সালামির টাকায় মোবাইল কিনেছিলেন নিশো
Published: 29th, March 2025 GMT
শৈশবে ঈদ সালামির স্মৃতি রয়েছে অনেকের। শৈশব–কৈশোরে ঈদ সালামি পাওয়ার স্মৃতিচারণা করলেন তারকা অভিনেতা আফরান নিশো। পবিত্র ঈদুল আজহায় মুক্তি পাচ্ছে নিশো অভিনীত সিনেমা ‘দাগি’।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকায় সিনেমার এক সংবাদ সম্মেলনে ঈদ সালামি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে নিশো জানান, নানির কাছ থেকে পাওয়া সালামির সঙ্গে আরও কিছু টাকা যোগ করে একটি মোবাইল ফোন কিনেছিলেন তিনি।
আফরান নিশো বলেন, ‘ঈদ এলেই সালামি পেতাম। সেই সময় চকচকে নোট ছাড়া সালামি নিতাম না। আমার মনে পড়ে, নানির কাছ থেকে একটু বেশি সালামি নিয়ে একটা সেলফোন কিনেছিলাম। তখন বাটনফোন ছিল।’
ঈদে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানো উচিত বলে মনে করেন এই তারকা অভিনেতা। তাঁর ভাষ্যে, ‘আমরা যাঁরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করছি, ঈদটা আসলে তাঁদের নয়। সব সময় মনে হয়, যাঁরা হতদরিদ্র, যাঁদের তিন বেলা খাবার জুটছে না (তাঁদের জন্য), তাঁদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। আমাদের যে ধর্মীয় অনুশাসন ও সামাজিক অবস্থান আছে, সেই জায়গা থেকে দায়িত্বগুলো পালন করা উচিত।’
আরও পড়ুনপুলিশের গাড়ি থেকে কয়েদির পোশাকে নামলেন নিশো২৭ মার্চ ২০২৫‘দাগি’ সিনেমায় আফরান নিশো.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০
বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।