৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের আকাশে দেখা যাবে যেসব চমক
Published: 29th, March 2025 GMT
এখন চৈত্র মাস। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হারিয়ে যাওয়া কবিতায় লিখেছেন, আমি ছিলাম ছাতে/ তারায় ভরা চৈত্র মাসের রাতে। কবিগুরুর রেশেই বলা যায়, চৈত্র মাসের আকাশে এখন সন্ধ্যার পর থেকেই তারার মেলা বসছে।
২৯ মার্চ
রাত ৮:৪৭ মিনিটে এরিস তারকামণ্ডলে মাসালিয়া গ্রহাণু দেখা যাবে বেশ উজ্জ্বলভাবে। রাত ১১:০৭ মিনিট পর্যন্ত আকাশে খালি চোখেই টরাস তারকামণ্ডলে বৃহস্পতি গ্রহ দেখতে পাবেন। রাত ১:৫৩ মিনিট পর্যন্ত খালি চোখেই জেমিনি তারকামণ্ডলে মঙ্গল গ্রহ দেখা যাচ্ছে। রাত ১১:৫১ মিনিট পর্যন্ত অরিগা তারকামণ্ডলে এগরিয়া গ্রহাণু দেখা যাবে। ভোর ৫:২০ পর্যন্ত গ্রহাণু ফ্লোরা দেখা যাবে আকাশের লিও তারকামণ্ডলে।
৩০ মার্চ
এদিন গ্রহ আকাশে সন্ধ্যার পরে বেশ কিছু গ্রহ দেখা যাবে। খালি চোখে দেখা যাবে শুক্র গ্রহ ভোর ৫:২০ মিনিট পর্যন্ত। মঙ্গল গ্রহ দেখা যাবে রাত ১:৫৪ মিনিট পর্যন্ত বুধ গ্রহ, শনি ও ইউরেনাস আকাশে থাকলেও দেখা বেশ কষ্টকর হবে। আর নক্ষত্রপুঞ্জের মধ্যে জেমিনিকে সূর্যাস্তের পরে পশ্চিম আকাশে দেখা যাবে। মধ্যরাত পর্যন্ত দেখতে পাবেন। ক্যানসার তারকামণ্ডল জেমিনি মিথুন ও সিংহ রাশির মধ্যে অবস্থার করবে। সন্ধ্যার আকাশে স্পষ্টভাবে দেখতে পাবেন।
৩১ মার্চ
ভোরে খালি চোখেই আকাশে শুকতারা বা শুক্র গ্রহ স্পষ্ট দেখতে পাবেন। এদিন লিও তারকামণ্ডল বেশ উজ্জ্বলভাবে আকাশে অবস্থান করবে। মধ্যরাতের দিকে সর্বোচ্চ উজ্জ্বলতায় দেখা যাবে। রাত ৯টার পরে আকাশে ভার্গো তারকামণ্ডল স্পষ্টভাবে দেখা যাবে।
১ এপ্রিল
রাত ১:৪৬ মিনিট পর্যন্ত আকাশে মঙ্গল গ্রহ স্পষ্টভাবে দেখা যাবে। নক্ষত্রপুঞ্জের মধ্যে ভার্গো বেশ উজ্জ্বলভাবে আকাশে অবস্থান করবে। এই তারকামণ্ডলের উজ্জ্বল নক্ষত্র স্পিকা সন্ধ্যায় দক্ষিণ-পূর্ব আকাশে দৃশ্যমান হবে। এ ছাড়া বুটস তারকামণ্ডলকে রাত ১০টার পর থেকে ভালোভাবে দেখা যাবে। উজ্জ্বল নক্ষত্র আর্কটারাস পূর্ব আকাশে দেখতে পাবেন।
২ এপ্রিল
রাত ১০:৫৮ মিনিট পর্যন্ত আকাশে বৃহস্পতি গ্রহ স্পষ্ট দেখতে পাবে। এদিন নক্ষত্রপুঞ্জের মধ্যে ভার্গো পূর্ব আকাশে মধ্যরাতে উদিত হবে। ভোরের দিকে বেশ উজ্জ্বলতা বাড়বে। আর স্করপিয়াস তারকামণ্ডল লিবরা তারকামণ্ডলকে অনুসরণ করবে। সূর্যোদয়ের আগে উজ্জ্বল নক্ষত্র আন্টারেস দেখা যাবে।
৩ এপ্রিল
শনি গ্রহ ভোর ৫টার পরে কিছুটা পরিশ্রম করে দেখতে পাবেন আকাশে। এ ছাড়া বুধ গ্রহ ও ইউরেনাস আকাশে থাকলেও শনাক্ত করা বেশ কঠিন হবে। ভোরের দুই ঘণ্টা আগে আকশে স্করপিয়াস তারকামণ্ডল দেখতে পাবেন। টলেমির ক্লাস্টার হিসেবে স্করপিয়াসের লেজের উজ্জ্বলতা দেখতে পাবেন।
৪ এপ্রিল
ভোর ৪:৩৫ মিনিট থেকে আকাশে শুকতারা হিসেবে শুক্র গ্রহ দেখতে পাবেন। মধ্যরাতের আকাশে লিও তারকামণ্ডল সবচেয়ে উজ্জ্বল বস্তু হিসেবে আবির্ভূত হবে।
সূত্র: বিবিসি স্কাই অ্যাট নাইট ম্যাগাজিন, অ্যাস্ট্রোনমি, স্কাই অ্যান্ড টেলিস্কোপ ও স্কাই ম্যাপস
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’