বরিশাল, রংপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে কখন, কোথায় ঈদের জামাত
Published: 30th, March 2025 GMT
শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে দেশের কখন, কোথায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে, সেটি ঘোষণা করা হয়েছে। বরিশাল, রংপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জেও ঈদের জামাতের সময় ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বরিশাল নগরের বান্দরোডের হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল আটটায় ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া নগরের আমতলা মোড়ের বরিশাল ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও মডেল মসজিদে একই সময়ে ঈদের দ্বিতীয় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
বরিশাল বিভাগীয় ইসলামী ফাউন্ডেশনের পরিচালক নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বরিশাল জেলায় মোট ৮ হাজার ৩৪টি মসজিদ আছে। প্রতিটি মসজিদেই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে এ বিষয়ে ফাউন্ডেশন থেকে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
বরিশাল নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মসজিদেও একাধিক জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে নগরের সদর রোডের বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদ, জামে এবাদুল্লাহ ও জামে কসাই মসজিদে দুটি করে জামাত হবে। এর মধ্যে জামে কসাই মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় প্রথম এবং সকাল ১০টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদে সকাল সাড়ে আটটায় প্রথম ও নয়টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
আদালতপাড়া জামে মসজিদে সকাল আটটায়, মুসলিম গোরস্তান জামে মসজিদে সকাল সাড়ে আটটায়, বালুর মাঠ জামে মসজিদে সাড়ে আটটায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। অক্সফোর্ড মিশন রোড বাইতুন নূর ইদ্রিসিয়া জামে মসজিদে ঈদের জামাত হবে সকাল সোয়া আটটায়। এ ছাড়া নগরের টিঅ্যান্ডটি মসজিদে সকাল আটটায় এবং পোর্ট রোড কেরামতিয়া জামে মসজিদে সকাল সাড়ে সাতটায় প্রথম এবং সকাল সাড়ে আটটায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
বরিশালের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সদর উপজেলার চরমোনাই এবং পিরোজপুরের নেছারাবাদ দরবার শরিফে। নেছারাবাদ দরবার শরিফে সকাল সাড়ে আটটায় এবং চরমোনাই ঈদগাহ ময়দানে সকাল নয়টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া নগরের আমতলা মোড়ের খানবাড়ি জামে মসজিদ, দরগাবাড়ি মসজিদ, চাঁদপুরা ইউনিয়নের তালুকদার হাট জামে মসজিদ, বাকেরগঞ্জের দুধল মাদ্রাসা জামে মসজিদে সকাল সাড়ে আটটায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
রংপুর নগরের ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে। শেষ মুহূর্তে চলছে মাঠ সাজানোর প্রস্তুতি। রোববার নগরের রাধাবল্লভ এলাকায়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বর শ ল আটট য় মসজ দ নগর র
এছাড়াও পড়ুন:
আলীকদমে নিখোঁজ আরেক পর্যটকের লাশ উদ্ধার
বান্দরবানের আলীকদমে নিখোঁজ হওয়া তিন পর্যটকের মধ্যে আরেকজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা লাশটি স্মৃতি আক্তারের (২৪) বলে তাঁর সঙ্গী পর্যটকেরা শনাক্ত করেছেন।
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আলীকদম উপজেলা সদর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে তৈনখালের আমতলি ঘাট এলাকায় ভাসমান অবস্থায় লাশটি পাওয়া যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে এ নিয়ে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হলো।
আলীকদম ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আবদুর রহিম জানিয়েছেন, সকালে স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে লাশের সংবাদ পাওয়া যায়। আমতলি ঘাট থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বেঁচে ফিরে আসা ১৯ পর্যটককে আলীকদম থানায় রাখা হয়েছে।
পর্যটকদের মধ্যে রাহাত হোসেন নামের একজন জানান, আজকে উদ্ধার হওয়া লাশটি স্মৃতি আক্তারের। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায়। স্মৃতি আক্তার ও মো. হাসান পর্যটন ব্যবস্থাপনা সংস্থা ট্যুর এক্সপার্টের সহপরিচালক। তাঁদের ব্যবস্থাপনায় এই ভ্রমণ আয়োজিত হয়।
৮ জুন দুটি দলে ৩৩ জন পর্যটক আলীকদম ও থানচি উপজেলার মধ্যবর্তী দুর্গম ক্রিস্টং পাহাড়ে গিয়েছিলেন। পাঁচ দিনের ভ্রমণে এক দলে ১১ জন ও তিন দিনের ভ্রমণের আরেক দলে ২২ জন পর্যটক ছিলেন। গত বুধবার তিন দিনের ভ্রমণ শেষে ২২ জনের দলটি ফিরে আসার পথে প্রবল বৃষ্টিতে হঠাৎ শামুকঝিরি ঝরনায় পাহাড়ি ঢল নামে। তাঁদের মধ্যে ১৯ জন ফিরে এলেও জুবাইরুল, হাসান ও স্মৃতি পেছনের দিকে থাকায় নিখোঁজ হন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, নিখোঁজ তিন পর্যটকের মধ্যে আজ স্মৃতি আক্তার ও গতকাল জুবাইরুল ইসলামের লাশ পাওয়া গেছে। লাশ দুটি বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মো. হাসানের লাশ এখনো পাওয়া যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিখোঁজ তিনজনকে শনাক্তের জন্য মানবিক কারণে ১৯ জন পর্যটককে থানায় রাখা হয়েছে। তাঁরা না হলে নিখোঁজ তিনজনকে শনাক্ত করার কেউ থাকবে না।