ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ জামালের মরদেহ উদ্ধার
Published: 2nd, April 2025 GMT
ঈদ উপলক্ষে পটুয়াখালীর গলাচিপায় ফুটবল খেলা শেষে ফেরার পথে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ জামাল শরীফের (২৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা। আজ বুধবার সকাল ৭টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল পাতাবুনিয়া সংলগ্ন নদী থেকে তার উদ্ধার করা হয়।
জামাল শরীফ রতনদী তালতলী ইউনিয়নের দক্ষিণ নিজ হাওলা গ্রামের মো. কালাম শরীফের ছেলে।
এলাকাবাসী জানান, ঈদ উপলক্ষে একদল যুবক পার্শ্ববর্তী উপজেলা দশমিনার পাতারচরে ফুটবল খেলতে যান। খেলা শেষে ট্রলারযোগে বাড়ি ফেরার পথে মাঝনদীতে ট্রলারটি হঠাৎ ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা ২০-২৫ জন যাত্রীর মধ্যে সবাই সাঁতরে তীরে উঠলেও জামাল নিখোঁজ হন। ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ শুরু করলেও নদীর স্রোত ও গভীরতা এবং রাত হয়ে যাওয়ায় উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয়। আজ সকালে আবারও উদ্ধার কাজ শুরু হলে সকাল ৭টার দিকে নিখোঁজ জামালের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে রতনদী তালতলী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো.
গলাচিপা ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার সৌরভ বালা জানান, নিখোঁজ জামালের মরদেহ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা। আইনী প্রক্রিয়া শেষ করে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে ঢাকাগামী টিকিটে বাড়তি ভাড়া আদায়, ৩ কাউন্টারকে জরিমানা
রাজশাহীতে ঈদফেরত যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে তিন বাস কাউন্টারকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় উপস্থিত যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দেওয়া হয়।
শুক্রবার দুপুরে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় রাজশাহী বিআরটিএর পক্ষ থেকে এই অভিযান চালানো হয়। বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলপনা ইয়াসমিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
অভিযানে দেশ ট্রাভেলস, গ্রামীণ ট্রাভেলস ও ন্যাশনাল ট্রাভেলসের প্রত্যেক কাউন্টারকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
জানা গেছে, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি কয়েকজন যাত্রী গোপনে সেনাবাহিনীকে অভিযোগ করেন। পরে কাউন্টার থেকে আদায় করা অতিরিক্ত টাকা তাদের ফেরত দেওয়া হয়েছে।
বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেট আলপনা ইয়াসমিন বলেন, কথা ছিল ঈদ উপলক্ষে পরিবহন মালিক সমিতি নতুন করে ভাড়া নির্ধারণ করবে। ভাড়া ঈদের আগে ও পরে একইরকম হওয়ার কথা। কিন্তু এই তিনটি গাড়ির কাউন্টারের এসি গাড়ির ভাড়া অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে। ঈদের আগে তাদের এসি গাড়ির ভাড়া ছিল ১ হাজার ১০০ টাকা। কিন্তু ঈদের পরে তা বাড়িয়ে ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা নেওয়া হচ্ছিল। এ অপরাধের জন্য আইনে সর্বোচ্চ জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে ১০ হাজার টাকা। কাউন্টারগুলোকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার হিমাচল ট্রাভেলস ও হানিফ ট্রাভেলস নন এসি ভাড়া বেশি আদায় করেছিল। হানিফ ট্রাভেলসের চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকার ভাড়া ছিল ৮৩০ টাকা। কিন্তু তারা রাজশাহী থেকেই ওই পরিমাণ ভাড়া আদায় করছিল। হিমাচল ট্রাভেলসের কোনো কাউন্টার ছিল না। তারা অন্য বাসের সঙ্গে মিলে যাত্রী পরিবহন করছিল। এই দুটি বাসকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
শুক্রবার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় সম্পর্কে জানতে চাইলে দেশ ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপক মাসুদ রানা বলেন, সারা বছর ডিসকাউন্ট দিয়ে ১ হাজার ১০০ টাকায় যাত্রী পরিবহন করেন। ঈদ উপলক্ষে তারা সেই ডিসকাউন্ট উঠিয়ে দিয়েছেন। সেই কারণেই ভাড়া ১ হাজার ৭০০ টাকা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ম্যাজিস্ট্রেট আলপনা ইয়াসমিন বলেন, তারা মিটিংয়ের সময় এই কথাটা বলেননি। তাই তাদের জরিমানা করা হয়েছে।