বারো বছর আগে যখন কর্তৃপক্ষ ইস্তাম্বুলের গেজি পার্ক ধ্বংস করে সেখানে শপিং মল বানাতে যাচ্ছিল, তখন পার্কটিকে বাঁচাতে হাজার হাজার মানুষ ইস্তাম্বুলের রাস্তায় নেমেছিল। আমি সে সময় একটি লেখায় প্রশ্ন তুলেছিলাম: ‘তুরস্ক কেন বিদ্রোহ করছে?’

আর আজ মানুষ আবার রাস্তায় নেমেছে। তবে এবার কারণ ভিন্ন। তারা শুধু গাছ বা সবুজ জায়গার জন্য নয়, বরং বছরের পর বছর ধরে চলা আইনের অপব্যবহার ও কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। তখনকার মতো এখনো তুরস্কের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় মানুষের ক্ষোভ বেড়ে চলেছে।

স্থানীয় নির্বাচনে দু’বার ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টিকে (একেপি) পরাজিত করা নেতা ও ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সেই দিন, যেদিন তিনি ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণার কথা ভাবছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ঘুষ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই অভিযোগকে বিরোধীরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। অনেকের মতে, ইমামোগলু প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। এ কারণে তাঁর এই আকস্মিক গ্রেপ্তার কাকতালীয় নয়।

ইমামোগলুর গ্রেপ্তারে জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। ইস্তাম্বুল, আঙ্কারা, ইজমির, কোনিয়া, দিয়ারবাকিরসহ সারা দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। লাখো মানুষের জন্য এটি শুধু একজন ব্যক্তি বা একটি রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন নয়; বরং এটি পুরো রাজনৈতিক ব্যবস্থার বৈধতা হারানোর বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।

এখন তুরস্ক জুড়ে একটাই প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে—কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতন কি আর রোধ করা সম্ভব হবে?

যারা ২০১৩ সালের গেজি আন্দোলন দেখেছেন, তাঁদের কাছে বর্তমান পরিস্থিতির চিত্র বেশ পরিচিত। রাস্তায় টিয়ার গ্যাস, শহরের কেন্দ্রে স্লোগান, আদালত ও বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে পুলিশ মোতায়েন—এগুলো আন্দোলনে সাধারণ দৃশ্য।

তবে এবার আন্দোলনের কেন্দ্রে রয়েছে অর্থনীতি। ২০১৩ সালে তুরস্ককে তখনও একটি সম্ভাবনাময় উদীয়মান অর্থনীতি হিসেবে দেখা হতো। প্রবৃদ্ধি ভালো ছিল, মুদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশের আশপাশে ছিল, এবং লিরার মান স্থিতিশীল ছিল।

একেপি সরকার তখনও ২০০০ সালের গোড়ার দিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সমর্থিত সংস্কারের সুফল ভোগ করছিল এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করেছিল।

কিন্তু সেই উজ্জ্বল চিত্র এখন ভেঙে পড়েছে। ২০২৫ সালে তুরস্কের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে গেছে, আর মুদ্রাস্ফীতি এখনো দুই অঙ্কের ঘরে রয়ে গেছে; যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি প্রচলিত অর্থনৈতিক নীতিতে ফিরে এসেছে।

বছরের পর বছর অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার ফলে যে বৈদেশিক বিনিয়োগ হারিয়ে গিয়েছিল, তার কিছুটা গত বছর ফিরে আসতে শুরু করেছিল। কিন্তু ইমামোগলুর গ্রেপ্তারের পর বিনিয়োগকারীদের আস্থা আবার ধাক্কা খেয়েছে। লিরার মান ব্যাপকভাবে কমে গেছে, আর তুরস্কের ঝুঁকি সূচক বেড়ে গেছে।

২০১৩ সালের মতো, চলমান বিক্ষোভের গভীর বার্তাটি স্পষ্ট—অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক স্থিতিশীলতা একে অপরের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। আপনি যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ে দক্ষ প্রযুক্তিবিদ নিয়োগ করেন, তবুও যদি বিচারব্যবস্থা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়, গণমাধ্যম স্তব্ধ করে দেওয়া হয়, এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো চাপে রাখা হয়, তাহলে শুধু এই "দক্ষ লোকজন" যথেষ্ট নয়। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা রাজনৈতিক ঝুঁকিকে অর্থনৈতিক ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করে, যা মূলধনের ব্যয় বাড়িয়ে দেয়।

একটি গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখার জন্য শুধু প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন ও দক্ষ প্রযুক্তিবিদ যথেষ্ট নয়। টেকসই গণতন্ত্রের ভিত্তি হলো শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। যখন আইনের শাসন দুর্বল হয়ে যায়, ভিন্নমত দমন করা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও গণমাধ্যম স্বাধীনতা হারায়, তখন অর্থনীতিও ধসে পড়ে।

গণতন্ত্র খুব কম ক্ষেত্রেই এক মুহূর্তে ধ্বংস হয়। এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিঃশেষের পথে এগিয়ে যায়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা, বিরোধীদের কারাবন্দী করা বা নির্বাচন থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা, প্রতিবাদকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া ইত্যাদির মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয়। তবে কবি ডিলান থমাসের কথা ধার করে বললে বলা যায়, তুরস্কের জনগণ দেখিয়ে দিচ্ছে, তারা এত সহজে স্বৈরাচারের অন্ধকারে তলিয়ে যাবে না।

ইমামোগলুর কারাবাস হয়তো সেই শেষ ধাক্কা হতে পারে। এটি তুরস্কের মানুষকে আরও বেশি ভাবিয়ে তুলেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার মধ্যকার সম্পর্ক তারা এখন ভালোভাবেই বুঝতে পারছে।

ইমামোগলু শুধু একজন জনপ্রিয় মেয়র নন, তিনি রাজনৈতিক বহুত্ববাদ ও গণতন্ত্রের সম্ভাবনার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচনে তার টানা বিজয় জনগণের পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করেছিল। কিন্তু এখন তার অপসারণ দেখিয়ে দিচ্ছে যে এরদোয়ানের সরকার সেই পরিবর্তন গণতান্ত্রিক উপায়ে ঘটতে দিতে চায় না।

এই মুহূর্তটি গেজি আন্দোলনের চেয়েও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি আরও বৃহৎ ও বৈচিত্র্যময় প্রতিরোধের প্রতিফলন। ২০১৩ সালের আন্দোলন মূলত ধর্মনিরপেক্ষ, শহুরে তরুণদের দ্বারা চালিত ছিল। কিন্তু আজকের বিক্ষোভ সামাজিক, প্রজন্মগত এবং মতাদর্শগত বিভাজন অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছে।

শিক্ষার্থী, শ্রমিক সংগঠনের সদস্য, ছোট ব্যবসায়ীরা, রক্ষণশীল তরুণেরা, উদারপন্থীরা, বয়স্করা এবং কুর্দিরা সবাই একসঙ্গে রাজপথে নেমেছে। তাদের একমাত্র স্লোগান: ‘হক, হুকুক, আদালেত’—অর্থাৎ ‘অধিকার, আইন, ন্যায়বিচার’।

আরও পড়ুনএরদোয়ানবিরোধী লড়াইয়ে তরুণেরা যেভাবে পথ দেখাচ্ছেন ১৭ ঘণ্টা আগে

তাদের ক্ষোভ কেবল ইমামোগলুকে ঘিরে নয়। তারা প্রতিবাদ করছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ইচ্ছাকৃত অপব্যবহারের বিরুদ্ধে, যা ভিন্নমতকে অপরাধে পরিণত করছে এবং অর্থনৈতিক বৈষম্যকে আরো দৃঢ় করছে।

যখন বিচার ব্যবস্থা রাজনৈতিক হয়ে যায়, তখন ভিন্নমতাবলম্বীরা দেশদ্রোহী বলে চিহ্নিত হন, আর যারা সরকারের অনুগত, তারা সুবিধা ভোগ করেন, বিপরীতে স্বাধীন কণ্ঠস্বরগুলো শাস্তি পায় এবং সমাজের প্রান্তে ঠেলে দেওয়া হয়।

কাঠামোগত সমস্যা (যেমন নারী হত্যা, শিক্ষা ব্যবস্থার বৈষম্য, তরুণদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া) অবহেলিতই থেকে যায়, কারণ সরকারি সম্পদ ইতিহাস নতুনভাবে লেখার কাজে এবং সরকারের অনুগতদের পুরস্কৃত করতে ব্যয় করা হয়।

এটি শুধু তুরস্কের নাগরিকদের জন্য নয়, বরং দেশটির মিত্রদের জন্যও উদ্বেগের কারণ হওয়া উচিত, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য। আসলে, এটি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনের সঙ্গে কিছু মিল দেখিয়ে দেয়।

ইউরোপের অনেক গণতান্ত্রিক দেশ যেখানে ইমামোগলুর কারাবাসের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে, সেখানে ৮ কোটি ৫০ লাখ মানুষের এই ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধসে পড়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া অনেকটাই নীরব।

এর চেয়েও খারাপ হলো, গত এক দশকে তুরস্কে যা ঘটেছে, তার অনুরূপ ঘটনাগুলো এখন যুক্তরাষ্ট্রেও দেখা যাচ্ছে। ট্রাম্প প্রশাসন জ্ঞানের প্রতিষ্ঠানে, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর বারবার আঘাত হেনেছে। কারণ, উচ্চশিক্ষিত ভোটাররা সাধারণত বিরোধী দল, অর্থাৎ ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন করে, তাই একাডেমিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটি সহজ টার্গেটে পরিণত করা হয়েছে।

একাডেমিক স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, বিজ্ঞানের অস্বীকৃতি এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচারের যে ধারা তুরস্কে ২০১৩ সাল থেকে চলে আসছে, সেটি যুক্তরাষ্ট্রেও দেখা যাচ্ছে।

তুরস্ক এখনো সম্পূর্ণরূপে গণতন্ত্র হারায়নি। কিন্তু এটি ভয়ানকভাবে স্বৈরতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের পথে ফিরবে নাকি স্বৈরতন্ত্রের দিকে আরও গভীর হবে, তা আগামী দিনের সিদ্ধান্তগুলোর ওপর নির্ভর করছে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিস্থিতির দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত। শুধু তুরস্কের ভূরাজনৈতিক গুরুত্বের কারণে নয়, বরং কারণ দেশটির রাস্তায় ছাত্রদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর যে লড়াই চলছে, তা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র ও তার শত্রুদের মধ্যকার সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি।

গণতন্ত্র খুব কম ক্ষেত্রেই এক মুহূর্তে ধ্বংস হয়। এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিঃশেষের পথে এগিয়ে যায়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা, বিরোধীদের কারাবন্দী করা বা নির্বাচন থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা, প্রতিবাদকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ নেওয়া ইত্যাদির মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয়।

তবে কবি ডিলান থমাসের কথা ধার করে বললে বলা যায়, তুরস্কের জনগণ দেখিয়ে দিচ্ছে, তারা এত সহজে স্বৈরাচারের অন্ধকারে তলিয়ে যাবে না।

শেবনেম কালেমলি-ওজকান ব্রাউন ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক এবং গ্লোবাল লিঙ্কেজ ল্যাবের পরিচালক।

স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট অনুবাদ: সারফুদ্দিন আহমেদ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গণত ন ত র ক ২০১৩ স ল গণতন ত র ত রস ক র র জন ত ক ল র ওপর ব যবস থ র পর ব র র অন র জন য ব স হয় সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে

দুর্নীতি ও রায় জালিয়াতির অভিযোগের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে পুলিশ তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্ল্যাহর আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

২০২৪ সালের ২৭ অগাস্ট শাহবাগ থানায় দুর্নীতি ও রায় জালিয়াতির অভিযোগের মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। 

গত ২৪ জুলাই সকালে ঢাকার ধানমন্ডির বাসা থেকে সাবেক এ প্রধান বিচারপতিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।  

সম্প্রতি তার গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। সংগঠনটি দাবি করেছে, ‘বিচার বিভাগ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের মূল কারিগর’ তিনি।

খায়রুল হক ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন এবং ২০১১ সালের ১৭ মে বয়স অনুযায়ী অবসর গ্রহণ করেন। বিচারপতি হিসেবে তার সবচেয়ে আলোচিত এবং বিতর্কিত রায় ছিল সংবিধানের ১৩তম সংশোধনী, অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে। ওই রায়ের পর দেশে আর কোনো নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়নি।

বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ২০১১ সালে এই রায় ঘোষণা করে। এতে বলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অসাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার পরিপন্থি। এরপর থেকে নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরাই সরকারে থেকে নির্বাচন পরিচালনা করছে। বিরোধী দলগুলোর দাবি, এই রায়ের মধ্য দিয়েই দেশে একতরফা নির্বাচন ও গণতন্ত্রহীনতার ভিত্তি তৈরি হয়।

২০১৩ সালের ২৩ জুলাই তাকে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই মেয়াদ শেষে কয়েক দফা কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়। সেখানে তিনি আইন সংস্কার সংক্রান্ত নানা প্রস্তাব ও গবেষণায় যুক্ত ছিলেন। বিভিন্ন সময় আইনি সেমিনার, বক্তৃতা এবং পরামর্শমূলক কাজে অংশ নিয়েছেন তিনি।

আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবী ও মহলগুলো তাকে ‘সংবিধান রক্ষার সাহসী রূপকার’ হিসেবে অভিহিত করলেও, বিএনপি ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর মতে তিনি ‘বিচার বিভাগের রাজনৈতিকীকরণের পথপ্রদর্শক’। 

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম বলেছে, ‘তত্ত্বাবধায়ক বাতিল করে তিনি দেশের নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করেছেন।’

ঢাকা/কেএন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী সরাসরি ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পক্ষে
  • ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লুলার প্রতিবাদে অন্যরাও শামিল হোক
  • এমন কিছু করবেন না যাতে গণতন্ত্র ব্যাহত হয়: মির্জা ফখরুল
  • সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে
  • বিতর্কমুক্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব‍্যবস্থা না হলে গণতন্ত্র আবার হুমকিতে পড়বে: এবি পার্টি
  • মানুষ ঠিকমতো ইভিএম বোঝে না, পিআর বুঝবে কী করে: মির্জা ফখরুল