চিরবিদায় কিংবদন্তি বক্সার জর্জ ফোরম্যান
Published: 22nd, March 2025 GMT
বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে নেমেছে শোকের ছায়া। কিংবদন্তি বক্সার ও আন্তর্জাতিক বক্সিং হল অব ফেমার জর্জ ফোরম্যান আর নেই। শুক্রবার ৭৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দুইবারের হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে এই মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। ফোরম্যান স্ত্রী, ১০ সন্তান ও দুটি দত্তক কন্যাকে রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে ক্রীড়াজগৎ হারাল এক মহান কিংবদন্তিকে।
১৯৪৯ সালে টেক্সাসে জন্ম নেওয়া ফোরম্যান ক্রীড়াজীবনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন এক অনন্য উচ্চতায়। মাত্র ১৯ বছর বয়সে ১৯৬৮ মেক্সিকো অলিম্পিকে হেভিওয়েট বিভাগে স্বর্ণ জিতে বিশ্ববাসীর নজর কাড়েন। ১৯৭৩ সালে অপরাজিত জো ফ্রেজিয়ারকে নকআউট করে প্রথমবারের মতো হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরেন তিনি। তবে ফোরম্যান ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন মোহাম্মদ আলীর বিপক্ষে বিখ্যাত ‘রাম্বল ইন দ্য জাঙ্গল’ লড়াইয়ের কারণে। ১৯৭৪ সালে সেই ম্যাচে আলীর কাছে পরাজিত হন ফোরম্যান।
১৯৭৭ সালে সবাইকে অবাক করে দিয়ে মাত্র ২৮ বছর বয়সেই অবসরের ঘোষণা দেন ফোরম্যান। টেক্সাসে ধর্মযাজক হিসেবে শুরু করেন নতুন জীবনের। ১০ বছর পর ১৯৮৭ সালে ফের রিংয়ে ফেরেন তিনি। ১৯৯৪ সালে ৪৫ বছর বয়সে আবার হেভিওয়েট শিরোপা জিতে ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি বয়সী চ্যাম্পিয়নের রেকর্ড গড়েন।
৭৬টি জয়ের (৬৮টি নকআউট) বিপরীতে মাত্র ৫টি পরাজয়ে শেষ হয় তার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার। ক্রীড়াজগত ছাড়াও ফোরম্যান তার আইকনিক ‘জর্জ ফোরম্যান গ্রিল’-এর জন্যও বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। ১৯৯৪ সালে বাজারে আসার পর থেকে এই গ্রিল কয়েক দশকে কয়েক মিলিয়ন ইউনিট বিক্রি হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
এভাবেও ফিরে আসা যায়
খেলার মাঠে খেলা তো হয়ই, এর বাইরে হয় বিচিত্র অনেক কিছুই। মাঠে ও মাঠের বাইরের বিচিত্র সব ঘটনা নিয়েই এ আয়োজন।
হার দিয়ে শুরু, চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ—ইংল্যান্ডের নারী ইউরো জয়ের পথটা মোটেই মসৃণ ছিল না এবার। নকআউট পর্বে তো প্রতিটি ম্যাচেই শুরুতে পিছিয়ে পড়েছিল দলটি। আর তাতে বিরল কীর্তিতেও নাম উঠে গেছে দলটির। ফুটবল ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় দল ইংল্যান্ড, যারা নকআউট পর্বের প্রতিটি ম্যাচেই পিছিয়ে পড়ার পর শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
প্রথম দলটিও একটি নারী দল, আর সেই টুর্নামেন্টও ছিল মহাদেশীয়। ২০২২ সালে নারী এশিয়ান কাপে চীনের শিরোপা জয়ের পথটাই যেন ছিল একটানা নাটকীয়তা আর অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের গল্প। কোয়ার্টার ফাইনালে ভিয়েতনামের বিপক্ষে প্রথমে গোল খেয়ে বসেছিল তারা, এরপর ঘুরে দাঁড়িয়ে জেতে ৩-১ ব্যবধানে। সেমিফাইনালে জাপানের বিপক্ষে দুবার পিছিয়ে পড়ে দুবারই সমতায় ফেরে চীন, দ্বিতীয় গোলটি আসে ১১৯তম মিনিটে। টাইব্রেকারে গিয়েও দশম ও শেষ শটের আগে তারা একবারের জন্যও এগিয়ে ছিল না।
তবে ফাইনালে সবকিছুর মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে প্রথমার্ধ শেষে ২-০ গোলে পিছিয়ে ছিল চীন। দ্বিতীয়ার্ধের মাঝপথেও একই স্কোরলাইন। এরপর ট্যাং জিয়ালির পেনাল্টি থেকে আসে এক গোল, ৭২তম মিনিটে ঝাং লিনইয়ান সমতায় ফেরান দলকে। আর অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিটে বদলি খেলোয়াড় শিয়াও ইউইয়ের গোলে লেখা হয় আন্তর্জাতিক ফুটবলের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর প্রত্যাবর্তনের অন্যতম সেরা গল্প।
২০২২ সালে মেয়েদের এশিয়ান কাপজয়ী চীন