প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে আসতে পারে কিছু ঘোষণা: চীনের রাষ্ট্রদূত
Published: 23rd, March 2025 GMT
অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার ২৫ দেশের জোট বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী ২৬ মার্চ প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে চীনে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। তার চার দিনের এ সফরে দেশটির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ছাড়াও ২৮ মার্চ বৈঠক হবে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে।
সফরের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে আজ রোববার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রসচিব মো.
দুই ঘণ্টার ওই বৈঠক শেষে আলোচনার বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে ইয়াও ওয়েন বলেন, আমরা এ সফরের নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। সফরে কিছু ঘোষণা আসতে পারে। এ নিয়ে এখনো আমাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। সফরটি অত্যন্ত সফল এবং ফলপ্রসু হবে বলে আশা করি।
এই সফরের ফলাফল নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বছর দুই দেশের ৫০ বছর পূর্তি। এই সফর এই উদযাপনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা এ সফর নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। আমাদের প্রত্যাশা, সফরটি অত্যন্ত সফল, ফলপ্রসু এবং মাইলফলক হবে।
প্রধান উপদেষ্টার এই সফর নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ সারা বিশ্বের দৃষ্টি রয়েছে- এমন এক প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সফর। আমরা চাই, সফরটি যেন বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের জন্য ভালো কিছু হয়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’