‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘সরলতার প্রতিমা’, ‘আবার দেখা হবে’র মতো অসংখ্য জনপ্রিয় গানের শিল্পী খালিদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। গত বছর এই দিনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
খালিদের জন্ম গোপালগঞ্জে, ১৯৬৫ সালের ১ আগস্ট। ১৯৮১ সালে গানের জগতে যাত্রা করেন তিনি। ১৯৮৩ সালে ‘চাইম’ ব্যান্ডে যোগ দেন। তার প্রথম অ্যালবামের নাম ‘চাইম’। তাতে গান ছিল ‘নাতিখাতি বেলা গেল’, ‘তুমি জানো না রে প্রিয়’, ‘কীর্তনখোলা নদীতে আমার’, ‘এক ঘরেতে বসত কইরা’, ‘ওই চোখ’, ‘সাতখানি মন বেজেছি আমরা’, ‘আমার জন্য রেখো একটা গান’সহ দুটি ইংরেজি গান। সেই অ্যালবামের ‘নাতিখাতি বেলা গেল’ গানটি ছিল যশোরের কবি হাফিজুর রহমানের লেখা। সুর সংগ্রহ করা হয়েছিল অন্য জায়গা থেকে। সে সময় গানটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায়; আর খালিদ হয়ে ওঠেন তরুণ প্রাণের ক্রেজ।
খালিদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে ফেরদৌস ওয়াদি বলেন, ‘খালিদের মায়াবী কণ্ঠ যে এত তাড়াতাড়ি নিস্তব্ধ হয়ে যাবে তা কখনই ভাবনার মধ্যে ছিল না। কী সুন্দর একটা মিষ্টি কণ্ঠ হারিয়ে গেল। তাকে আল্লাহ শান্তিতে রাখুক-এ দেয়া চাইছি।'
খালিদ এক পর্যায়ে গান থেকে যেন দূরে সরে যান। বেছে নেন প্রবাস জীবন। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। তার এক ছেলে সেখানে পড়াশোনা করেন। খালিদ মাঝেমধ্যে দেশে এলেও একাই থাকতেন। নিজের গণ্ডির বাইরে খুব একটা বের হতেন না। কিছুদিন থাকতেন, ফের উড়াল দিতেন প্রবাসে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।