Samakal:
2025-11-04@06:05:03 GMT

চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীর ভিড়

Published: 1st, April 2025 GMT

চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীর ভিড়

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে নড়াইলের গোবরা থেকে প্রথমবারের মতো পরিবারের সঙ্গে চিড়িয়াখানায় এসেছে নয় বছর বয়সী ঐশিক। ঘুরে ঘুরে পশু-পাখি দেখে খুব খুশি সে। বাঘের খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে ঐশিক বলে, বাঘ দেখেছি, সিংহ দেখেছি, বানর দেখেছি। সাপও দেখেছি। খুব মজা লাগছে।
 
ঈদের পরদিন মঙ্গলবারও রাজধানীর মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ঈদের দীর্ঘ ছুটিকে উপভোগ্য করে তুলতে হাজার হাজার মানুষ সেখানে ভিড় করছেন। কেউ এসেছেন পরিবারের সঙ্গে। কেউ বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে। গাছের ছায়ায় ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণি ও পাখি দেখছেন দর্শনার্থীরা। 

জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার সমকালকে জানান, দর্শনার্থীদের ভিড় সোমবার ঈদের দিন থেকেই শুরু হয়েছিল। আজও মানুষ আসছেন। দুদিন মিলিয়ে চিড়িয়াখানায় দেড় থেকে দুই লাখের মতো দর্শনার্থী এসেছেন বলে মনে করছি। যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম হলেও একেবারে খারাপও নয়।

মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা যায়, সব বয়সের নারী-পুরুষ সেখানে ভিড় করেছেন। অবশ্য দর্শনার্থীদের বড় অংশ শিশু এবং কিশোর-কিশোরীরা। বৃদ্ধ-বৃদ্ধাও আছেন বেশ সংখ্যক। 

সাত সদস্যের পরিবার নিয়ে চিড়িয়াখানায় এসেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা লিপিকা দত্ত। তিনি বলেন, এবার ঈদের ছুটি মিলেছে দীর্ঘ দিন। আগেই ছেলে মেয়ের স্কুল ছুটি হয়ে গেছে। তাই ছুটি কাটাতে ঢাকায় এসে চিড়িয়াখানা দেখতে এসেছি। নিজের ও বোনের ছেলে-মেয়েরাও সঙ্গে আছে। অসাম্প্রদায়িক চেতনা থেকে সবাই মিলে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ভালোই লাগছে।

১৩ সদস্যের বিশাল দল নিয়ে এসেছেন তরুণ আব্দুল মোতালেব। টিকিট কাটার সময় এই তরুণ বলেন, মূলত বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঈদে বেড়ানোর জন্যই এসেছি। দেখা যাক কেমন কাটে দিনটা।

১২৩ একরের বেশি জায়গা জুড়ে চিড়িয়াখানার অবস্থান। মূল ফটক দিয়ে প্রবেশের পরে পাখির খাঁচা। বক, কালিম পাখি, গ্রেটার ফ্লেমিঙ্গো, পেলিকানসহ বিভিন্ন প্রজাতির কয়েক 'শ পাখি রয়েছে সেই খাঁচায়। সেখান থেকে বাঁ দিকে এগোলেই বাঘ–সিংহের খাঁচা। শিশুদের অনেকেই বাঘের খাঁচার বাউন্ডারির রেলিং ধরে বাঘ দেখেছে। 

চিড়িয়াখানার বিভিন্ন খাঁচায় আরও আছে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণি, পাখি ও সাপ। হাতি, গন্ডার, জিরাপ, জেব্রা, জলহস্তী, ময়ূর, সাদা কাকসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পশুপাখি। একটি খাঁচায় বিলুপ্তপ্রায় গাধাও আছে কয়েকটা।

সেসব খাঁচা ঘুরে ঘুরে দেখছেন দর্শনার্থীরা। এক খাঁচার পাখি-প্রাণী দেখা শেষ হলে অন্যটির উদ্দেশে ছুটছেন তাঁরা। চিড়িয়াখানার পুরো এলাকা বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালায় ভরা। তীব্র রোদে ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত হলে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছেন অনেক দর্শনার্থী।

তবে চিড়িয়াখানার ভেতরে খাবারের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় একটি ক্যান্টিন থাকলেও সেটা বন্ধ দেখা যায়। আগত দর্শনার্থীরা এখানে এসে প্রবেশ মুখের ক্যান্টিনগুলো থেকে ভরপেট খেয়ে ভেতরে ঢুকছেন। বেশিরভাগই বাসা থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে এসেছেন। অনেকটা পথ হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত হয়ে পড়লে অথবা ক্ষুধা লাগলেই পরিবার-পরিজনসহ খেতে বসে যাচ্ছেন। বিশ্রামাগার কিংবা ঘাসের মধ্যে চাদর বিছিয়ে গোল হয়ে বসে করছেন খাবারের আয়োজন। এটা যেন ঈদের আনন্দের মধ্যে আরেকটা আনন্দ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এস ছ ন পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা

সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল‌্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’ 

জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই ‍আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব‌্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।

সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।

তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"

"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।

ঢাকা/ইয়াসিন 

সম্পর্কিত নিবন্ধ