বলিউডের তারকা জুটি আলিয়া ভাট ও রণবীর কাপুর। আয়ান মুখার্জি নির্মিত ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ সিনেমায় কাজ করতে গিয়েই তাদের মাঝে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর তা প্রেমে রূপ নেয়। তবে সবকিছু ছাপিয়ে এ যুগলের প্রেম পরিণয় পেয়েছে। তাদের সংসার আলো করে এসেছে একটি কন্যাসন্তান।
দাম্পত্য জীবনে ভালো সময় পার করছেন আলিয়া-রণবীর। কিন্তু ম্যাশেবল ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রণবীর বললেন— “আলিয়া আমার প্রথম স্ত্রী নয়।” ‘বরফি’ তারকার এতটুকু বক্তব্য শুনে অনেকেই অবাক হয়েছেন। কিন্তু এমন মন্তব্য কেন করলেন এই তারকা?
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রণবীর কাপুর বলেন, “আমি এটাকে পাগলামি বলব না। তাহলে বিষয়টি নেতিবাচক অর্থে চলে যেতে পারে। একটি মেয়ের গল্প আমার মনে আছে। মেয়েটি একজন পুরোহিত সঙ্গে নিয়ে আমাদের বাড়ি এসেছিল। বাড়ির গেটে দাঁড়িয়ে মেয়েটি বিয়ে করে। আমি তাকে কখনো দেখিনি; সিকিউরিটি গার্ড এসব আমাকে বলেছে।”
আরো পড়ুন:
রণবীরের সেই নগ্ন দৃশ্য নিয়ে মুখ খুললেন পরিচালক
বলিউডের ‘লাস্ট সুপারস্টার’ তারা!
পরের ঘটনা বর্ণনা করে আলিয়া ভাট বলেন, “আমি আমার বাবা-মায়ের সঙ্গে বাংলোতে থাকতাম। সেই বাংলোর গেটে সিঁদুরের টিপ এবং কিছু ফুল রাখা ছিল। সেই সময়ে আমি শহরের বাইরে ছিলাম। এসব শুনে তো অবাক। এটা ভক্তের পাগলামো আর কি! আমার সেই প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে এখনো দেখা হয়নি। আমি তার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। সুতরাং, আলিয়া আমার প্রথম স্ত্রী নয়।”
২০১৮ সালে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান আলিয়া-রণবীর। তারপর দীর্ঘ দিন চুটিয়ে প্রেম করেন এই যুগল। তাদের প্রেম-বিয়ে নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল মুম্বাইয়ের পালি হিলসের রণবীরের ‘বাস্তু’ বাড়িতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তারা। ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর কন্যাসন্তান জন্ম দেন আলিয়া।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রণব র ক প র আল য় ভ ট প রথম স ত র রণব র
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।