শুনেছি লাখের কাছাকাছি ‘আওয়ামী সন্ত্রাসী’ ভারতে আশ্রয় নিয়েছে: তথ্য উপদেষ্টা
Published: 1st, April 2025 GMT
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, এখনও হাসিনা ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছেন। ভারত খুবই আনফরচুনেটলি হাসিনা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে আশ্রয় দিচ্ছে। আমরা শুনতে পেয়েছি- লাখের কাছাকাছি ‘আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী’ ভারতে আশ্রয় নিয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মানবাধিকার সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ এর কার্যালয়ে ‘গুম ও খুনের’ শিকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও মিলনমেলায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মাহফুজ আলম বলেন, এখানে আওয়ামী লীগ শুধু বাংলাদেশের জনগণের শত্রু। এ ভিন্ন এদের কোনো পরিচয় নেই। এটা কোনো রাজনৈতিক দল না, এটা একটা মাফিয়া গোষ্ঠী ছিল। এর প্রধান ছিলেন শেখ হাসিনা। যিনি বাবা হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার নামে দেশের জনগণের ওপর ভারতের সহযোগিতায় এ অত্যাচার নিপীড়ন চাপিয়ে দিয়েছিলেন।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, কোনোদিন আর আওয়ামী লীগকে এ দেশে রাজনৈতিকভাবে দাঁড়াতে দেব না, এটা আমাদের অঙ্গীকার। আওয়ামী লীগ আমলে ‘গুমের বিভিন্ন তথ্য’ তুলে ধরে এ সরকারের আমলে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। গুম ঘরের মতো পুরো বাংলাদেশেই আয়নাঘর ছিল। আমরা আসলে দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছি। আমরা আসলেই মুক্ত হয়েছি।
‘গুম’ হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা হাজারের উপরে দাবি করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, অধিকাংশ ফ্যামিলি কাউকে খুঁজে পায়নি, গুম কমিশন বলেছে। অনেককে গুম করে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেকে ভারতের কারাগারে ছিলেন। ওরা এখানেই ছিল, এখান থেকে অনেককে ভারতে পাচার করে দেওয়া হয়েছে।
মাহফুজ আলম বলেন, এমন একটা ব্যবস্থা চালু হয়েছিল, যেটা আসলে একটা যুদ্ধাবস্থার মত। এখানে যারাই রাজনৈতিক বিরোধিতা করেছে তাদের সন্ত্রাসী, জঙ্গি, অগ্নি সন্ত্রাসী, আরও অনেক ট্যাগ দিয়ে গুম করা, তাদের স্বজনদের আতঙ্কগ্রস্ত রাখাটাকে স্বাভাবিক করে তোলা হয়েছিল। এটা এমন ছিল যে ওরা যেহেতু সন্ত্রাসী, ওদেরকে মারাই যায়।
তথ্য উপদেষ্টার দাবি, শেখ হাসিনা পুরো দেশের ওপরেই জঙ্গিবাদ চাপিয়ে দিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা বলছি না যে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ বা মিলিটেন্সি, চরমপন্থার কোনো বাস্তবতা নেই। বাস্তবতা আছে হয়ত। কিছু বাস্তবতা ছিল বিভিন্ন সময়ে ধর্মীয় বা বিভিন্ন উগ্রপন্থা ছিল এবং হয়ত আছেও। এটাকে মোকাবিলার পথ খুবই স্পেসিফিক এবং তার দায়িত্ব স্পেসিফিক লোকদের। কিন্তু হাসিনা এটা দেশের জনগণের ওপরে চাপিয়ে দিয়েছে, দেশের জনগণকেই সন্ত্রাসী জঙ্গি এবং রাষ্ট্রবিরোধী হিসেবে পোট্রেই করা হয়েছিল।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
লন্ডন বৈঠকে অবিশ্বাস দূর, সরকারের সম্মানজনক প্রস্থানের পথ সুগম হবে: সাইফুল হক
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক দেশে আগামী সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক অচলাবস্থা, সন্দেহ ও অবিশ্বাস দূর করবে বলে আশা করছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। আজ শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এ কথাগুলো বলেন তিনি।
লন্ডনে দুই নেতার বৈঠকের বিস্তারিত সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করারও আহ্বান জানিয়েছেন সাইফুল হক।
সরকারের এই উদ্যোগ বিলম্বিত বোধদয়ের ফল বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। সাইফুল হক বলেন, আরও আগে সরকারের এই বোধদয় হলে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্ক ও রাজনৈতিক বিরোধ এড়িয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ মৌলিক কাজে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া যেত।
সব অংশীজনকে আস্থায় নিয়ে সরকারকে কাজ করার আহ্বান জানান সাইফুল হক। তিনি বলেন, এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের সম্মানজনক প্রস্থানের রাস্তা সুগম হলো।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাইফুল হক বলেন, দেশের মানুষের অধিকার ও মুক্তি অর্জনে তাঁর দল জনগণের ভালোবাসা নিয়ে আগামীতে আপসহীন ধারায় সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল ও মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক। সমাবেশে সংহতি জানান গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের আহবায়ক শেখ আবদুর নূর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম মীর, রেজাউল আলম, ফিরোজ আলী, কেন্দ্রীয় সংগঠক আইয়ুব আলী, বাবর চৌধুরী, ঢাকা মহানগর কমিটির নেতা মো. সালাউদ্দীন, মিজারুল রহমান ডালিম, আরিফুল ইসলামসহ পার্টির ঢাকা মহানগরের নেতারা।