পাবলিক ইভেন্টে তাঁকে তাঁর আন্তধর্মীয় বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি ওই প্রশ্ন এড়িয়ে যেত চাননি, উত্তর দিয়েছেন।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘প্রথমেই বলি, প্রশ্নটি আসে আমার বাঁ পাশে থাকা একজনের কাছ থেকে, আমার আন্তধর্মীয় বিয়ে নিয়ে। আমি একজন পাবলিক ফিগার, লোকজন আমার ব্যাপারে জানতে আগ্রহী এবং আমি প্রশ্নটি এড়িয়ে যেতে চাচ্ছিলাম না।’
এ বছর জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে জেডি ভ্যান্স ও তাঁর স্ত্রী উষা ভ্যান্স