ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ব্যবসায় শিক্ষা ছাড়া বাকি তিন ইউনিটের বিষয় বরাদ্দ ফরম পূরণ শুরু হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় ফোন ভেরিফিকেশনের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বিষয় পছন্দক্রম পূরণ চলবে। একই সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সম্ভাব্য তারিখও ঘোষণা করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে এক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘বিস্তারিত ফরম এবং বিষয় পছন্দক্রমের সর্বশেষ ধাপ ফোন ভেরিফিকেশন-এ দ্রুত এবং বাধাহীন এসএমএস আদান প্রদানের ক্ষেত্রে ‘টেলিটক, বাংলালিংক অথবা গ্রামীনফোন’ অপারেটরকে প্রাধান্য দেওয়া এবং কোন অপারেটর থেকে যথাসময়ে ফিরতি এসএমএস না পাওয়া গেলে অন্য একটি অপারেটরের মাধ্যমে পুনরায় চেষ্টা করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’

এর আগে অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ব্যতীত অন্য সব ইউনিটের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির বিষয়ের পছন্দক্রম পূরণ করার সর্বশেষ তারিখ আগামী ১৬ এপ্রিল। শিক্ষার্থীদের পূরণকৃত বিষয়ের পছন্দক্রম ও শিক্ষার্থীদের সব ইউনিটের মেধাক্রম পর্যালোচনা করে সফট্ওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিষয় বরাদ্দ প্রদান করা হবে।

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সম্ভাব্য বিষয় বরাদ্দ প্রকাশ, জামানত বা আগাম টাকা পরিশোধের তারিখ ও সাক্ষাৎকারের সম্ভাব্য তারিখও দেওয়া হয়েছে। প্রতিবার বিষয় বরাদ্দ প্রকাশের সাথে সাথে বিজ্ঞপ্তি বা নির্দেশনা প্রকাশ করা হবে, যা সকলকে দেখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। বিষয় বরাদ্দ প্রকাশ ও সাক্ষাৎকারের সম্ভাব্য তারিখ-১ম ধাপ ২১-২২ এপ্রিল ও সাক্ষাৎকার ২৫-২৬ এপ্রিল,২য় ধাপ ২৯-৩০ এপ্রিল এবং সাক্ষাৎকার ০২-০৩ মে,৩য় ধাপ ০৬-০৭ মে এবং সাক্ষাৎকার ০৯-১০ মে, চতুর্থ ধাপ ২৭-২৮ মে এবং সাক্ষাৎকার ৩০-৩১ মে। চূড়ান্ত ধাপা ১৬-১৮ জুন এবং সাক্ষাৎকার ২০ জুন।

আরও পড়ুনশিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা পাবেন অনুদান, আবেদন অনলাইনে২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রতি ধাপের বিষয় বরাদ্দের সাথে ইউনিট অফিসের নোটিশে বিস্তারিত থাকবে। উল্লিখিত সময়সূচী বিভিন্ন অবস্থার কারণে পরিবর্তিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে তা যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে।

*অনলাইনে বিস্তারিত ফরম ও বিষয় পছন্দক্রম পূরণ নির্দেশিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন

আরও পড়ুনযুক্তরাজ্যের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ, জেনে নিন খুঁটিনাটি১৩ জানুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউন ট

এছাড়াও পড়ুন:

১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দপ্তরের সাবেক পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ওরফে পানি জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নোয়াখালীর চাটখিল থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

আরো পড়ুন:

নাফিসা কামালসহ ৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা

সাজিদ হত্যার তদন্তে সিআইডিকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমোদন 

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়ায় নোয়াখালীর চাটখিল থানায় জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার এক নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী হিসেবে কাজ করতেন। পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর তিনি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্বল্প সময়ের জন্য ‘ব্যক্তিগত সহকারী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দায়িত্বই তাকে আর্থিকভাবে লাভবান করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

জসীম উদ্দিন খান জানান, ২০১০ সালে জাহাঙ্গীর ‘স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউশন ব্যবসা নেন। কিন্তু এর আড়ালে তিনি অসংখ্য সন্দেহজনক ব্যাংকিং কার্যক্রম করেন। কোম্পানির নামে একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক অঙ্কের টাকা জমা হয়, যার বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি ও ব্যবসার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাউন্টগুলোতে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৫৬৫ কোটিরও বেশি টাকা লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ নগদে জমা হয়েছে দেশের নানা স্থান থেকে। এসব অর্থের উৎস অজানা এবং হুন্ডি ও মানিলন্ডারিং কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে।

বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন জানান, জাহাঙ্গীর আলম তার স্ত্রী কামরুন নাহার ও ভাই মনির হোসেনের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অর্থ লেনদেন করতেন। জাহাঙ্গীর আলম ও তার স্ত্রী ২০২৪ সালের জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং বর্তমানে ভার্জিনিয়ায় অবস্থান করছেন। বিদেশে তাদের বিনিয়োগ বা সম্পদ ক্রয়ের কোনো সরকারি অনুমোদন না পাওয়া গেলেও তারা যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণ মেলে।

অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী কামরুন নাহার, ভাই মনির হোসেন এবং প্রতিষ্ঠান স্কাই রি অ্যারেঞ্জ লিমিটেড যৌথভাবে ২০১০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অপরাপর সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার স্বার্থে সিআইডির তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
  • যশোরে জিআই পণ্য খেজুর গুড় তৈরির রস সংগ্রহে গাছ প্রস্তুতির উদ্বোধন
  • ১০০ কোটি টাকার পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা