রাজধানীতে শেষ মুহূর্তের ঈদ প্রস্তুতি, বিপণী বিতানে কেনাকাটার ধুম
Published: 30th, March 2025 GMT
পরিবার-স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে এরইমধ্যে বহু মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। আর অনেকেই রয়েছেন শেষ মুহূর্তের ঈদযাত্রায় বাড়ি ফেরার অপেক্ষায়। এরইমধ্যে অনেকটাই ফাকা হয়ে গেছে ঢাকা। তবে ঢাকার বাসিন্দাদের রাতভর কেনাকাটার ব্যস্ততায় কমতি নেই তাতে। চাঁদ রাতে ঢাকার একেবারে ভিন্ন এক চিত্র দেখা গেছে বিভিন্ন বিপণী বিতানে।
রোববার রাত ৯টা থেকে মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, নিউ মার্কেট, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, বেইলি রোড ও বিজয় সরণি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মানুষের ভিড়। বিশেষ করে শহরের বিভিন্ন মার্কেট, শপিং সেন্টার আর সড়ক সংলগ্ন বিপণী বিতানগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়।
বিজয় সরণি ও ধানমন্ডির একটি সড়কে কর্তব্যরত দুই ট্রাফিক সার্জেন্ট বলেন, শহরের বাসিন্দারা গরমের কারণে রাতের সময়টাকেই মনে হচ্ছে কেনাকাটার জন্য বেছে নিয়েছেন।
ধানমন্ডির দুটি অভিজাত শপিং মল এবং এলিফ্যান্ট রোডে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতাদের প্রচণ্ড ভিড়। দোকানগুলোতে বিক্রিও চলছিল অনেক।
উত্তরা থেকে আসা ব্যবসায়ী রেদওয়ান আহমেদ জানান, ঈদের মূল কেনাকাটা শেষ। এই সময়টায় জুতা, স্যান্ডেল, প্রসাধনীর জন্যই মানুষ ভিড় করছে মার্কেটে।
তিনি বলেন, অনেক বছর পর তুলনামূলক সহনশীল ঈদের বাজার। মানুষ কেনাকাটা করতে পারছে বেশ আনন্দে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দফায় দফায় চাঁদাবাজি, উচ্ছৃঙ্খলতা, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা এবার প্রায় নেই বললেই চলে। প্রশাসনের কাছ থেকে তারা সহায়তা পাচ্ছেন প্রত্যাশা মতোই। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকায় ক্রেতা-ব্যবসায়ী উভয় পক্ষ নিশ্চিন্ত। রাত যতই হোক তাতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আগেও রাতে মানুষের কেনাকাটা চলত। তবে বিগত বছরগুলোতে নানা অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে মানুষের মনে দুঃচিন্তা থাকত।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) নজরুল সিলাম দোওনিক সমকালকে বলেন, রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রেক্ষাপট এবং প্রয়োজন অনুসারে করণীয় নির্ধারণ করছে পুলিশ। ঈদের সময় রাজধানীজুড়ে যে জনশুন্যতা সৃষ্টি হবে সেটা যেন অপরাধীদের উস্কে না দেয় সেদিক নজর রাখা হবে। বিশেষ করে যেসব ব্যাংকের ভল্টে বড় অংকের অর্থ মজুদ থাকে, জুয়েলারী দোকান এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তায় বিশেষ নির্দেশনা মতো কাজ শুরু হয়েছে। আবাসিক এলাকাগুলোতেও একইভাবে নিরাপত্তা বলয়ে ঘেরা হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে চাই। আপনারা নিশ্চিন্তে ঈদের আনন্দ উপভোগ করুন। পুলিশ জেগে আছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের জন্য ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ই উপযুক্ত: সাকি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ই সবচেয়ে উপযুক্ত হবে। এর পরে দেশের আবহাওয়া প্রতিকূল থাকে। তা ছাড়া বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা হয়। নির্বাচনের জন্য এর পরের সময়টা উপযুক্ত নয়।
আজ শুক্রবার যুক্তরাজ্যে সফররত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের প্রতিক্রিয়ায় প্রথম আলোকে এসব কথা বলেন জোনায়েদ সাকি।
বৈঠককে স্বাগত জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের অর্থনীতি ও জনজীবনের সংকট দূর হবে। আমরা আগেই প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছিলাম, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজন করতে। কিন্তু এত দিন সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। সরকার এপ্রিলে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিল, যে সময়টা যথাযথ ছিল না।’
নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হলে রাজনীতিতে আস্থাপূর্ণ পরিবেশ ফিরে আসবে বলে মনে করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি দেশের জন্য এই পরিবেশ বজায় থাকা জরুরি। সংস্কারের জন্য এই পরিবেশ সহায়ক হবে। এত দিন নির্বাচনের তারিখ নিয়ে উদ্বেগ থাকায় সংস্কার নিয়ে তেমন অগ্রগতি ছিল না। এখন সংস্কারের অগ্রগতি নিয়ে কাজ করা যাবে।’
সংস্কার কার্যক্রমকে জনগণ নির্বাচনের মাধ্যমে মীমাংসা করবে উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে ইতিমধ্যে আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা করছি। সর্বোচ্চ মতামতের ভিত্তিতে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি হবে, তার ওপর জুলাই সনদ তৈরি হবে। এসব বিষয়ে আরও আলাপ–আলোচনা দরকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই হত্যার বিচার শুরু হয়েছে, এটা আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক। এই পরিস্থিতি ধরে রাখতে হবে।’