আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর কুমিল্লা নগরীর প্রধান ঈদের জামাতে মুসল্লীদের ঢল নামে। ঈদগাহ ময়দান পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় আশপাশের রাস্তাতে মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেন।

সকাল সাড়ে ৮টায় নগরীর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত ঈদের নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা মোহাম্মদ ইব্রাহিম।

এর আগে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো.

আমিরুল কায়ছার।

নামাজ শেষে বিশ্বের মুসলমানদের শান্তি-স্বস্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। পরে একে অপরের সাথে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

নামাজে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুল আলম, কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু ও সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপুসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন অংশ নেন। এদিকে পুলিশ লাইন জামে মসজিদে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁন। 

এ বছর কুমিল্লায় ৪ হাজার ১৫১টি স্থানে ঈদ উল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ২ হাজার ৫৮টি ঈদগাহে এবং ২ হাজার ৯৩টি মসজিদ রয়েছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চিকিৎসার অভাবে শ্রমিক মৃত্যুর অভিযোগ, বন্দরে মহাসড়ক অবরোধ

অসুস্থ শ্রমিককে ছুটি না দেওয়া, চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবরোধ করেন শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাসড়কের মদনপুর অংশে তারা এ অবরোধ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিচারের আশ্বাসে এগারোটায় মহাসড়ক থেকে সরে যায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। 

শ্রমিকরা জানান, 'লারিস ফ্যাশন' নামে একটি রপ্তানিমুখি গার্মেন্টসের নারী শ্রমিক রিনা (৩০) অসুস্থ অবস্থায় ডিউটি করে যাচ্ছিলেন। গতকাল তিনি অসুস্থতা বোধ করলে কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেন। তবে কর্তৃপক্ষ তার আবেদনে কোনো সাড়া না দিয়ে কাজ করে যেতে বাধ্য করেন। পরে অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে সহকর্মীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শ্রমিক রিনা কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার দুলালের মেয়ে। অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ এ মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। 

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত আলী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সড়িয়ে দেন। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ও পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ