পাবনার চাটমোহরে খেলার প্রলোভন দেখিয়ে ছয় বছর বয়সী শিশুকে ‘ধর্ষণচেষ্টার’ অভিযোগে শমসের আলী (৭০) নামে এক বৃদ্ধকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন এলাকাবাসী। এ ঘটনায় রাতেই বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন শিশুটির মা।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটে। 

চাটমোহর থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম বলেন, “শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত বৃদ্ধকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।”

আরো পড়ুন:

১৭ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস বাবর

ইনু-মেনন-আনিসুল-দীপু মণি-সাদেক খানের আবার রিমান্ড

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় প্রতিবেশী (সম্পর্কে দাদা) শমসের আলী শিশুটিকে খেলার প্রলোভন দেখিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। এসময় বাড়িতে কেউ ছিল না। শমসের আলী শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। শিশুটি চিৎকার দিলে লোকজনের ভয়ে পালিয়ে যান শমসের আলী।

শিশুটি পরে বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সবাইকে ঘটনাটি জানায়। এলাকার লোকজন বৃদ্ধ শমসের আলীকে ধরে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ করে। 

ঢাকা/বাদল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকার রাস্তায় টেসলা, রোলস–রয়েস, পোরশেসহ ২৫০০ বিলাসবহুল গাড়ি

রাজধানী ঢাকার রাস্তায় চলে বিশ্বের আলোচিত টেসলা গাড়ি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে ছয়টি টেসলা গাড়ির নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে। শুধু টেসলা নয়; রোলস-রয়েস, ফেরারি, বেন্টলি, পোরশের মতো বিলাসবহুল অভিজাত গাড়ি এখন ঢাকার রাস্তার বুক চিড়ে চড়ে বেড়ায়।

অন্যদিকে রেঞ্জ রোভার, বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো অভিজাত গাড়িও ঢাকার রাস্তায় অহরহ দেখা যায়। এ গাড়িগুলো যেন দেশের ধনীদের আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে গেছে।

সব মিলিয়ে দেশে এখন আড়াই হাজারের বেশি এমন বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি আছে। এই গাড়িগুলোর দাম ১ কোটি থেকে ১২ কোটি টাকা। দেশের একশ্রেণির অতিধনী ব্যবসায়ীরা এসব বিলাসবহুল গাড়ি চালান।

গাড়ি ব্যবসায়ীরা জানান, এমন বিলাসবহুল দামি গাড়ির গ্রাহকের সংখ্যা দেড় থেকে দুই হাজারের মতো। কেউ কেউ একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন।

দেশে বিলাসবহুল গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ ও আউডি (অনেকে অডি বলেন) ব্র্যান্ডের গাড়ি। রাজধানীর ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামের রাস্তায় এমন দামি গাড়ি মাঝেমধ্যে দেখা যায়।

এক দশক আগেও রাস্তায় বিলাসবহুল গাড়ি অনেক কম দেখা যেত। গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারা ও বসুন্ধরার মতো অভিজাত এলাকায় এখন প্রায়ই দেখা মিলে রেঞ্জ রোভার, মার্সিডিজ ও বিএমডব্লিউর মতো বিলাসবহুল গাড়ি। সাধারণত রাতের দিকে অভিজাত এলাকায় এমন গাড়ির আনাগোনা বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে গত ১০ বছরে আড়াই হাজারের বেশি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি হয়েছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছরে দেশে শুধু রোলস-রয়েস ব্র্যান্ডের গাড়ি আমদানি হয়েছে ১২টি। আর গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষে (বিআরটিএ) ৮টি রোলস-রয়েস নিবন্ধিত হয়েছে।

গত জুলাই মাসে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পরে রোলস-রয়েসের ‘স্পেক্টার’ মডেলের গাড়ি। যার দাম ফিচারভেদে প্রায় ১১ থেকে ১২ কোটি টাকা। তখন এই দামি গাড়ি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়।

টেসলা ব্র্যান্ডের ‘মডেল এস’ গাড়ি

সম্পর্কিত নিবন্ধ