Samakal:
2025-09-18@02:58:04 GMT

চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীর ভিড়

Published: 1st, April 2025 GMT

চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীর ভিড়

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে নড়াইলের গোবরা থেকে প্রথমবারের মতো পরিবারের সঙ্গে চিড়িয়াখানায় এসেছে নয় বছর বয়সী ঐশিক। ঘুরে ঘুরে পশু-পাখি দেখে খুব খুশি সে। বাঘের খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে ঐশিক বলে, বাঘ দেখেছি, সিংহ দেখেছি, বানর দেখেছি। সাপও দেখেছি। খুব মজা লাগছে।
 
ঈদের পরদিন মঙ্গলবারও রাজধানীর মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ঈদের দীর্ঘ ছুটিকে উপভোগ্য করে তুলতে হাজার হাজার মানুষ সেখানে ভিড় করছেন। কেউ এসেছেন পরিবারের সঙ্গে। কেউ বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে। গাছের ছায়ায় ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণি ও পাখি দেখছেন দর্শনার্থীরা। 

জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার সমকালকে জানান, দর্শনার্থীদের ভিড় সোমবার ঈদের দিন থেকেই শুরু হয়েছিল। আজও মানুষ আসছেন। দুদিন মিলিয়ে চিড়িয়াখানায় দেড় থেকে দুই লাখের মতো দর্শনার্থী এসেছেন বলে মনে করছি। যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা কম হলেও একেবারে খারাপও নয়।

মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা যায়, সব বয়সের নারী-পুরুষ সেখানে ভিড় করেছেন। অবশ্য দর্শনার্থীদের বড় অংশ শিশু এবং কিশোর-কিশোরীরা। বৃদ্ধ-বৃদ্ধাও আছেন বেশ সংখ্যক। 

সাত সদস্যের পরিবার নিয়ে চিড়িয়াখানায় এসেছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা লিপিকা দত্ত। তিনি বলেন, এবার ঈদের ছুটি মিলেছে দীর্ঘ দিন। আগেই ছেলে মেয়ের স্কুল ছুটি হয়ে গেছে। তাই ছুটি কাটাতে ঢাকায় এসে চিড়িয়াখানা দেখতে এসেছি। নিজের ও বোনের ছেলে-মেয়েরাও সঙ্গে আছে। অসাম্প্রদায়িক চেতনা থেকে সবাই মিলে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ভালোই লাগছে।

১৩ সদস্যের বিশাল দল নিয়ে এসেছেন তরুণ আব্দুল মোতালেব। টিকিট কাটার সময় এই তরুণ বলেন, মূলত বন্ধুবান্ধব নিয়ে ঈদে বেড়ানোর জন্যই এসেছি। দেখা যাক কেমন কাটে দিনটা।

১২৩ একরের বেশি জায়গা জুড়ে চিড়িয়াখানার অবস্থান। মূল ফটক দিয়ে প্রবেশের পরে পাখির খাঁচা। বক, কালিম পাখি, গ্রেটার ফ্লেমিঙ্গো, পেলিকানসহ বিভিন্ন প্রজাতির কয়েক 'শ পাখি রয়েছে সেই খাঁচায়। সেখান থেকে বাঁ দিকে এগোলেই বাঘ–সিংহের খাঁচা। শিশুদের অনেকেই বাঘের খাঁচার বাউন্ডারির রেলিং ধরে বাঘ দেখেছে। 

চিড়িয়াখানার বিভিন্ন খাঁচায় আরও আছে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণি, পাখি ও সাপ। হাতি, গন্ডার, জিরাপ, জেব্রা, জলহস্তী, ময়ূর, সাদা কাকসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পশুপাখি। একটি খাঁচায় বিলুপ্তপ্রায় গাধাও আছে কয়েকটা।

সেসব খাঁচা ঘুরে ঘুরে দেখছেন দর্শনার্থীরা। এক খাঁচার পাখি-প্রাণী দেখা শেষ হলে অন্যটির উদ্দেশে ছুটছেন তাঁরা। চিড়িয়াখানার পুরো এলাকা বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালায় ভরা। তীব্র রোদে ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত হলে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছেন অনেক দর্শনার্থী।

তবে চিড়িয়াখানার ভেতরে খাবারের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় একটি ক্যান্টিন থাকলেও সেটা বন্ধ দেখা যায়। আগত দর্শনার্থীরা এখানে এসে প্রবেশ মুখের ক্যান্টিনগুলো থেকে ভরপেট খেয়ে ভেতরে ঢুকছেন। বেশিরভাগই বাসা থেকে রান্না করা খাবার নিয়ে এসেছেন। অনেকটা পথ হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত হয়ে পড়লে অথবা ক্ষুধা লাগলেই পরিবার-পরিজনসহ খেতে বসে যাচ্ছেন। বিশ্রামাগার কিংবা ঘাসের মধ্যে চাদর বিছিয়ে গোল হয়ে বসে করছেন খাবারের আয়োজন। এটা যেন ঈদের আনন্দের মধ্যে আরেকটা আনন্দ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এস ছ ন পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

এভাবে ‘চিকেনপাতুরি’ রান্না করেছেন?

ভাত অথবা রুটির সঙ্গে খেতে পারেন চিকেনপাতুরি। গরম ভাত বা পোলাওয়ের সঙ্গে খেতেও বেশ ভালো লাগে এই পদ। সহজেই এই পদ তৈরি করা যায়। এর জন্য অল্প কয়েকটি উপকরণ লাগে যেমন—বোনলেস চিকেন, রসুন বাটা, কাঁচা মরিচ বাটা, লেবুর রস, চিকেন মশলা, গরম মশলার গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, পেঁয়াজ কুচি, তেল ও লবণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক চিকেনপাতুরির রেসিপি।

প্রথম ধাপ: চিকেনের টুকরোগুলো ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার একটি পাত্রে সব বাটা মশলা, লবণ, লেবুর রস দিয়ে কয়েক ঘণ্টা ম্যারিনেট করুন। তারপর ফ্রিজের নরমাল চেম্বারে আধাঘণ্টার জন্য রেখে দিন।

আরো পড়ুন:

ওভেন ছাড়াই তন্দুরি চিকেন বানিয়ে নিন

রক্তস্বল্পতা কমায় হাঁসের মাংস

দ্বিতীয় ধাপ: কড়াইতে তেল গরম করে নিন। তেল গরম হয়ে গেলে পেঁয়াজ কুচি লাল করে ভেজে নিন।এবার এই পেঁয়াজ বেরেস্তা মিশিয়ে দিন ম্যারিনেট করে রাখা মাংসে। তারপর মাংস কিছুক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে।

তৃতীয় ধাপ: মাংস  কষানো হয়ে গেলে কলা পাতার মধ্যে চিকেন ঢেলে দিতে হবে। ভালো করে মুড়িয়ে কলাপাতা সুতা দিয়ে বেঁধে দিন। আলাদা একটা কড়াইতে ভালো করে তেল ব্রাশ করে নিন। মুড়িয়ে রাখা চিকেন তেল মাখানো কড়াইতে বসিয়ে দিন। চুলার আঁচ কমিয়ে রাখুন, এভাবে ২০ ঢাকা দিয়ে রান্নাটা করুন।

শেষ ধাপ: আরও ১০ মিনিট পর কড়াইয়ের ঢাকনা খুলে দিন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেলো চিকেনপাতুরি।

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ