ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: বিষয় পছন্দক্রমে ফোন ভেরিফিকেশনে বিশেষ নির্দেশনা
Published: 29th, March 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ব্যবসায় শিক্ষা ছাড়া বাকি তিন ইউনিটের বিষয় বরাদ্দ ফরম পূরণ শুরু হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় ফোন ভেরিফিকেশনের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বিষয় পছন্দক্রম পূরণ চলবে। একই সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সম্ভাব্য তারিখও ঘোষণা করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে এক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘বিস্তারিত ফরম এবং বিষয় পছন্দক্রমের সর্বশেষ ধাপ ফোন ভেরিফিকেশন-এ দ্রুত এবং বাধাহীন এসএমএস আদান প্রদানের ক্ষেত্রে ‘টেলিটক, বাংলালিংক অথবা গ্রামীনফোন’ অপারেটরকে প্রাধান্য দেওয়া এবং কোন অপারেটর থেকে যথাসময়ে ফিরতি এসএমএস না পাওয়া গেলে অন্য একটি অপারেটরের মাধ্যমে পুনরায় চেষ্টা করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’
এর আগে অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ব্যতীত অন্য সব ইউনিটের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির বিষয়ের পছন্দক্রম পূরণ করার সর্বশেষ তারিখ আগামী ১৬ এপ্রিল। শিক্ষার্থীদের পূরণকৃত বিষয়ের পছন্দক্রম ও শিক্ষার্থীদের সব ইউনিটের মেধাক্রম পর্যালোচনা করে সফট্ওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিষয় বরাদ্দ প্রদান করা হবে।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সম্ভাব্য বিষয় বরাদ্দ প্রকাশ, জামানত বা আগাম টাকা পরিশোধের তারিখ ও সাক্ষাৎকারের সম্ভাব্য তারিখও দেওয়া হয়েছে। প্রতিবার বিষয় বরাদ্দ প্রকাশের সাথে সাথে বিজ্ঞপ্তি বা নির্দেশনা প্রকাশ করা হবে, যা সকলকে দেখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। বিষয় বরাদ্দ প্রকাশ ও সাক্ষাৎকারের সম্ভাব্য তারিখ-১ম ধাপ ২১-২২ এপ্রিল ও সাক্ষাৎকার ২৫-২৬ এপ্রিল,২য় ধাপ ২৯-৩০ এপ্রিল এবং সাক্ষাৎকার ০২-০৩ মে,৩য় ধাপ ০৬-০৭ মে এবং সাক্ষাৎকার ০৯-১০ মে, চতুর্থ ধাপ ২৭-২৮ মে এবং সাক্ষাৎকার ৩০-৩১ মে। চূড়ান্ত ধাপা ১৬-১৮ জুন এবং সাক্ষাৎকার ২০ জুন।
আরও পড়ুনশিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা পাবেন অনুদান, আবেদন অনলাইনে২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫প্রতি ধাপের বিষয় বরাদ্দের সাথে ইউনিট অফিসের নোটিশে বিস্তারিত থাকবে। উল্লিখিত সময়সূচী বিভিন্ন অবস্থার কারণে পরিবর্তিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে তা যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে।
*অনলাইনে বিস্তারিত ফরম ও বিষয় পছন্দক্রম পূরণ নির্দেশিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন
আরও পড়ুনযুক্তরাজ্যের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ, জেনে নিন খুঁটিনাটি১৩ জানুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউন ট
এছাড়াও পড়ুন:
সুদ পরিশোধে ব্যয় বাড়ছে
সুদ পরিশোধে সরকারের ব্যয় বাড়ছে। এ ব্যয় বহন করতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাজেটে সরকারের সুদ পরিশোধ সংক্রান্ত পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, আগামী বছরগুলোতে সুদ ব্যয় ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে।
পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের প্রায় ১৫ ভাগ অর্থই সুদ খাতে খরচ করতে হচ্ছে এখন। এ পরিস্থিতিতে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতেই ব্যয় করতে হবে চার লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। পাঁচ অর্থবছরের ব্যবধানে সুদ ব্যয় বাড়ছে ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে শতাংশের হিসাবে বৈদেশিক ঋণের সুদ ব্যয় সবচেয়ে বেশি বাড়বে।
অর্থ বিভাগের করা ‘মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি-২০২৫-২০২৬ থেকে ২০২৭-২০২৮’ এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হয়েছিল এক লাখ ১৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ খাতে সুদ ব্যয় ছিল ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় গেছে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে (যা চলতি জুনের ৩০ তারিখে শেষ হয়ে যাবে) মূল বাজেটে সুদ খাতে ব্যয় বরাদ্দ ছিল এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বছর শেষে এই সীমায় সুদ ব্যয় ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। ফলে সংশোধিত বাজেটে এ খাতে ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয়েছে এক লাখ ২১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এ হিসাবের মধ্যে ছিল অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ ব্যয় ৯৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং বিদেশী ঋণের ২২ হাজার কোটি টাকা।
একইভাবে আগামী তিন অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়েরও একটি প্রক্ষেপণ করেছে অর্থ বিভাগ। এই হিসেবে দেখা যায় আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয় হবে এক লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা (অভ্যন্তরীণ এক লাখ কোটি টাকা , বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় ২২ হাজার কোটি টাকা)। একইভাবে এর পরের অর্থবছর ২০২৬-২০২৭ অর্থবছরে একলাখ ৩৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা(অভ্যন্তরীণ এক লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের ২৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা) এবং ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে সুদ খাতে ব্যয়ের প্রক্ষেপণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, মোট সুদ ব্যয়ের সিংহভাগই অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ। অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ৯৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে এক লাখ ২৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা গিয়ে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু মোট বাজেটের অনুপাতে অভ্যন্তরীণ সুদ পরিশোধের হার ২০২৩ -২০২৪ অর্থবছরে ১৬ দশমিক ২৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশে হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ মোট সুদ ব্যয়ের তুলনায় কম, তবে এটি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ফলে এটি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৭-২০২৮ অর্থবছরে ২৭ হাজার ১০০ কোটি টাকায় উন্নীত হতে পারে। মোট বাজেটের অনুপাতে বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ এ সময়কালে ২ দশমিক ৪৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২ দশমিক ৭৬ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।
বিদেশি ঋণের সুদ ব্যয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অর্থ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধের কার্যকর ব্যবস্থাপনা শুধু আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই নয়, বরং এটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রক্ষা, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা, আন্তর্জাতিক ঋণমান বজায় রাখা এবং ভবিষ্যতের উন্নয়ন সম্ভাবনা সুরক্ষিত রাখার জন্য অপরিহার্য।