হোজ্জা নাসিরুদ্দিন বা নাসিরুদ্দিন হোজ্জার নাম তো তোমরা শুনেছো। তাঁর হাসির অনেক গল্প বা কৌতুকও তোমরা জানো। চলো সেই হাসির রাজা হোজ্জার সঙ্গে আমরাও একটু হাসাহাসি করি...
আপনার ওষুধ আপনিই খান
হোজ্জার স্মৃতিশক্তি কমে যেতে চলেছে; বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি গেলেন হেকিমের কাছে। হেকিম স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর ওষুধ দিলেন হোজ্জাকে। কয়েক মাস ঠিকঠাক থাকার পর ফের ওষুধ আনতে গেলেন হেকিমের কাছে। হেকিম তাঁকে দেখে বললেন, ‘গতবার তোমাকে কী ওষুধ দিয়েছিলাম, সেটি একেবারেই মনে করতে পারছি না।’
‘মনে করতে না পারলে আপনার ওষুধ আপনি নিজেই খান।’ এই বলে হোজ্জা বাড়ির দিকে হাঁটা ধরলেন।
দুই যমজ ভাই
দুই যমজ ভাই থাকে হোজ্জাদের গ্রামে। একদিন কোত্থেকে এসে হোজ্জা শুনলেন, যমজ ভাইদের একজন মারা গেছে। প্রতিবেশী সেই পরিবারটিকে সমবেদনা জানাতে বের হলেন তিনি। একটু এগিয়ে যেতে না যেতেই সেই যমজ ভাইদের এক ভাইকে দেখে হোজ্জা দৌড়ে তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমাদের মধ্যে কোনজন মারা গেছে– তুমি না তোমার ভাই?’
ঘুমের খোঁজে গ্রামের পথে
এমনিতেই ভয়কাতুরে হোজ্জা। এক মধ্যরাতে ভয়টয় ভুলে রাস্তা দিয়ে একা হেঁটে যাচ্ছিলেন তিনি। গার্ড তাঁকে দেখে কাছে গেলেন। তারপর জিজ্ঞেস করলেন, ‘এতো রাতে রাস্তায় একাকী কী করছেন হোজ্জা?’
হোজ্জা মাথা চুলকাতে চুলকাতে বললেন, ‘আমার ঘুম হারিয়ে গেছে। তাকে খুঁজতে বের হয়েছি ভাই!’
লবণ আর তুলো
হোজ্জা নতুন করে লবণের ব্যবসা শুরু করলেন। একদিন তিনি গাধার পিঠে লবণের বস্তা তুলে বাজারের পথ ধরলেন। গাধাসহ পথে নদী পার হলেন। ওমা, পাড়ে ওঠে দেখেন নদীর পানিতে ধুয়ে লবণের বস্তা পুরো ফাঁকা! মহা বিরক্ত হলেন হোজ্জা। অন্যদিকে পিঠের ভার কমে যওয়ায় খুব খুশি তাঁর গাধা।
ক’দিন পরে গাধার পিঠে বস্তাসহ হোজ্জা ফের সেই নদী পার হলেন। এবার বস্তায় লবণ নেননি তিনি, নিলেন তুলা। নদী পার হয়ে গাধার পা টলমল শুরু করে দিল। হোজ্জা গাধার কানে কানে বললেন, ‘কী, ভেবেছিলে এবারও পানি দিয়ে গেলে বস্তার সব ধুয়ে ওজন কমে যাবে, না?’ n
গ্রন্থনা : ফাহমিদা রিমা
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি