ঢাকাই ছবির নায়িকা দীঘির ক্রাশ বলিউডের রণবীর কাপুর। যদিও রণবীরকে পছন্দের বা ক্রাশের তালিকা গুণে শেষ করা যাবে না। তারপরও রণবীরের প্রতি দীঘির প্রেম ছিল প্রবল। রণবীর কাপুর দীঘির স্বপ্নের নায়ক। তাই এই নায়ককে দীঘি তার মোবাইলের ওয়ালপেপার করে রেখেছে। আছে হৃদয়েও।
রণবীর হৃদয়ে থাকলেও দীঘির হাতে শোভা পাচ্ছে ‘জংলি’। জংলি লিখে হাতে ঈদের মেহেদি ডিজাইন করেছেন এই নায়িকা। তবে দীঘি জানালেন শুধু হাতে নয়, এখনে মনে,প্রাণে ধ্যানে-জ্ঞানেও তার মধ্যে জংলি বসবাস করছে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এই জংলি সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। এই সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ অংশ তিনি। অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদের বিপরীতে। তাই আপাতত জংলির থেকে বের হতে চাইছেন না তিনি। ভাবনা থেকেই হাতে মেহেদিতে নিজের সিনেমার নাম রাঙিয়েছেন।
দীঘি বলেন, জংলি আমাদের স্বপ্নের একটি সিনেমা। দারুণ একটি গল্পের সিনেমা। এই সিনেমার টিমের প্রতিটি সদস্য সিনেমাটিকে নিজের মধ্যে ধারণ করছে। প্রতিবার ঈদেই নিজের খুশি মত হাতে মেহেদির আল্পনা আঁকি। এবার আকলাম প্রিয় সিনেমা জংলির নাম। আমার বিশ্বাস জংলি সিনেমা মুক্তির পর সবার আপন হয়ে উঠবে।
জংলি পরিচালনা করছেন এম রাহিম। ‘শান’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে অভিষেক হয়েছিল তার। প্রথম সিনেমা মুক্তির দুই বছর পর দ্বিতীয় সিনেমা নির্মাণে নেমেছেন এই নির্মাতা। এম রাহিম বলেন, ছবিটির জন্য দীঘি অনেক পরিশ্রম করেছে, নিজেকে তৈরী করেছে। আমার বিশ্বাস, দীঘির অভিনয় দর্শক মনে রাখবে।'
জংলিতে নিজের চরিত্রটি নিয়ে খুব বেশি খোলাসা করতে নারাজ দীঘি, 'জংলি ছবির গল্প অসাধারণ। প্রথমবার শুনেই পছন্দ করেছিলাম। আমার বিশ্বাস সিনেমাটিকে দর্শক এক অন্যরকম দীঘিকে দেখতে পাবেন।'
সিনেমাটির বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু, সোহেল খান, এরফান মৃধা শিবলু। সিনেমার চারটি গানের সুর ও সংগীত করেছেন প্রিন্স মাহমুদ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
মাগুরায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
এ দিন শিশুকে চিকিৎসা প্রদানকারী তিন চিকিৎসক সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন– মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের ডা. সোহাস হালদার, নাকিবা সুলতানা এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. ইসরাত জাহান। তারা সবাই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল মর্মে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মামলার ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, বিগত চার কার্যদিবস একটানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। এ নিয়ে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হবে। আগামী রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাদে অন্য সব সাক্ষী সাক্ষ্য দেবেন। বুধবার আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন। আসামিরাও নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি। এই ধর্ষণের ঘটনা দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে ঢাকা সিএমএইচে তাকে ভর্তি করা হয়েছিল। ১৩ মার্চ শিশুটি সেখানে মারা যায়। এ ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার বড় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখসহ চারজনকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। রিমান্ডে হিটু শেখ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।