১৯তম জন্মদিনের আগের দিন মারা গেলেন চীনের ফুটবলার
Published: 20th, March 2025 GMT
আজ তাঁর ১৯তম জন্মদিন। সব ঠিক থাকলে পরিবার বা সতীর্থদের সঙ্গে নিশ্চয় দিনটি উদ্যাপন করতেন। কিন্তু যাঁর কথা বলা হচ্ছে, সেই মানুষটা আর বেঁচে নেই।
গতকাল না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন চীনের ফুটবলার গুয়ো জিয়াশুয়ান। তরুণ এই ডিফেন্ডার খেলতেন চায়নিজ সুপার লিগের ক্লাব বেইজিং গুয়োয়ানে। ২০২৩ সালে ক্লাবটিতে যোগ দেন তিনি। একই বছর চীন অনূর্ধ্ব–১৭ দল ও জার্মানির সফলতম ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের ওয়ার্ল্ড স্কোয়াডের হয়েও খেলেছেন। বেইজিং গুয়োয়ান ও বায়ার্ন মিউনিখ—দুটি ক্লাবই তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে বেইজিং অনূর্ধ্ব–২০ দল ও স্থানীয় ক্লাব রায়ো সিউদাদ আলকোবেন্দাসের মধ্যকার অনুশীলন ম্যাচ চলাকালীন মাথায় গুরুতর আঘাত পান জিয়াশুয়ান। তখন থেকে তিনি কোমায় চলে যান। পরবর্তী সময়ে তাঁকে বেইজিংয়ের তিয়ানতান হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই কাল সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুনএক মিনিট নীরবতা পালনের পর ক্লাব জানতে পারল খেলোয়াড়টি মারা যাননি ১৮ মার্চ ২০২৫বেইজিং গুয়োয়ান জানিয়েছে, তারা এই শোকাবহ পরিস্থিতি সঠিকভাবে সামলানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এবং গুয়ো জিয়াশুয়ানের পরিবারকে সব ধরনের সহাযোগিতা করবে।
মাথায় আঘাত পাওয়ার পর কোমায় চলে যান গুয়ো জিয়াশুয়ান.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি