বিকেএসপিতে হার্ট অ্যাটাকের পরপরই পাশবর্তী কেপিজে হাসপাতালে দ্রুততার সঙ্গে তামিম ইকবালের হার্টে রিং পরানো হয়। অথচ হাসপাতালে আনার আগে তার পালসও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

বুকে ব্যাথা শুরু হলে কেপিজে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বিকেএসপিতে ফেরেন তামিম। কিন্তু আবার ব্যথা শুরু হয়, অল্পসময়ে অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকে।

হেলিকপ্টার নিয়ে আসা হলেও তামিমের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল তোলা যায়নি তাতে। এরপর নেয়া হয় কেপিজেতে। সেখানে রিং পরানোসহ চিকিৎসা শেষে তামিম ধীরে ধীরে সুস্থ হতে থাকেন। একদিন পর আনা হয় রাজধানীর এভার কেয়ারে।

আরো পড়ুন:

চারদিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় তামিম

‘সতর্কতার সঙ্গে লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে হবে তামিমকে’

সব মিলিয়ে চারদিন পর আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ) তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তামিমের চিকিৎসার জন্য গঠিত এভার কেয়ারের মেডিকেল বোর্ডের প্রধান  অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার মনে করেন তামিম পৃথিবীর সেরা চিকিৎসা পেয়েছেন।

“আল্লাহর রহমতে উনি পৃথিবীর সেরা চিকিৎসা পেয়ে আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন। এ জন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”

বাসায় গেলেও তামিমকে যেতে হবে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে, “তামিম এখন স্থিতিশীল। তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। কিছু ওষুধ, জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এবং পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার নির্দেশনা দিয়ে তাকে বাসায় ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”

“চিকিৎসার পুরো প্রক্রিয়ায় তিনি আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। আশা করছি, নিয়ম মেনে চললে দ্রুতই সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে পারবেন” -আরও যোগ করেন চিকিৎসক।

এদিকে গতকাল তামিমের ব্যক্তিগত তথ্য সামনে আনায় ক্ষমা চেয়েছেন শাহবুদ্দিন, “গতকাল তামিমের শারীরিক অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি হিসেবে ধূমপানের প্রসঙ্গ এসেছে। এখানে তামিমের নামটা ভুলবশত জড়ানোর জন্য আমি দুঃখিত।”

ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত ম ম ইকব ল অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ