টেলিভিশন চ্যানেলগুলো নানা আয়োজনে সাজিয়েছে ঈদুল ফিতরের অনুষ্ঠানমালা। ঈদ উপলক্ষে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ নাটক-টেলিফিল্ম। এবারো তার ব্যতিক্রম নয়। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে ঈদের দ্বিতীয় দিন যেসব নাটক-টেলিফিল্ম প্রচার হবে তা নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্রতিবেদন।

এনটিভি
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় প্রচার হবে ধারাবাহিক নাটক: রূপবানের প্রেম। গল্প: কাব্য হাসান। চিত্রনাট্য: তানিন রহমান। পরিচালনা: হাসান রেজাউল। অভিনয়ে: তাসনুভা তিশা, সৈয়দ জামান শাওন, রূবাইয়া এশা, কচি খন্দকার, রেশমা আক্তার, শেলী আহসান, মুসাফির সৈয়দ বাচ্চু, আনন্দ খালিদ, আব্দুল্লাহ রানা, অনিক, সুমন পাটোয়ারী প্রমুখ। রাত ৭টা ৫৫ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: থাপ্পড়বাজ। রচনা ও পরিচালনা: হারুন রুশো। অভিনয়ে: মোশাররফ করিম, মীম চৌধুরী প্রমুখ। ৯টা ১৫ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: নজর। রচনা: আকাইদ রনি। পরিচালনা: রুবেল আনুশ। অভিনয়ে: মুশফিক আর ফারহান, সাফা কবির, শিল্পী সরকার অপু, আনোয়ার প্রমুখ। রাত ১১টা ৫ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: তবুও পাশাপাশি। রচনা: রিফাত আদনান পাপন। পরিচালনা: সাইফুল হাফিজ খান। অভিনয়ে: ইয়াশ রোাহান, সামিরা খান মাহি, মিলি বাশার, সমু চৌধুরী, ডিকন নূর প্রমুখ।

এটিএন বাংলা
সন্ধ্যা ৫টা ৪৫ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: ঘরে সংসার বাহিরে প্রেম। পরিচালনা: আদিবাসী মিজান। অভিনয়ে: নিলয়, হিমি। রাত ৭টা ৪০ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: প্রিয় প্রিয়সীনি। পরিচালনা: মাহমুদ মাহিন। অভিনয়ে: জোভান, তটিনী। রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: মন দিতে চাই। পরিচালনা: মোহাম্মদ মিফতা আনন। অভিনয়ে: তৌসিফ মাহবুব, কেয়া পায়েল প্রমুখ।

আরো পড়ুন:

ঈদে তারকারা কে কোথায়?

ঈদের দিন ছোট পর্দার নাটক-টেলিফিল্ম

দীপ্ত টিভি
সন্ধ্যা ৭টায় প্রচার হবে একক নাটক: এক ধ্রুবতারা। পরিচালনা: সৈয়দ শাকিল। অভিনয়ে: জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তাসনিয়া ফারিণ। রাত ৮টায় প্রচার হবে একক নাটক: ইমার্জেন্সি। পরিচালনা: মিশুক মিঠু। অভিনয়ে: খায়রুল বাসার, কেয়া পায়েল। রাত ৯টায় প্রচার হবে তুর্কি ধারাবাহিক: গুড ডক্টর। রাত ৯টা ৪০ মিনিটে প্রচার হবে ধারাবাহিক নাটক: কথা হবে হিসাব করে। রাত ১১টা ১০ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: সাফিয়া। পরিচালনা: জামাল মল্লিক। অভিনয়ে: সাফা কবির, সোহেল মন্ডল প্রমুখ।

চ্যানেল আই
বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রচার হবে টেলিফিল্ম: প্রিয় প্রজাপতি। পরিচালনা: জাকারিয়া সৌখিন। অভিনয়ে: জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, তাসনিয়া ফারিন। ৭টা ৫০ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: লাস্ট উইশ: অভিনয়ে: জোভান আহমেদ, আয়েশা খান। রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: ডাকু। অভিনয়ে: নিলয় আলমগীর, হিমি, শামীমা নাজনিন, মাসুম বাশার, শাহেদ শাহরিয়ার প্রমুখ।

বৈশাখী টিভি
বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটে প্রচার হবে ধারাবাহিক নাটক: ব্ল্যাক মানি। পরিচালনা: হাসান জাহাঙ্গীর। অভিনয়ে: ওমর সানী, কাজী হায়াৎ, হাসান জাহাঙ্গীর, ডন, অমিত হাসান। বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে প্রচার হবে ধারাবাহিক নাটক: মানি লোকের মান। পরিচালনা: ফরিদুল হাসান। অভিনয়ে: জাহের আলভী, মিহি, আব্দুল্লাহ রানা, স্বপ্নীল সাথী প্রমুখ। সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে প্রচার হবে ধারাবাহিক নাটক: শাশুড়ির বিয়ে। পরিচালনা মাহমুদ হাসান রানা। অভিনয়ে: মীর সাব্বির, আ খ ম হাসান, মিহি, শিল্পী সরকার অপু। রাত সাড়ে ৭টায় প্রচার হবে ধারাবাহিক নাটক: লন্ডনি জামাই। পরিচালনা: আল হাজেন। অভিনয়ে: রাশেদ সীমান্ত, অহনা, আহসানুল হক মিনু। রাত ৯টা ২০ মিনিটে প্রচার হবে ধারাবাহিক নাটক: ট্রাক ড্রাইভার। পরিচালনা: রুহুল আমিন শিশির। অভিনয়ে: শহীদুজ্জামান সেলিম, ফারহানা মিলি, পুতুল প্রমুখ।

আরটিভি
রাত ৮টায় প্রচার হবে একক নাটক: মিস্টার অভাগা। রচনা: জুয়েল এলিন। পরিচালনা: রাকেশ বসু। অভিনয়ে: মোশাররফ করিম, কেয়া পায়েল প্রমুখ। রাত সাড়ে ১১টায় প্রচার হবে একক নাটক: ও পাষাণী। পরিচালনা: সেলিম রেজা। অভিনয়ে: খায়রুল বাশার, তানজিন তিশা প্রমুখ।

নাগরিক টিভি
রাত ৮টায় প্রচার হবে একক নাটক: শেষের বিন্দু। পরিচালনা: সেলিম রেজা। অভিনয়ে: ইরফান সাজ্জাদ, সাদিয়া আয়মান প্রমুখ।

বাংলাভিশন
রাত ৯টা ২৫ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: জামাই বউ চোর। রচনা ও পরিচালনা: তাইফুর জাহান আশিক। অভিনয়ে: মোশাররফ করিম, তানিয়া বৃষ্টি প্রমুখ। রাত ১০টা ৪০ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: ঝুমকা। পরিচালনা: শহীদ-উন-নবী। অভিনয়ে: নিলয় আলমগীর, হিমি প্রমুখ।

মাছরাঙা টিভি
বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: কিসমত। রচনা ও পরিচালনা: মিফতাহ আনান। অভিনয়ে: ইয়াশ রোহান, তানজিন তিশা প্রমুখ। রাত ৮টায় প্রচার হবে একক নাটক: বজরা। রচনা ও পরিচালনা: সুমন ধর। অভিনয়ে: তৌসিফ, কেয়া পায়েল প্রমুখ। রাত ১০টা ২০ মিনিটে প্রচার হবে একক নাটক: হাউকাউ। পরিচালনা: এ কে পরাগ। অভিনয়ে: মুশফিক ফারহান, সাফা কবির প্রমুখ।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন টক ধ র ব হ ক ন টক ন টক ট ল ফ ল ম

এছাড়াও পড়ুন:

আসামিদের হুমকিতে অসহায় মা, নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি

খুলনা মহানগরীর লবণচরার বাংলাদেশ সী ফুডস রোড এলাকার ঘের ব্যবসায়ী মো. আলমগীর হোসেন বিদ্যুৎ (২৪) হত্যা মামলার বিচার কাজ এক যুগ অতিবাহিত হলেও এখনো শেষ হয়নি। মামলার দীর্ঘ সূত্রিতার কারণে আসামিরা জামিনে বের হয়ে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন নিহতের পরিবারকে। তাদের বিরুদ্ধে বাদীর অপর ছেলেকে হত্যার ভয়-ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে। 

এ অবস্থায় সাক্ষীদের নিরাপত্তা দিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণের ব্যবস্থা এবং আসামিদের অপতৎপরতা থেকে রক্ষা করে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির আহ্বান জানিয়েছেন নিহত বিদ্যুতের মা জাহানারা বেগম। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিচার বিভাগ, পুলিশ বিভাগ ও সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

আরো পড়ুন:

কেএমপির ৮ থানার ওসি রদবদল

জলবায়ু পরিবর্তন আজকের বিশ্বের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: ইইউ রাষ্ট্রদূত

লিখিত বক্তব্যে জাহানারা বেগম বলেন, ‍“২০১২ সালের ৪ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীরা আমার ছোট ছেলে মো. আলমগীর হোসেন ওরফে বিদ্যুৎকে (২৪) নগরীর খানজাহান আলী (র.) সেতু এলাকায় নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার পর ৭ ডিসেম্বর আমি বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় হত্যা মামলা করি (মামল নং- ০৩)। মামলাটি বর্তমানে খুলনা মহানগর দায়রা জজ (মামলা নং: ৪৪৯/১৫) বিচারাধীন আছে।” 

“মামলায় লবণচরা বাংলাদেশ সী ফুডস রোড এলাকার নাজিম খলিফার দুই ছেলে আরমান খলিফা ও আরিফ খলিফা, লবণচরা মোহাম্মদীয়া পাড়া মসজিদ এলাকার আব্দুল জলিল হাওলাদারের ছেলে হারুন হাওলাদার, লবণচরা ইব্রাহীমিয়া মাদরাসা রোড এলাকার হামিদ মিস্ত্রীর ছেলে মো. সিরাজ এবং লবণচরা মোক্তার হোসেন রোড এলাকার হযরত আলী ফকিরের ছেলে বাদল ফকিরকে আসামি করা হয়। এ মামলায় আসামিরা বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারেও ছিলেন। আসামিরা জামিনে মুক্তি পেয়ে জেল থেকে বের হয়ে মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে। এই সব আসামিদের বিরুদ্ধে একাধিক থানায় বিভিন্ন মামলাও রয়েছে”, যোগ করেন তিনি।

জাহানারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, “আমার কলিজার টুকরো সন্তানকে হত্যা করেও সন্ত্রাসীরা ক্ষ্যান্ত হয়নি। উপরন্ত জামিনে মুক্তি পেয়ে তারা এখন মামলা তুলে নিতে আমি ও আমার এক মাত্র সন্তান এবং মামলার স্বাক্ষীদের জীবননাশসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে বারবার সাধারণ ডায়রি (জিডি) করার ফলে হত্যাকারী-সন্ত্রাসীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। যে কোন সময় তারা আমি ও আমার বড় ছেলেসহ আমার পরিবারের সদস্যদের বড় ধরণের ক্ষতি করতে পারে। এ অবস্থায় আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি।”

তিনি আরো বলেন, “হত্যাকারী-আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ভয়ে আমি এখন পর্যন্ত খুলনা ও লবণচরা থানায় চারটি সাধারণ ডায়রি করেছি। সর্বশেষ গত ৩ মার্চও আমি লবণচরা থানায় জিডি করি। কারণ ২ মার্চ দুপুরে মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি আরমান তার ভাই আরিফ এবং অপর আসামি জুয়েল শেখ, হারুন হাওলাদার, সিরাজ ও বাদল ফকিরসহ আরো অনেকে আমার বাসার সামনে এসে মামলা তুলে নেয়ার জন্য ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়। এমনকি তারা আমাকে ও আমার বড় ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন বিপ্লবকেও হত্যা করবেন বলেও হুমকি দেয়। এ ছাড়া, একই ধরণের ভয়ভীতি ও হুমকির কারণে আমি ২০১৪ সালের ৪ মার্চ ও ২ মে খুলনা থানায় এবং একই বছরের ৪ মে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে লবণচরা থানায় সাধারণ ডায়রি করি।”

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আসামিদের হুমকিতে অসহায় মা, নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি