শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে দেশের কখন, কোথায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে, সেটি ঘোষণা করা হয়েছে। বরিশাল, রংপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জেও ঈদের জামাতের সময় ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

বরিশাল নগরের বান্দরোডের হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল আটটায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া নগরের আমতলা মোড়ের বরিশাল ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মডেল মসজিদে একই সময়ে ঈদের দ্বিতীয় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

বরিশাল বিভাগীয় ইসলামী ফাউন্ডেশনের পরিচালক নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বরিশাল জেলায় মোট ৮ হাজার ৩৪টি মসজিদ আছে। প্রতিটি মসজিদেই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে এ বিষয়ে ফাউন্ডেশন থেকে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

বরিশাল নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মসজিদেও একাধিক জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে নগরের সদর রোডের বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদ, জামে এবাদুল্লাহ ও জামে কসাই মসজিদে দুটি করে জামাত হবে। এর মধ্যে জামে কসাই মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় প্রথম এবং সকাল ১০টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদে সকাল সাড়ে আটটায় প্রথম ও নয়টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

আদালতপাড়া জামে মসজিদে সকাল আটটায়, মুসলিম গোরস্তান জামে মসজিদে সকাল সাড়ে আটটায়, বালুর মাঠ জামে মসজিদে সাড়ে আটটায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। অক্সফোর্ড মিশন রোড বাইতুন নূর ইদ্রিসিয়া জামে মসজিদে ঈদের জামাত হবে সকাল সোয়া আটটায়। এ ছাড়া নগরের টিঅ্যান্ডটি মসজিদে সকাল আটটায় এবং পোর্ট রোড কেরামতিয়া জামে মসজিদে সকাল সাড়ে সাতটায় প্রথম এবং সকাল সাড়ে আটটায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

বরিশালের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সদর উপজেলার চরমোনাই এবং পিরোজপুরের নেছারাবাদ দরবার শরিফে। নেছারাবাদ দরবার শরিফে সকাল সাড়ে আটটায় এবং চরমোনাই ঈদগাহ ময়দানে সকাল নয়টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া নগরের আমতলা মোড়ের খানবাড়ি জামে মসজিদ, দরগাবাড়ি মসজিদ, চাঁদপুরা ইউনিয়নের তালুকদার হাট জামে মসজিদ, বাকেরগঞ্জের দুধল মাদ্রাসা জামে মসজিদে সকাল সাড়ে আটটায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

রংপুর নগরের ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে। শেষ মুহূর্তে চলছে মাঠ সাজানোর প্রস্তুতি। রোববার নগরের রাধাবল্লভ এলাকায়.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বর শ ল আটট য় মসজ দ নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

আসামিকে আপ্যায়নের ঘটনায় আদালত পরিদর্শকসহ ৬ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

সন্ত্রাস দমন, বিস্ফোরক নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলার আসামি এবং আমতলী পৌর যুবলীগ সভাপতিকে পুলিশের ব্যারাকে নিয়ে আপ্যায়নের অভিযোগে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক বশির আলমসহ ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

প্রত্যাহার হওয়া অন্য পুলিশ সদস্যরা হলেন এ টি এস আই মামুন, কনস্টেবল আশিস, মো. ফয়সাল, সোহরাব মিয়া ও শাহদাত হোসেন। তাঁদের পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার বিকেলে আদালত থেকে তাঁদের প্রত্যাহার করা হয়। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন বরগুনা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আল-মামুন শিকদার।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২ সেপ্টেম্বর আমতলীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পুলিশ ব্যারাকে মামলার আসামি আরিফ-উল হাসানকে ভাত খাওয়ান আদালত পরিদর্শক বশির আলম। এ সময় তাঁর সঙ্গে ব্যারাকের ভেতরে দুজন নারী, দুজন পুরুষ এবং একটি শিশু ছিল। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও প্রকাশের পর আসামিকে আপ্যায়নের অভিযোগে আদালত পরিদর্শক বশির আলমসহ ছয় পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব থেকে গতকাল প্রত্যাহার করা হয়।

বরগুনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আল-মামুন শিকদার প্রথম আলোকে বলেন, আমতলীতে আদালতের গারদখানার সংস্কারকাজ চলায় আসামিকে পুলিশ ব্যারাকে নেওয়া হয়েছিল। পরে সেখানে তাঁর খাবারের আয়োজন করা হয়। ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আসে। তাঁদের নির্দেশে ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আসামিকে আপ্যায়নের ঘটনায় আদালত পরিদর্শকসহ ৬ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার