ঢাকাসহ চার শহরে ১১ এপ্রিল ‘স্বাধীনতা কনসার্ট’ হবে
Published: 27th, March 2025 GMT
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের চারটি শহরে আগামী ১১ এপ্রিল ‘স্বাধীনতা কনসার্ট’ হবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজক ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ ফাউন্ডেশন। এর সভাপতি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ ফাউন্ডেশনের ব্যানারে ঢাকা ও চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়া শহরে একযোগে এই কনসার্ট হবে। ১১ এপ্রিল বেলা ৩টা থেকে কনসার্ট শুরু, চলবে রাত ১১টা পর্যন্ত।
ঢাকার কনসার্টটি হবে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। কনসার্টে অংশ নেবেন জেমস, নীলা, পড়শী, জেফার, অনিমেষ রায়, মাহাথিম সাকিব, আলেয়া বেগম, মিফতা জামানসহ জনপ্রিয় শিল্পীরা। এ ছাড়া কনসার্টে থাকছে ফিডব্যাক, শিরোনামহীন, অ্যাফিক ব্যান্ড।
চট্টগ্রামের কনসার্টটি হবে নগরীর এম এ আজীজ স্টেডিয়ামে। কনসার্টে অংশ নেবে মাইলস, নাটাই, সাবকন্সিয়াস, বে অব বেঙ্গল ব্যান্ড। এ ছাড়া কনসার্টে অংশ নেবেন ইমরান, কোনাল, শুভ্র, মৌসুমী ও মিথুন বাবু।
বগুড়ায় এখন পর্যন্ত দুটি ভেন্যুতে কনসার্ট আয়োজনের কথা চলছে। এর মধ্যে একটি আলতাফুন্নেসা খেলার মাঠ, অন্যটি সরকারি আজিজুল হক কলেজ খেলার মাঠ। বগুড়ার কনসার্টে অংশ নেবে আর্টসেল, অ্যাভয়েড রাফা, ভাইকিংস, বাগধারা ব্যান্ড। এ ছাড়া কনসার্টে অংশ নেবেন কনকচাঁপা, অমিয়া ও লুইপা।
খুলনার কনসার্টে অংশ নেবে ওয়ারফেজ, সোনার বাংলা, রাইফেলস, কুঁড়েঘর ৫, ভাগ্যক্ষণ। আরও থাকছেন তাহসান, জয় শাহরিয়ার, লিজা ও পলাশ।
সংবাদ সম্মেলনে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, তাঁরা বাংলাদেশের গান, বাংলাদেশের কৃষ্টি ও নিজস্ব সংস্কৃতি ধরে রাখার তাগিদে এই আয়োজন করছেন। তাঁরা নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতি তুলে ধরতে চান। বাংলাদেশের সংস্কৃতির ওপর যে একটি আগ্রাসন, তা তাঁরা বারবার মোকাবিলা করছেন।
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী আরও বলেন, কোনোভাবেই যেন বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে ভারতীয় ও পাকিস্তানি গান প্রাধান্য না পায়, সেদিকে তাঁরা বিশেষভাবে নজর দেবেন। এ আয়োজনে তাঁরা বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করার জন্য স্থানীয় লোকগান, সংস্কৃতি ও কৃষ্টিগুলো তুলে ধরবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সদস্য আতিকুর রহমান রুমন, এস এম জিলানী, মোনায়েম মুন্না ও রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র কনস র ট
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।