বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রের উপ-আঞ্চলিক পরিচালক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফ মাহমুদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক শুনানি শেষে এ আদেশে দেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন জানান, শরীফ মাহমুদকে আদালতে হাজির করা হলে তাঁর জামিনের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।

নগরের ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আটক শরীফ মাহমুদকে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। সরকারি ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একটি মামলা রয়েছে। আমরা দুদকের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি। তারা পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে।’

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদ শেখ মুজিব সড়কের বাংলাদেশ বেতার ভবনে শরীফ মাহমুদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নিয়ে আসে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত বছরের ৪ আগস্ট শরীফ মাহমুদের সই করা চিঠিতে কারফিউ জারি হয়েছিল। তাই তাঁকে আটক করতে হবে।

শরীফ মাহমুদ প্রায় ১০ বছর তেজগাঁও-হাতিরঝিল থেকে নির্বাচিত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের জনসংযোগ কর্মকর্তা ছিলেন। বর্তমানের তিনি চট্টগ্রামে কর্মরত আছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর মকর ত য গ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ