সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, তাঁর মেয়ে ও শ্যালিকার বিরুদ্ধে মামলা
Published: 20th, March 2025 GMT
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, তাঁর মেয়ে সুমাইয়া হোসেন ও শ্যালিকা সৈয়দা হক মেরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বলেন, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ২৬ কোটি ২৭ লাখ ৮১ হাজার ৪৬১ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমির হোসেন আমুর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাঁর ১৪টি ব্যাংক হিসাবে ৩১ কোটি ৪৭ লাখ ৯২ হাজার ৭০৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে।
মো.
এদিকে আমির হোসেনের শ্যালিকা সৈয়দা হক মেরী বিরুদ্ধে মামলায় জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৭ কোটি ৬৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৭০ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদক সূত্র বলছে, তাঁর ১৩টি ব্যাংক হিসাবে ৬২ কোটি ৬৮ লাখ ৪১৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ ঞ ত আয়বহ র ভ ত আম র হ স ন
এছাড়াও পড়ুন:
মোজাম্মেলের অবৈধ সম্পদ ১০ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, দুদকের মামলা
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ও গাজীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সেগুনবাগিচা কার্যালয়ে সংস্থাটির নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে কমিশনের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আ ক ম মোজাম্মেল হক ১০ কোটি ৩৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তিনটি ব্যাংকে ৮ কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ১১৪ টাক সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় অপরাধ করেছেন।”
মামলার এজাহারে বলা হয়, আ ক ম মোজাম্মেল হকের ঋণ বাদে স্থাবর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১১২ কোটি ৫৪ লাখ ২১ হাজার ২৮০ টাকা। পারিবারিক ব্যয় ১ কোটি ৬৩ লাখ ২৬ হাজার ২৭৭ টাকা। ব্যয়সহ অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ১৩ কোটি ১৭ লাখ ৪৮ হাজার ৫৭ টাকা। তার মধ্যে গ্রহণযোগ্য আয় হলো ২ কোটি ৮২ হাজার ৯০ লাখ ৬৩০ টাকা আর জ্ঞাত বহির্ভূত সম্পদ হলো ১০ কোটি ৩৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪২৭ টাকা। এই টাকা তিনি ভোগদখলে আছেন। একই সঙ্গে তার প্রতিষ্ঠানসমূহের নামে পরিচালিত ৩টি ব্যাংক হিসাবে জমা দিয়েছেন ৪ কোটি ১৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫৭ টাকা। উত্তোলন করেছেন ৪ কোটি ১৬ লাখ ৩৭ হাজার ৫৭ টাকা। সন্দেহজনক মোট লেনদেন করেছেন ৮ কোটি ৩২ লাখ ৭৪ হাজার ১১৪ টাকা।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ