একশনএইডে ঢাকার বাইরে চাকরি, বেতন ৪৪ হাজার
Published: 1st, April 2025 GMT
আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা একশনএইড বাংলাদেশ জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি উখিয়া/টেকনাফে নার্চারিং অব ইয়ুথ ভলান্টিয়ার্স (এনওয়াইভি) প্রকল্পে সেন্টার ইনচার্জ পদে কর্মী নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
পদের নাম: সেন্টার ইনচার্জ
পদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: সমাজবিজ্ঞান বা এ ধরনের বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। অত্যধিক অভিজ্ঞতা থাকলে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিলযোগ্য। কোনো উন্নয়ন সংস্থার সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অন্তত দুই থেকে তিন বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে। রোহিঙ্গা রেসপন্সে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। রোহিঙ্গা ভাষাসহ স্থানীয় ভাষার সঙ্গে পরিচিতি থাকতে হবে। রিপোর্ট রাইটিং ও ডকুমেন্টেশনে দক্ষ হতে হবে। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় সাবলীল হতে হবে। এমএস অফিসের কাজ জানতে হবে।
চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক
কর্মস্থল: উখিয়া/টেকনাফ
বেতন: মাসিক মোট বেতন ৪৪,৪৯০ টাকা। এর সঙ্গে মেডিকেল-সুবিধা, গ্রুপ লাইফ ইনস্যুরেন্স এবং মুঠোফোন ও ইন্টারনেট বিল দেওয়া হবে।
আবেদন যেভাবেআগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে একশনএইড বাংলাদেশের ওয়েবসাইটের এ লিংকে রেজিস্ট্রার বা লগইন করে আবেদন করতে হবে। নিয়োগ, আবেদনপ্রক্রিয়া ও পদসংশ্লিষ্ট বিস্তারিত তথ্য এই লিংক থেকে জেনে নিতে হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ: ৬ এপ্রিল ২০২৫।
আরও পড়ুনইডকলে একাধিক পদে চাকরি, বেতন আকর্ষণীয়২০ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মানুষের ‘দ্বিতীয় ঘুম’এর যুগ সম্পর্কে কতটা জানেন
তেলের বাতি, গ্যাসের বাতি এবং বৈদ্যুতিক বাতি ক্রমে সভ্যতায় যোগ হয়েছে। এর আগে মানুষ প্রাকৃতিক আলোর সঙ্গে মানিয়ে জীবন যাপন করতো। প্রাক-শিল্প যুগের সমাজে ‘দ্বিতীয় ঘুম’-এর অভ্যাস ছিলো মানুষের।
দ্বিতীয় ঘুম বলতে ঐতিহাসিকভাবে প্রচলিত এমন এক ধরনের ঘুমের ধরণকে বোঝায়, যেখানে মানুষ রাতে একটানা আট ঘণ্টা না ঘুমিয়ে ঘুমকে দুটি ভাগে ভাগ করে নিত। একে দ্বি-পর্যায়ের ঘুম বা খণ্ডিত ঘুম বলা হয়। দেখা যেত যে— সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পর মানুষজন বিছানায় যেত এবং প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত।
আরো পড়ুন:
রক্তস্বল্পতা দূর করতে এই শাক খেতে পারেন
টানা ৬ মাস রাতের খাবার দেরিতে খেলে যা হয়
প্রথম ঘুমের পর তারা প্রায় এক ঘণ্টা জেগে থাকত। এই সময়ে বাড়ির হালকা কাজ করা, প্রার্থনা করা, পড়াশোনা করা, প্রতিবেশীদের সাথে গল্প করা বা অন্তরঙ্গ কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার মতো কাজগুলো করতো।
তারা আবার বিছানায় ফিরে যেত এবং ভোরের আলো ফোটা পর্যন্ত আরও ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত, যাকে ‘দ্বিতীয় ঘুম’ বা ‘ভোরের ঘুম’ বলা হত।
গত দুই শতাব্দী ধরে সামাজিক জীবনে আসা পরিবর্তনের কারণে মানুষের দ্বিতীয় ঘুমের অদৃশ্য হয়ে গেছে। যেসব কারণে মানুষ দ্বিতীয় ঘুমের অভ্যাস হারিয়ে ফেলেছে, তার একটি হলো ‘কৃত্রিম আলো ব্যবহার।’
১৭০০ এবং ১৮০০ এর দশকে, প্রথমে তেলের বাতি, তারপর গ্যাসের আলো এবং অবশেষে বৈদ্যুতিক আলো রাতকে আরও ব্যবহারযোগ্য করে তুলেছে। ফলে রাতও মানুষের কাছে জাগ্রত সময়ে পরিণত হতে শুরু করে।
সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পরে ঘুমাতে যাওয়ার পরিবর্তে, মানুষ প্রদীপের আলোতে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেগে থাকতে শুরু করে। জৈবিকভাবে, রাতে উজ্জ্বল আলো আমাদের অভ্যন্তরীণ ঘড়িগুলোকে (আমাদের সার্কাডিয়ান ছন্দ) পরিবর্তন করে এবং কয়েক ঘণ্টা ঘুমের পরে আমাদের শরীরকে জাগ্রত করার প্রবণতা কমিয়ে দেয়।
ঘুমানোর আগে সাধারণ ‘ঘরের’ আলো মেলাটোনিনকে দমন করে এবং বিলম্বিত করে। শিল্প বিপ্লব কেবল মানুষের কাজ করার পদ্ধতিই নয় বরং তারা কীভাবে ঘুমায় তাও বদলে দিয়েছে।
২০১৭ সালে বিদ্যুৎবিহীন মাদাগাস্কান কৃষি সম্প্রদায়ের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে লোকেরা এখনও বেশিরভাগ সময় দুই ভাগে ঘুমায়, প্রায় মধ্যরাতে ঘুম থেকে ওঠে।
সূত্র: ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি