তাইওয়ানের আকাশে ৫৯ চীনা বিমান শনাক্ত
Published: 18th, March 2025 GMT
নিজেদের স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপের আশপাশে ৫৯টি চীনা বিমান শনাক্ত করেছে তাইওয়ান। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এটি গত অক্টোবর এবং দ্বীপটির প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে চীনকে ‘বিদেশি শত্রু শক্তি’ বলে অভিহিত করার কয়েকদিন পর সর্বোচ্চ।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৯টি বিমানের পাশাপাশি নয়টি চীনা যুদ্ধজাহাজ ও দুটি বেলুন শনাক্ত করা হয়েছে। বিমানগুলোর মধ্যে ৫৪টি গতকাল সোমবার ‘যৌথ যুদ্ধ’ টহলে অংশ নিয়েছিল।
তাইওয়ানকে সব সময় নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে চীন। যা তাইওয়ান প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তবে চীন যেকোনো মূল্যে স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটিকে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সেই উদ্দেশ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাইওয়ানের চারপাশে যুদ্ধবিমান এবং নৌযান মোতায়েন বাড়িয়েছে বেইজিং।
আরো পড়ুন:
উত্তর কোরিয়া ও চীনকে লক্ষ্য করে জাপানের ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন
শি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক ২৮ মার্চ
সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, এই পদক্ষেপগুলো তাইওয়ানের স্বাধীনতার জন্য বহিরাগত শক্তির ইচ্ছাকৃত যোগসাজশ ও সমর্থনের প্রতি দৃঢ় প্রতিক্রিয়া এবং তাইওয়ানের স্বাধীনতা বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির প্রতি একটি কঠোর সতর্কবার্তা।
যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি না দিলেও, দেশটিকে সবচেয়ে বেশি সামরিক সহায়তা দিয়ে থাকে। গত মাসে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একটি তথ্যপত্র থেকে যুক্তরাষ্ট্র একটি লাইন সরিয়ে দিয়েছে যেখানে বলা হয়েছে: “আমরা তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করি না।”
বেইজিং ওয়াশিংটনের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “এটি যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছাকৃতভাবে চীনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য তাইওয়ানকে ব্যবহার করার এবং তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করার নীতি অনুসরণ করার আরেকটি গুরুতর উদাহরণ।”
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র স ব ধ নত ত ইওয় ন র ত ইওয
এছাড়াও পড়ুন:
বন্ধুদের নিয়ে ‘উড়াল’
আট বছর আগে জোবায়দুর রহমানকে গল্পটা শুনিয়েছিলেন সম্রাট প্রামানিক। জোবায়দুর তখন সহকারী পরিচালক, স্বপ্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়া। কয়েক বছর পর সত্যি সত্যিই যখন সিনেমা নির্মাণের কথা ভাবলেন, শুরুতেই তাঁর সেই গল্পের কথা মনে পড়ল। সম্রাটকে ফোন করলেন জোবায়দুর, চায়ের দোকানে বসে আবারও গল্পটা শুনলেন। ঠিক করলেন, এ গল্প থেকেই ছবি বানাবেন তিনি।
পেশাদার কোনো প্রযোজকের কাছে যাননি জোবায়দুর, নিজেরাই স্বাধীনভাবে ছবিটি নির্মাণ করেছেন; পাশে ছিলেন ভাই-বন্ধুরা। নির্মাতা বললেন, ‘এটাই আমার প্রথম নির্মাণ, আগে কোনো কাজ করিনি। কী করা যায়? আশপাশের ভাই–বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। শরীফ সিরাজ, সম্রাট প্রামানিক, জহিরুল ইসলামসহ তিন-চারজন মিলে কাজটা শুরু করি।’ তাঁরা কেন বিনিয়োগ করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা জোবায়দুর বলেন, ‘গল্পের কারণে আগ্রহী হয়েছেন তাঁরা।’
শুটিংয়র ফাঁকে তোলা ছবি