মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের বাইরে একটি শহরতলিতে গ্যাস পাইপলাইন ফেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় এখনো হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার অনলাইন এ তথ্য জানিয়েছে।

মঙ্গলবার সেলাঙ্গর রাজ্যের মধ্যাঞ্চলীয় পুত্রা হাইটসে একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে আগুনের সূত্রপাত।

জাতীয় তেল কোম্পানি পেট্রোনাস জানিয়েছে, সকাল ৮ টা ১০ মিনিটে তাদের একটি গ্যাস পাইপলাইনে আগুন লাগে।

সেলাঙ্গর ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত সুবাং জায়ার পুত্রা হাইটসের জালান পুত্রা হারমোনিতে গ্যাস পাইপলাইনে অগ্নিকাণ্ডে ১৯০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিভাগের পরিচালক ওয়ান রাজালি ওয়ান ইসমাইল বলেন, আগুনে ১৪৮টি গাড়ি এবং ১১টি মোটরসাইকেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সংস্থাটির মহাপরিচালক নর হিশাম মোহাম্মদ বলেছেন, আগুনের শিখা ৩০ মিটার উচ্চতায় পৌঁছেছিল, তাপমাত্রা এক হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল।

তিনি জানান যে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিট নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করে।

সরকারি সংবাদমাধ্যম বারনামা জানিয়েছে, কাম্পুং টেঙ্গাহ, কাম্পুং কেনগান এবং কাম্পুং সুঙ্গাই বারুতে ৫০টিরও বেশি বাড়ি গ্যাস পাইপলাইন বিস্ফোরণ এবং পরবর্তীতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ