বন্দরে  একটি অবৈধ কয়েল কারখানায় কাঠ পোড়ানো ডায়ার থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে সোনারগাঁও ফায়ার সার্ভিসের ২ ইউনিট  দুই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।  

শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে শ্রীরামপুর এলাকায় অবস্থিত  জমজম নামে কয়েল ফ্যাক্টরিতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।  অগ্নিকান্ডে প্রায় ২০ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মালিক পক্ষ দাবি করেছেন।

সোনারগাঁও ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা জাহিদ চৌধুর বলেছেন, কয়েল ফ্যাক্টরীর কর্মচারীদের অবহেলায় এ অগ্নিকান্ড ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান,  শ্রীরামপুর- কাজিপাড়া সড়কের মোড়ে কয়েল ফ্যাক্টরি হঠাৎ আগুনের ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের  দোকানপাট ও বাড়ি ঘরে। আতঙ্কে প্রাণ বাঁচাতে বাড়ি ঘর ছেড়ে এদিক ওদিক  ছুটাছুটি শুরু করে।  

পরে এলাকাবাসী নিরুপায় হয়ে  বিদ্যুৎ অফিস ও  ৯৯৯ কল দিয়ে সোনারগাঁও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতা নেন। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সোনারগাঁও ফায়ার সার্ভিসের জাহিদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ২ টি ইউনিট ঘটনাস্থলে   দ্রুত সময়ের মধ্যে উপস্থিত হন।

জমজম কয়েল ফ্যাক্টরীর মালিক আমির হোসেন জানান, কারখানায় মজুদ কয়েল সহ প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই।  ডায়ার থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে সোনারগাঁও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা জাহিদ চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে অনেক দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত দুই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটে নি।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ড র ঘটন স ন রগ

এছাড়াও পড়ুন:

হাবিব ও সজীবের জল্লারপাড় লেকে জমজমাট মাদক বানিজ্য

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নং ওয়ার্ডের জল্লারপাড় এলাকায় হাবিব ওরফে পিচ্চি হাবিব (মাদকসহ ৫/৭টি মামলার আসামি), একটা খুনি পরিবার থেকে বেড়ে ওঠা ভয়ংকর সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গাং লিডার। 

বাবা মৃত কমল মিয়া এক সময় পুলিশের সোর্স ছিলেন যে কিনা খুন হয় নিজ সৎ ছেলের হাতে। হাবিবের বড় ভাই মানিক এলাকার জনি নামের এক ছেলেকে খুন করে যাবজ্জীবন সাজায় জেল খাটছে।

হাবিব ৫ই আগস্ট এর আগে আজমীর ওসমানেরক্যাডার বাহিনীর সক্রিয় সদস্য ছিলো। গণঅভ্যূত্থানের আগে এলাকায় বড় করে ১৫ আগস্ট পালন ও নাসিম ওসমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন এবং ওসমান পরিবারের পালিত ক্যাডারদের দাওয়াত করে মহড়া দেয়ার ছবি ও বিভিন্ন মিছিল মিটিং এর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। 

ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর সে যোগ দেয় বিএনপিতে। এলাকার বিএনপি'র বিভিন্ন নেতা ও দেওভোগের অনেক নেতার দেখা মিলে হাবিবের অফিসে ও আড্ডায়। অনেকেই আসে হোন্ডার বহর নিয়ে যার ফলে এলাকার মানুষ ভয়ে মুখ খুলেনা। মানুষকে আতঙ্কে রাখতে হাবিবকে দেখা যায় নিজে বড় বড় ছুড়ি নিয়ে মহড়া দিতে। 

হাবিবকে শেন্টার দিচ্ছে বিএনপি'র ক্যাডার গাল কাটা জাকিরের ছোট ভাই ডাকাত সজিব। ডিস বাবুর নির্দেশে ডাকাতি করতে যাওয়া সজিব ডাকাতি মামলায় ৯বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি, হাইকোর্ট থেকে আপিল করে জামিনে আছে। সদর থানায় ৪/৫ টির বেশি মাদকসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। হাবিব ও সজীব নারায়ণগঞ্জে আজমির ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে পরিচিত। 

৫ আগস্টের পর সন্ত্রাসী ও তাদের গডফাদাররা এলাকা ছাড়লেও হাবিব ও সজীব এলাকায় আছে বহাল তবিয়তে। এর কারণ হাবিবের মাদক ব্যবসার অডেল টাকা ও তাদের দুজনের ক্ষমতা। মাদকের টাকায় হাবিব করেছে এলাকায় আলিশান  দুইতালা বাড়ি। হাবিব ও সজীবের আয়ের উৎস হল  তারা পাইকারি হিরোইন ইয়াবা ও গাজা ব্যবসায়ী। 

এক নং বাবুরাইল, ২ নং বাবুরাইল, জিমখানা, পাইকপাড়া, নলুয়াপাড়া, ঋষিপাড়া সব জায়গায় হাবিব ও সজীবের মাদক বিক্রি হয়। হাবিবের দখলকৃত সবচেয়ে বড় স্পট হলো জিমখানা পানির টাংকি যা ফাইম ও সায়েম দেখে। এসব স্পটে দৈনিক লাখ লাখ টাকার নেশা বিক্রি হয়। 

বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, এখান থেকে মাসোহারা পৌঁছে যায় কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তার পকেটে সেই সাথে নামধারী সাংবাদিকদের কাছে মাসোহারা পৌছে। জনশ্রুতি রয়েছে, এসব অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা ও কথিত সাংবাদিকদের দাপটে হাবিব ধরা ছোঁয়ার বাইরে। 

হাবিবের প্রধান সেলসম্যান মিলন ও মাসুম ওরা একাধিকবার ডিবির কাছে গ্রেফতার হয় পরে বিশাল অংকের টাকা দিয়ে ছাড়া পায়। ওদের দুজনকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসবে বিভিন্ন তথ্য।

এলাকায় একাধিকবার অভিযান পরিচালনা হলেও হাবিবকে ধরতে পারছে না প্রশাসন এর কারণ পুরো এলাকা বিভিন্ন সিসি ক্যামেরা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা জল্লারপাড় মসজিদের সামনে বিভিন্ন দোকানদার তাকে ফোন করে জানিয়ে দেয় এলাকায় পুলিশ আসছে, প্রশাসন ঢোকার আগেই হাবিব সটকে পড়ে। এলাকা ঘনবসতি হওয়ায় লুকিয়ে যায় অন্য কারো ঘরে এজন্য প্রশাসন ধরতে না পড়ে চলে আসে। 

এলাকার সবাই রাতে যখন ঘুমায় তখন তার বিচরণ দেখা যায় বিভিন্ন অলিতে গলিতে। গভীর রাতে সঙ্গী সহ অনেক পাওয়ারের টর্চ লাইট ও দেশি অস্ত্রশস্ত্র  সাথে থাকে ডাকাত সজিব ও কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা। হাবিব ও সজীবের বিরুদ্ধে রয়েছে অন্যের জায়গা দখলে নেওয়ার অভিযোগও। 

একাধিক বাড়ির মালিক তাদের বাড়ির কাজ করতে পারছে না তাদের দুজনের জন্য। চাঁদা না দিলে কাজ বন্ধ। চাঁদা দিয়ে মীমাংসা করলেই বাড়ির কাজ করতে পারছেন। অন্যের কেনা বাড়িতে সাইনবোর্ড  ঝুলিয়ে দিচ্ছে তারা দুজন জায়গার দাবি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। 

এলাকাবাসী এখন হাবিব ও সজীবের হাতে জিম্মি। সবাই এর থেকে মুক্তি চায়। হাবিব এতটাই ধুরন্দর যে প্রশাসনে হাত থেকে বাঁচার জন্য ৫ ই আগস্ট এর পর এলাকায় ওয়াইফাই ব্যবসা দিয়েছে, তার সেলসম্যান মাসুম এই ব্যবসার ম্যানেজার সে সম্পূর্ণ ব্যবসা দেখাশোনা করছে। মাসুমেরও বিভিন্ন  ছবি আছে আজমির ওসমানের মিছিলে ও ১৫ ই আগস্টের খিচুড়ির বিতরনের অনুষ্ঠানে। 

ছাত্র আন্দোলনের সময়  হাবিব, সজীব ও মাসুম তাদের সবারই ওসমান পরিবারের পক্ষে ছিল নজর কাড়া ভূমিকা। মোট কথা এলাকাবাসী এখন সম্পূর্ণ জিম্মি হাবিব ও সজীবের কাছে।

নারায়ণগঞ্জের সব মাদকের স্পটে অভিযান হলেও জল্লারপাড়ায় হাবিবের মাদকের স্পটে কেন অভিযান হচ্ছে না এ নিয়ে এলাকাবাসীর মনে বিভিন্ন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। এলাকাবাসী দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে তারা হাবিব ও সজীবের জিম্মি থেকে মুক্তি হতে চায়।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হাবিব ও সজীবের জল্লারপাড় লেকে জমজমাট মাদক বানিজ্য