ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজয় ৭১ হলের লিফটের দেয়ালে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান লেখা হয়েছে। তবে কে বা কারা লিখেছে, তা জানা যায়নি।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে হলের লিফটের ভেতরে লাল রঙে জয় বাংলা লেখা দেখেন আবাসিক শিক্ষার্থীরা। তাদের ধারণা বুধবার (১৯ মার্চ) দিবাগত রাতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেউ এটা লিখতে পারে।

এর আগে, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ওয়াশরুমে জয় বাংলা লেখা দেখতে পান হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা। সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের গুপ্ত নেতা-কর্মীদের ক্যাম্পাসে অবাধে ঘোরাফেরায় উদ্বিগ্ন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

আরো পড়ুন:

এ দেশের মুসলমানরা কালচারালি মাইনরিটি: আহমাদুল্লাহ

ঢাবির ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ স্থগিত

বিজয় ৭১ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আমিরুজ্জামান তামিম বলেন, “এটি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের পুনর্বাসনের খেসারত। রাতের আধারে বিজয় একাত্তর হলের দেয়ালে ও যমুনা পূর্ব পাশের লিফটে নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জয় বাংলা লিখে রেখে যায়। ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা এবং বিভিন্ন নাশকতামূলক কাজে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।”

তিনি বলেন, “যারা ছাত্রলীগের একজনকেও পুনর্বাসন করেছে, তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে না; সে যেই হোক না কেনো। যারা হামলায় জড়িত, তাদের হল থেকে বের করে দেওয়া উচিত। একইসঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা উচিৎ।”

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হলের আরেক শিক্ষার্থী রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “সামনে ডাকসু নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। ডাকসু নির্বাচনকে বানচালের জন্য এ ধরনের ষড়যন্ত্র ছাত্রলীগ বাদে অন্য কেউ করতেও পারে। এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকা উচিত।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজয় ৭১ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.

স ম আলী রেজা বলেন, “হলে বর্ণচোরা কেউ যদি থেকে থাকে, তাহলে তাদের চিহ্নিত করা তো কঠিন। সিসিটিভির আওতার মধ্যে যে জায়গাটা, সেখান থেকে আমরা দেখার চেষ্টা করেছি। আমরা অনুমান করছি, এটা সকাল ৬টা ৯ মিনিট থেকে ১৯-২০ মিনিটের মধ্যে এ রকমটা হয়ে থাকতে পারে। লেখাটা আমরা মুছে দিয়েছি।”

তিনি বলেন, “যারা এটা করেছে এটা তো চোরের মত করা। পলিটিক্যাল গেমটা তো তার জন্য নেগেটিভ। তবে এটা পরিকল্পিত হতে পারে ডাকসুকে সামনে রেখে।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।

প্রশিক্ষণের বিষয়

১. বেসিক কম্পিউটার,

২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,

৩. ইন্টারনেট,

৪. গ্রাফিক ডিজাইন,

৫. ফ্রিল্যান্সিং,

৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।

আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা

১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,

২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,

৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,

৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,

৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

১. ঢাকা,

২. চট্টগ্রাম,

৩. রাজশাহী,

৪. খুলনা,

৫. বরিশাল,

৬. সিলেট,

৭. দিনাজপুর,

৮. গোপালগঞ্জ।

আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র

১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,

২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,

৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,

৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,

৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।

নিবন্ধন ফি

মনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।

দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ