কয়েক দিন আগে অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা দেন চিত্রনায়িকা বর্ষা। কারণ হিসেবে এ অভিনেত্রী বলেন— “ছেলেরা বড় হচ্ছে, বড় হয়ে তারা যদি দেখে, তার মা সিনেমার নায়িকা, তখন কী ভাববে? এসব চিন্তা করেই সিনেমা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

বর্ষা অভিনয় ছাড়ার বক্তব্যের একটি ফটো কার্ড নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপা খন্দকার। পাশাপাশি বর্ষার বক্তব্যর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে লেখেন— “আপনার সন্তান যদি আপনাকে চলচ্চিত্রের তারকা হিসেবে দেখে, এটা হবে গর্বের মুহূর্ত।”

অভিনয় ছাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বর্ষা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা নিয়ে আপত্তি করেছেন দীপা খন্দকার। তার এ পোস্টে শোবিজ অঙ্গনের অনেকে মত প্রকাশ করেছেন। বর্ষার উদ্দেশ্যে ছুড়ে দিয়েছেন কিছু প্রশ্ন।

আরো পড়ুন:

তামিমের সুস্থতায় তারকাদের প্রার্থনা

ফারিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চাকরি হারালেন সেই যুবক

অভিনেতা জিতু আহসান লেখেন, “সম্মানের সঙ্গে বলছি, তার মানে সিনেমার নায়িকারা খারাপ? ছেলে ১৪-১৫ বছর বয়সে মাকে সিনেমার নায়িকা দেখলে খারাপ, তাহলে উনি এখন যে নায়িকা (জোর করে) সেটা খারাপ না? আর এটা এত যে খারাপ পেশা, সেখানে স্বামীর প্রযোজনা সিনেমায় জোর করে নায়িকা হয়ে থাকার দরকার কি?”

জিতু আহসানের কমেন্টের জবাবে দীপা খন্দকার লেখেন, “ভাই, আমি বুঝিয়েছি, সন্তান যদি ওই বয়সে মাকে নায়িকা দেখে তাহলে এটা একটা গর্বের মুহূর্ত হবে। আর আমি আমার শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত অভিনয় করতে চাই। সুতরাং উনার কথার সঙ্গে সহমত পোষণের প্রশ্নই আসে না।”

এরপর আরেকটি মন্তব্য করেন দীপা। তাতে তিনি লেখেন, “ওই মহিলার কথা শুনে আমার খারাপ লাগছে। একটা মশাও তো তার স্বামীকে চিনত না। মিডিয়াতে এসে মানুষ চেনার পর সেই মিডিয়া খারাপ! যে পাতে খায়, সেই পাতে…।” এ মন্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন জিতু আহসান।

দীপা খন্দকার, জিতু আহসানের ভাবনার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন তাদের ভক্ত ও সহকর্মীরাও। অনেকে বর্ষার বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করছেন। অভিনেতা স্বাধীন খসরু লেখেন, “ভয়ংকর অপদার্থ।” গায়ক লুৎফর হাসান লেখেন, “আহারে মুনাফিক। যে পাতে খায়, সেই পাতেই ডট ডট।”

নাট্যনির্মাতা আশিকুর রহমান লেখেন, “এরা এমন ভণ্ড কেন? এরা নিজেরা ইয়াং বয়সে সিনেমার নায়িকা হবে, নেম-ফেম উপভোগ করবে। কিন্তু সন্তানকে শেখাবে সিনেমার নায়িকা একটা খারাপ জিনিস!” তা ছাড়াও নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিকসহ অনেকে আপত্তি জানিয়েছেন।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক চলচ চ ত র বর ষ র কর ছ ন আহস ন

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকায় অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে শনিবার

ঢাকায় দুই দিনব্যাপী অটোমোবাইল ও কৃষি যন্ত্রপাতির প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী শনিবার। এতে অটোমোবাইল, কৃষি যন্ত্রপাতিসহ হালকা প্রকৌশল খাতের ২৬টি স্টল থাকবে। পাশাপাশি শিল্পের সহায়ক প্রতিষ্ঠানের স্টল থাকবে আরও ১২টি। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সহযোগিতায় এই প্রদর্শনীর আয়োজন করছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এডিসন প্রাইম ভবনের ছাদে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এই ভবনেই বিসিআইয়ের কার্যালয় অবস্থিত।

আজ বৃহস্পতিবার বিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী নিয়ে বিস্তারিত জানান চেম্বারটির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী, বিসিআইয়ের পরিচালক মো. শাহেদ আলম, এস এম শাহ আলম, জিয়া হায়দার প্রমুখ।

বিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, হালকা প্রকৌশল খাতে বাংলাদেশে বর্তমানে ছোটবড় প্রায় ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই খাতে কাজ করেন ১০ লাখ মানুষ। হালকা প্রকৌশল খাতে স্থানীয় বাজার ১২ বিলিয়ন ডলারের হলেও দেশীয় উৎপাদকেরা অর্ধেক পূরণ করতে পারছেন। তা ছাড়া হালকা প্রকৌশল খাতের বৈশ্বিক বাজারের আকার প্রায় ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। তিনি আরও বলেন, তৈরি পোশাক খাত আর বেশি মূল্য সংযোজন করতে পারবে না। ফলে আমাদের অর্থনীতিকে টেকসই করতে হলে আমাদের অন্য খাতে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে হালকা প্রকৌশল খাত পারে বড় সম্ভাবনার।

অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সভাপতি আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রতিবছর কৃষিজমি কমছে। কৃষকের বয়স বাড়ছে, তার কারণ তরুণেরা খুব কম কৃষিকাজে আসছেন। বিশ্বের অনেক দেশেই মোট জনগোষ্ঠীর ১০ শতাংশের কম কৃষিকাজে নিয়োজিত। ১০ শতাংশ মানুষ বাকি ৯০ শতাংশের জন্য খাদ্য জোগান দিচ্ছে। সে কারণে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। বাংলাদেশেও কৃষিকাজে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। তবে বড় অংশই আমদানি করতে হচ্ছে।

আলিমুল আহসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে ১২০০ থেকে ১৫০০ কোটি টাকার কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার আছে। তার মধ্যে দেশীয় কোম্পানিগুলো সরবরাহ করছে মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ কোটি টাকার যন্ত্রাংশ। নীতিসহায়তা পেলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ