বংশালে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন, ছয়জন দগ্ধ
Published: 31st, March 2025 GMT
রাজধানীর পুরান ঢাকার পাকিস্তান মাঠ সংলগ্ন ফুটপাতের একটি দোকানে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন লেগে ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। সোমবার রাত ১০টার দিকে তাঁদের চিকিৎসার জন্য জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক শাওন বিনতে রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঁচজনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তাঁরা হলেন রিমঝিম (১৬), মেহেদী হাসান (২৫), ইকবাল (৩৩), নয়ন (২৯) ও অপূর্ব (১৮)। সাগর (২৫) নামের আরেকজনের শরীরের ১১ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে।
জানতে চাইলে বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দুলাল হক প্রথম আলোকে বলেন, পাকিস্তান মাঠ সংলগ্ন এলাকার একটি ফুটপাতের দোকানে গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে ছয়জন আহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছেন তিনি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঋত্বিক ঘটক কীভাবে বিধু বিনোদ চোপড়ার নাম রাখেন?
১৯২৫ সালের ৪ নভেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন পরিচালক ঋত্বিক ঘটক। ১৯৭৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মারা যান বরেণ্য এই নির্মাতা। বেঁচে থাকলে আজ জন্মশতবর্ষ উদযান করতেন। ৫০ বছরের জীবনে খুব বেশি সিনেমা উপহার দেননি; মাত্র ৮টি সিনেমা নির্মাণ করে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি কুড়ান।
কেবল সিনেমাই বানাননি, অনেককে বানানোও শিখিয়ে গেছেন ঋত্বিক ঘটক। তাদের মধ্যে অন্যতম বলিউড পরিচালক-প্রযোজক বিধু বিনোদন চোপড়া। তার এই নামটি ঋত্বিক ঘটকেরই দেওয়া। এ পরিচালক বলেন, “আমি যখন পুনের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়াতে (এফটিআইআই) পড়তে যাই, তখন আমার নাম ছিল বিনোদ কুমার চোপড়া।”
আরো পড়ুন:
আমি আজ যা কিছু, সবই নারীদের জন্য: শাহরুখ
১৩ দিনে রাশমিকার সিনেমার আয় কত?
ঋত্বিক ঘটক বিধু বিনোদ চোপড়ার শিক্ষক ছিলেন। একটি ঘটনা বর্ণনা করে এই পরিচালক বলেন, “উনি (ঋত্বিক ঘটক) তখন ফিল্ম ইনস্টিটিউটে পড়াতেন। একদিন আমাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমার নাম কি?’ আমি বললাম, আমার নাম বিনোদ কুমার চোপড়া। উনি হো হো করে হেসে উঠলেন। তারপর সোজা বললেন, ‘তোমাকে দিয়ে কোনোদিন পরিচালক হওয়া সম্ভব নয়।’ আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, কেন? উনি বললেন, ‘এটা একটা নাম? নাম হতে হবে ঋত্বিক ঘটক। যাইহোক, তারপর উনি বললেন, ‘তোমার বাড়িতে তোমাকে কী বলে ডাকে?’ আমি বললাম ‘বিধু’ বলে ডাকে। তখন উনি বললেন, ‘তাহলে বিধু বিনোদ চোপড়া। এইবার ঠিক আছে নাম। আসলে আমার এই নামটা উনারই দেওয়া। আমি আমার নামের জন্য উনার কাছে ঋণী।”
৭৩ বছর বয়েসি বিধু বিনোদন চোপড়া বলেন, “উনি (ঋত্বিক ঘটক) আমাকে শিখিয়েছেন যে, যদি কেউ উৎকর্ষের পিছনে ছুটে, তবে সাফল্য নিজেই ধরা দেবে। এই কথাটাই আমি ‘থ্রি ইডিয়টস’ সিনেমায় বলেছি, বাস্তব জীবনেও আমি সেটাই মানি,”
ঋত্বিক ঘটক সবসময় তার সঙ্গে বাংলা ভাষায় কথা বলতেন। এ তথ্য উল্লেখ করে বিধু বিনোদন চোপড়া বলেন, “আমি বাংলা বুঝতাম না। স্নেহ ও ভালোবাসা থেকে উনি আমাকে বাঙালি বলে ডাকতেন এবং বাংলাতেই কথা বলতেন।
ঢাকা/শান্ত