রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সমকাল সুহৃদ সমাবেশের আয়োজনে প্রথম ইফতার ও সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী জুবেরী মাঠে সুহৃদরা একত্র হন। সেখানে ইফতার অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
রাবি সুহৃদ সভাপতি আবু সাহাদাৎ বাঁধনের সভাপতিত্বে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ খালিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংগঠনের সদস্যরা। তাদের মধ্যে ছিলেন সহসভাপতি মরিয়ম খানম সম্পা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজিউর রহমান তাজ, কোষাধ্যক্ষ দিপু বিশ্বাস, সুহৃদ উম্মে আকফা সাওদা, সাকিলা সায়েম মিথি, পুষ্পিতা দাস, তাসনীন রহমান মীম, অপু সরকার, সিহাব, তপু প্রমুখ। এ ছাড়া ইফতার মাহফিলে বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন ‘সারাংশ’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম এহসান হাবিব সুমন।
আলোচনা পর্বে সুহৃদরা বলেন, রমজান শুধু সিয়াম সাধনার মাসই নয়, এটি আত্মশুদ্ধি ও পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধের এক অনন্য উপলক্ষ। ক্যাম্পাসে ক্লাস-পরীক্ষার ব্যস্ততার কারণে অনেক শিক্ষার্থী পরিবার থেকে দূরে থাকেন; তাই এ আয়োজন তাদের জন্য মিলনমেলার মতো। সুহৃদরা যেন ভবিষ্যতে সামাজিক ও মানবিক কাজে আরও বেশি সম্পৃক্ত হতে পারে– এ প্রত্যাশার মধ্য দিয়ে শেষ হয় আলোচনা। ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা করেন সুহৃদরা। v
সভাপতি সুহৃদ সমাবেশ, রাবি

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স হ দর ইফত র

এছাড়াও পড়ুন:

পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করল পাকিস্তান-সৌদি আরব

পাকিস্তানের ওপর কেউ হামলা চালালে সৌদি আরব তাদেরকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে। আবার সৌদি আরবের ওপর কেউ আগ্রাসন চালালে পাকিস্তানও সৌদি আরবকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে। ঠিক এমনই একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সৌদি আরব ও পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তান।

জিও নিউজের খবর অনুসারে, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সৌদি আরব সফরের সময় এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে শাহবাজের বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে এ চুক্তির কথা জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

এক সপ্তাহে সৌদি আরবে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার

২০ বছর কোমায় থাকার পর মারা গেলেন সৌদির ‘ঘুমন্ত যুবরাজ’

চুক্তি স্বাক্ষরের পর উভয় দেশ একটি যৌথ বিবৃতিতে জানায় যে, ভ্রাতৃত্ব, ইসলামিক সংহতি ও অভিন্ন কৌশলগত স্বার্থের ভিত্তিতে এবং প্রায় আট দশকের দীর্ঘ অংশীদারত্বের ওপর দাঁড়িয়ে দুই পক্ষ কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

ক্রাউন প্রিন্সের আমন্ত্রণেই শরিফ সৌদি আরব সফরে গেছেন বলেও তাদের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, সৌদি আরবের সঙ্গে হওয়া এই প্রতিরক্ষা চুক্তির ফলে এখন ‘এক দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসনকে উভয়ের বিরুদ্ধে আগ্রাসন’ বিবেচনা করা হবে।

বিশেষজ্ঞরা এই চুক্তিকে 'ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন অগ্রগতি' বলে অভিহিত করেছেন। তাদের মতে, এটি পাকিস্তান ও সৌদি আরবের সম্পর্ককে আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতিতে উন্নীত করেছে। তারা বলছেন যে, এই পদক্ষেপ কেবল পাকিস্তান-সৌদি সম্পর্ককে দৃঢ় করছে না, বরং দক্ষিণ এশিয়া এবং মুসলিম বিশ্বের জন্যও এর গুরুত্ব রয়েছে। এটি পাকিস্তানকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষার সবচেয়ে সক্ষম মুসলিম শক্তি হিসেবে তুলে ধরেছে।

বিশ্লেষকরা আরও বলছেন যে, সাম্প্রতিক আঞ্চলিক অস্থিরতা, ইসরায়েলের হামলা, দোহা সম্মেলন এবং আরব বিশ্বে সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই চুক্তির তাৎপর্য অনেক বেশি। এটি প্রমাণ করে যে, বর্ধিত হুমকির সময়ে সৌদি আরব পাকিস্তানকে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে বিশ্বাস করছে। 

পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়, চুক্তি স্বাক্ষরের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে আলিঙ্গন করতে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির, যাকে দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে দেখা হয়।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ