অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলীকে অবশেষে বদলি করা হয়েছে। গত সোমবার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশীদ মিয়া স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
কালীগঞ্জ উপজেলা অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার উপজেলা প্রকৌশলী আহসান হাবীবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির খবর প্রকাশের পর থেকেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে অভিযোগকারী দুই চেয়ারম্যান ও দুইজন প্যানেল চেয়ারম্যানকে ওই দিনই উপজেলা পরিষদে তলব করেন। তিনি তাদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এছাড়া প্রকৌশলী আহসানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে ইউএনও দেদারুল ইসলাম বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ইমরান হোসেন নামে এক ঠিকাদার।
বদলি হওয়া ও অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকৌশলী আহসান হাবীব বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে অনিয়মের বিষয়ে বক্তব্য না দিয়ে অফিসে এসে কথা বলতে বলেন তিনি।
নবাগত উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ শাহরিয়ার আকাশ বলেন, তিনি জেলা প্রকৌশল অফিসে যোগদান করেছেন। সরকারি ছুটির কারণে এখনও পুরোপুরি কালীগঞ্জ অফিসের দায়িত্ব বুঝে নিতে পারেননি।
‘উন্নয়ন কাজে ঘুষ চান প্রকৌশলী’ শিরোনামে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির সংবাদ গত শনিবার সমকালে প্রকাশিত হয়। এর একদিন পর সোমবার এক অফিস আদেশে তাঁকে বাগেরহাট জেলায় বদলি করা হয়। এরপর এ উপজেলাতে নতুন প্রকৌশলী হিসেবে সৈয়দ শাহরিয়ার আকাশ নিয়োগ পান। তিনি এর আগে মহেশপুর উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা
সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’
জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।
সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।
তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"
"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।
ঢাকা/ইয়াসিন