এয়ারপোর্টে চাল–ডাল হারানোর ক্ষোভ ঘুচিয়ে দিল লোলো মোরা
Published: 31st, March 2025 GMT
ইমিগ্রেশন শেষ করে বিমানবন্দরের লাগেজ বেল্ট থেকে বের হতেই একটা চেকিং পয়েন্ট। সেখানে আমার লাগেজ খুলল। ভেতর থেকে বের করে আনল এক কেজি চাল আর আধা কেজি মসুর ডাল। কোনো কথা না বলেই ফেলে দিল ডাস্টবিনে। আমার বুকটা মোচড় দিয়ে উঠল। বললাম, শুকনা খাবার তো? দোষটা কী?
বলল, ‘আমরা শস্য নেওয়ার অনুমতি দিই না।’
একটা লম্বা নিশ্বাস নিলাম। দ্রুত বেদনা কমানোর চেষ্টা। চলে যাচ্ছিলাম। আবার ঘাড় ঘুরিয়ে অভিমান নিয়ে বললাম, ‘আমার ডালের বাক্সটা দিয়ে দাও। ওটা তো শস্য নয়।’
পুলিশের পোশাক পরা নারী কর্মকর্তাটি তাঁর গ্লাভস পরিহিত হাতটা ঢুকিয়ে দিলেন ডাস্টবিনে। উঠিয়ে আনলেন আমার বাক্স। ডাল ফেলে দিয়ে ফেরত দিলেন। ডাল-চাল হারিয়েছি তো কী হয়েছে, আমার বাক্সটা তো উদ্ধার করতে পেরেছি। ইমিগ্রেশনে এ–ও কম বাহাদুরি নয়!
কোস্টারিকার সান হোসে শহরের সেন্ট্রাল মার্কেটে বিশেষ আকর্ষণ ‘লোলো মোরা’, এটি আইসক্রিমের দোকান.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চেন্নাইয়ের বিদায়, অবসরের ইঙ্গিত দিলেন ধোনি!
আইপিএল ২০২৫-এর প্লে-অফে জায়গা হলো না চেন্নাই সুপার কিংসের। ঘরের মাঠ এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব কিংসের কাছে ৪ উইকেটে হেরে এবারের আসর থেকে ছিটকে গেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর শুধু চেন্নাইয়ের বিদায়ই নয়, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ধোনি। শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন—এটাই কি তার শেষ আইপিএল?
ম্যাচ শুরুর আগেই টসের সময় ধোনিকে ঘিরে তৈরি হয় রহস্য। ধারাভাষ্যকার ড্যানি মরিসনের সরাসরি প্রশ্ন ছিল, ধোনি কি আগামী মৌসুমেও আইপিএলে দেখা যাবে? জবাবে হেসে ধোনি বলেন, ‘আমি তো জানি না পরের ম্যাচেই খেলব কি না।’ এই মন্তব্যেই ধোনির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। যদিও ম্যাচ শেষে নিজের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ধোনি। তাকেও সে ব্যাপারে আর প্রশ্ন করেননি সঞ্চালক।
ধোনির মন্তব্যে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান উইকেটকিপার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বলেন, ‘ধোনি একজন চিরস্মরণীয় কিংবদন্তি। তার আর কিছু প্রমাণের নেই। সম্ভবত এবার সরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। যদিও ভক্তদের জন্য তা কষ্টদায়ক হবে।’
চেন্নাই প্রথমে ব্যাট করে ১৯১ রান তোলে। স্যাম কারানের ৮৮ রানের ইনিংস ছাড়া ব্যাট হাতে কেউই তেমন জ্বলে উঠতে পারেননি। শেষ দিকে যুজবেন্দ্র চাহালের হ্যাটট্রিকে মাত্র ৪ বল বাকি থাকতে গুটিয়ে যায় ইনিংস। চাহাল ৪ উইকেট নেন, জানসেন ও আর্শদীপ নেন ২টি করে।
জবাবে পাঞ্জাবের হয়ে ঝড়ো সূচনা এনে দেন প্রিয়াংশ আর্য ও প্রভসিমরান সিং। প্রভসিমরান খেলেন ৩৬ বলে ৫৪ রানের দারুণ ইনিংস। এরপর শ্রেয়াস আইয়ারের ৭২ রানের অনবদ্য ইনিংস এবং শশাঙ্ক সিংয়ের শেষের ২৩ রানের ক্যামিওতে দুই বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় পাঞ্জাব। এই জয়ে তারা উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে।