বন্দরে অবৈধ কয়েল কারখানায় অগ্নিকান্ড, ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি
Published: 22nd, March 2025 GMT
বন্দরে একটি অবৈধ কয়েল কারখানায় কাঠ পোড়ানো ডায়ার থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে সোনারগাঁও ফায়ার সার্ভিসের ২ ইউনিট দুই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে শ্রীরামপুর এলাকায় অবস্থিত জমজম নামে কয়েল ফ্যাক্টরিতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকান্ডে প্রায় ২০ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মালিক পক্ষ দাবি করেছেন।
সোনারগাঁও ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা জাহিদ চৌধুর বলেছেন, কয়েল ফ্যাক্টরীর কর্মচারীদের অবহেলায় এ অগ্নিকান্ড ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, শ্রীরামপুর- কাজিপাড়া সড়কের মোড়ে কয়েল ফ্যাক্টরি হঠাৎ আগুনের ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানপাট ও বাড়ি ঘরে। আতঙ্কে প্রাণ বাঁচাতে বাড়ি ঘর ছেড়ে এদিক ওদিক ছুটাছুটি শুরু করে।
পরে এলাকাবাসী নিরুপায় হয়ে বিদ্যুৎ অফিস ও ৯৯৯ কল দিয়ে সোনারগাঁও ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতা নেন। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সোনারগাঁও ফায়ার সার্ভিসের জাহিদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ২ টি ইউনিট ঘটনাস্থলে দ্রুত সময়ের মধ্যে উপস্থিত হন।
জমজম কয়েল ফ্যাক্টরীর মালিক আমির হোসেন জানান, কারখানায় মজুদ কয়েল সহ প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে ছাই। ডায়ার থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা জাহিদ চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে অনেক দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত দুই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটে নি।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ড র ঘটন স ন রগ
এছাড়াও পড়ুন:
সিজারের সময় নবজাতকের পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সিজারিয়ান অপারেশনের সময় এক নবজাতকের পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ক্লিনিকের চেয়ারম্যান ও আবাসিক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি নিয়ে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে নবজাতকসহ তাদেরকে ক্লিনিক থেকে বের করে দেওয়া হয়। ওই রাতেই শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম হাসপাতালে) নেওয়া হয়।
অভিযুক্ত চিকিৎসক পার্থ সমদ্দার কলাপাড়া পৌর শহরের জমজম ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আবাসিক চিকিৎসক এবং চেয়ারম্যান।শিশুটির
স্বজনদের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) প্রসব বেদনা নিয়ে জমজম ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হন লালুয়ার ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার মেয়ে ও রফিকুলের স্ত্রী মিম বেগম। ওই রাতেই মিমের সিজারিয়ান অপারেশন করেন ডা. পার্থ সমদ্দার। সিজারের কিছুক্ষণ পরই টিকার কথা বলে নবজাতকের পায়ে একটি ইনজেকশন পুশ করা হয়। পরের দিন থেকেই নবজাতকের বাম পা ফুলতে শুরু করে এবং কান্না বাড়তে থাকে। বিষয়টি চিকিৎসক ও নার্সদেরকে অবহিত করলে তারা তাতে কর্ণপাত করেননি। উল্টো ওই ক্লিনিকের কর্মী ও নার্সরা নবজাতকের স্বজনদের সঙ্গে অসদাচরণের পাশাপাশি তাদের ক্লিনিক থেকে বের করে দেন। পরে অন্যত্র এক্সরে করে জানা যায়, সিজারের সময় নবাজতকের পা ভেঙে ফেলেছেন চিকিৎসক।
নবজাতকের মা মিম আক্তার বলেছেন, বাচ্চা অনবরত কান্না করলে প্রথমে নার্স ও পরে চিকিৎককে অবহিত করা হয়। বাচ্চার বাম ফুলে গেলে তা জানানো হয়। কিন্তু, তারা এর কোনো প্রতিকার না করে আমাদের ধমকাতে থাকেন। ক্লিনিক ছেড়ে চলে যেতে চাপ প্রয়োগ করেন।
নবজাতকের নানা সিদ্দিক বলেন, টিকার কথা বলে আমার নাতিকে শরীর অবশ করার ইনজেকশন দিয়েছিল নার্সরা। ইনজেকশনের কার্যকারিতা শেষ হওয়ার পরপরই আমার নাতি অনেক কান্না করে। আমার স্ত্রী নার্সদের বললে তারা তাকে মারধরের চেষ্টা করে। আমাদের সঙ্গে ক্লিনিকের সবাই অনেক খারাপ আচরণ করেছে। এভাবে রোগীদের সঙ্গে প্রাইভেট ক্লিনিকের কর্মকর্তারাও যদি অসদাচরণ করে, তাহলে আমরা কোথায় যাব?
সিজারের সময় নবজাকের পা ভাঙেনি, দাবি করে জমজম ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান ডা. পার্থ সমদ্দার বলেছেন, আমি শিশু বিশেষজ্ঞ নই। নবজাতককে একজন শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেছেন, যদি সিজারিয়ান অপারেশনের প্রশিক্ষণ থাকে, তাহলে এনেস্থেসিস্টও সিজার করতে পারেন। তবে, এনেস্থেসিস্ট একাই সিজারিয়ান অপারেশন করতে পারেন না।
ঢাকা/ইমরান/রফিক