রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা ও ইফতার
Published: 17th, March 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সমকাল সুহৃদ সমাবেশের আয়োজনে প্রথম ইফতার ও সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী জুবেরী মাঠে সুহৃদরা একত্র হন। সেখানে ইফতার অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
রাবি সুহৃদ সভাপতি আবু সাহাদাৎ বাঁধনের সভাপতিত্বে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ খালিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংগঠনের সদস্যরা। তাদের মধ্যে ছিলেন সহসভাপতি মরিয়ম খানম সম্পা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজিউর রহমান তাজ, কোষাধ্যক্ষ দিপু বিশ্বাস, সুহৃদ উম্মে আকফা সাওদা, সাকিলা সায়েম মিথি, পুষ্পিতা দাস, তাসনীন রহমান মীম, অপু সরকার, সিহাব, তপু প্রমুখ। এ ছাড়া ইফতার মাহফিলে বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন ‘সারাংশ’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম এহসান হাবিব সুমন।
আলোচনা পর্বে সুহৃদরা বলেন, রমজান শুধু সিয়াম সাধনার মাসই নয়, এটি আত্মশুদ্ধি ও পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধের এক অনন্য উপলক্ষ। ক্যাম্পাসে ক্লাস-পরীক্ষার ব্যস্ততার কারণে অনেক শিক্ষার্থী পরিবার থেকে দূরে থাকেন; তাই এ আয়োজন তাদের জন্য মিলনমেলার মতো। সুহৃদরা যেন ভবিষ্যতে সামাজিক ও মানবিক কাজে আরও বেশি সম্পৃক্ত হতে পারে– এ প্রত্যাশার মধ্য দিয়ে শেষ হয় আলোচনা। ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা করেন সুহৃদরা। v
সভাপতি সুহৃদ সমাবেশ, রাবি
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।
ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।
অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।
ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়