বাংলাদেশের বিজয়ী জনগণকে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
Published: 24th, March 2025 GMT
জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে বিজয়ী বাংলাদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী ও দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির (ইউএমএল) প্রেসিডেন্ট কে পি শর্মা অলি। আজ সোমবার সকালে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক কাঠমান্ডুতে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন। সে সময় নেপালের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণকে এ অভিনন্দন জানান।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাইফুল হকের প্রায় দেড় ঘণ্টা মতবিনিময় হয়। এ সময় বাংলাদেশ ও নেপালের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, উপমহাদেশের পরিস্থিতি, আন্তর্জাতিক কমিউনিস্ট আন্দোলন, জুলাই-আগস্টের গণ–অভ্যুত্থান ও গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনসহ এ অঞ্চলের গণতান্ত্রিক উত্তরণের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণ আগামী জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তাঁদের রাজনৈতিক প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন, এমনটাই আশা প্রকাশ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য জরুরি। পাশাপাশি সাইফুল হক প্রত্যাশা করেন, কে পি শর্মা সরকারের আমলে বিদ্যুৎ, পানিসহ শিল্প, কৃষি ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে বহুমুখী সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক চার দিনের সফরে নেপাল যান। এই সফরে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শংকর পোখরেল, সে দেশের কমিউনিস্ট ও বামপন্থী নেতা, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সফরের শেষ দিনে আজ প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির সঙ্গে বৈঠক করেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা থেকে রক্ষা করতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান
ফিলিস্তিনি জনগণকে গণহত্যা ও নিষ্ঠুরতম বর্বরতা থেকে রক্ষা করতে অবিলম্বে পরিপূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
আজ বুধবার ফিলিস্তিন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ইসরায়েল এ পর্যন্ত ৫৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে গণহত্যা অব্যাহত রেখেছে। তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য দায়ী সকলকে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
আরো পড়ুন:
ইসরায়েলি মানবাধিকার সংগঠনই বলছে, ‘গাজায় গণহত্যা চলছে’
ফিলিস্তিন সংকট সমাধান: সবার দৃষ্টি জাতিসংঘের বিশ্ব সম্মেলনে
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন পুর্নব্যক্ত করে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি স্থাপনের একমাত্র পথ হিসেবে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের লক্ষ্যে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
গাজা পুনর্গঠনে আরব পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের নেতৃত্বে গাজা পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে প্রস্তত রয়েছে। তিনি গাজায় জাতিসংঘের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম বাধা দেয়ার যেকোনো প্রচেষ্টা সর্বাত্বকভাবে প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান।
২০২৩ সালের অক্টোবরের পর হতে গাজায় অব্যাহত ইসরায়েলি আক্রমণের প্রেক্ষাপটে ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি একাত্মতা প্রকাশ এবং একটি স্থায়ী সমাধানের পথ সুগম করতে জাতিসংঘের সদস্যদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করার জন্য ফ্রান্স ও সৌদি আরবের যৌথ উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী ‘জাতিসংঘ হাইলেভেল ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ফর দ্য পিসফুল সেটেলমেন্ট অব দ্য কোয়েশ্চেন অব প্যালেস্টাইন অ্যান্ড দ্য ইমপ্লিমেন্টেশন অব দ্য টু-স্টেট সল্যুশন’ শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
এতে বাংলাদেশসহ ১১৮টি দেশের প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করছে।
ঢাকা/হাসান/ফিরোজ