জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা বন্ধে দ্রুত চুক্তি হতে পারে: জেলেনস্কি
Published: 20th, March 2025 GMT
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে শিগগিরই জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা বন্ধে একটি চুক্তি বাস্তবায়ন সম্ভব বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
তবে মস্কো যদি সীমিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে, তবে ইউক্রেন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও হুঁশিয়ার করেছেন জেলেনস্কি।
হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কির বাগ্বিতণ্ডার পর গতকাল বুধবার প্রথমবারের মতো দুই নেতার মধ্যে টেলিফোনে কথা হয়।
জেলেনস্কি বলেছেন, কিয়েভ কয়েকটি অবকাঠামোর তালিকা করেছে। ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় সম্ভাব্য যে যুদ্ধবিরতি আলোচনা চলছে, সেখানে ওই বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হবে।
ওই তালিকায় শুধু জ্বালানি অবকাঠামো নয়, বরং রেল ও বন্দর অবকাঠামোও রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
জেলেনস্কির সঙ্গে আলাপের এক দিন আগেই পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন ট্রাম্প। ওই আলাপে পুতিন জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা স্থগিত রাখতে রাজি হয়েছেন।
জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছি, আমরা (রাশিয়ার সঙ্গে) যতক্ষণ পর্যন্ত একমত না হব, যতক্ষণ পর্যন্ত না আংশিকভাবে হলেও একটি লিখিত যুদ্ধবিরতি না হবে, আমার মনে হয় সবকিছু উড়বে।’
ওড়া বলতে জেলেনস্কি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের কথা বুঝিয়েছেন।
আরও পড়ুনযুদ্ধ বন্ধে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিলেন জেলেনস্কি১০ ঘণ্টা আগেগতকাল বুধবার অনলাইনে সাংবাদিকদের সঙ্গে ওই ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কিকে ক্লান্ত দেখাচ্ছিল। তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ফোনালাপ সম্পর্কে বলেছেন, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে এবারই সম্ভবত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ইতিবাচক কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেছেন, তিনি এ সময় কোনো চাপ অনুভব করেননি।
ট্রাম্প ইউক্রেন সফরে আসুক—এমনটি তিনি এখনো চান কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জেলেনস্কি বলেন, তিনি চান এবং তিনি বিশ্বাস করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সফর যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নিতে তাঁকে সাহায্য করবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অবক ঠ ম ইউক র ন বল ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।