Samakal:
2025-09-18@01:42:08 GMT

মিথি ও তিথির ঈদ

Published: 28th, March 2025 GMT

মিথি ও তিথির ঈদ

মিথি ও তিথি দুই বোন। ওরা ভালো ছাত্রী। তিথির বয়স ৯। সে ক্লাস ফোরে পড়ে আর মিথির বয়স আট। সে পড়ছে থ্রিতে। ওদের বাবা জার্মানি থাকেন। তিথি, মিথি আর ওদের মা একসঙ্গে থাকে। ওদের মা একজন স্কুলশিক্ষক। তিথি এবং মিথি ওদের মায়ের স্কুলেই পড়ে। এতে ওদের খুব সুবিধা। সারাক্ষণ মায়ের কাছাকাছি থাকতে পারে। তিথি আর মিথি খুব ভালো মেয়ে। তারা ঝগড়া করে না। মারামারি করে না। একদিন মিথি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার খুব জ্বর। সে স্কুলে যেতে পারে না। তিথির এতে ভীষণ মন খারাপ হয়। স্কুলে গিয়ে অনেকটা সময় বোনকে ছেড়ে থাকতে তার ভীষণ কষ্ট হয়। স্কুল থেকে ফেরার পথে সে মনে মনে ভাবে, বাসায় গিয়ে সে বোনের যত্ন করবে। এর আগে ডাক্তার কাকু বলেছিলেন, ফল খেলে রোগ কম হয়। জ্বর হলে লেবু, বাতাবিলেবু এসব খাওয়াতে হয়।
স্কুল থেকে ফিরে এসে হাতমুখ ধুয়ে তিথি গাছ থেকে লেবু আর বাতাবিলেবু পেড়ে আনে। টাটকা লেবু দিয়ে মিথির জন্য শরবত করে। বাতাবিলেবুর খোসা ছাড়িয়ে লবণ-মরিচ দিয়ে মেখে দেয়। মায়ের সঙ্গে মিথির মাথা ধুয়ে দেয়।
দু’দিন পরেই তিথির সেবাযত্নে মিথি সুস্থ হয়ে ওঠে। 
তারপর মিথি-তিথি আবার একসঙ্গে স্কুলে যায়। মা তিথির কাজে খুশি হয়। তিনি বলেন, তিথি তুমি সত্যি বোনের মতো বোন। প্রতি ঈদের মতো এই ঈদেও মিথি-তিথি একই রকম জামা কিনবে। একসঙ্গে দু’জন মনের আনন্দে ঘুরবে। একজনকে রেখে আরেকজন কোথাও যাবে না।

n বয়স : ৩+৪+৪ বছর; পঞ্চম শ্রেণি, ৮৮ নং মানিকগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মানিকগঞ্জ

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঈদ উৎসব

এছাড়াও পড়ুন:

একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল

একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।

ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।

আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগে

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যে ১০ কারণে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে বেশি ঝগড়া হয়
  • স্মার্ট সিটি হবে চট্টগ্রাম, একসঙ্গে কাজ করবে গ্রামীণফোন-চসিক
  • অনলাইন জীবন আমাদের আসল সম্পর্কগুলোকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে
  • তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন
  • প্রেমিকের সঙ্গে বাগদান সারলেন হুমা কুরেশি!
  • একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল