কেমব্রিজ ডিকশনারির এক ‘বিশেষ ঘোষণা’ নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে হইচই পড়েছিল। নানা রকম মন্তব্য, আলোচনা, সমালোচনাও হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) কেমব্রিজ ডিকশনারির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়, ‘আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা আপনাদের জানাচ্ছি। কেমব্রিজ ডিকশনারি থেকে ইংরেজি বর্ণমালার কিউ (Q বা q) অক্ষরটি সরিয়ে ফেলা হবে!’ এর বদলে কোন শব্দ ব্যবহার করা হবে, তাও বলা হয় পোস্টে।

আসলে গতকাল মঙ্গলবার ছিল ১ এপ্রিল। এই দিনে মজার ছলে নেটিজেনদের ‘এপ্রিল ফুল’ বানাতে কেমব্রিজ ডিকশনারি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ওই পোস্ট দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনজাপান–বিশ্বব্যাংক গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ, ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা৩১ মার্চ ২০২৫

কেমব্রিজ ডিকশনারি কর্তৃপক্ষের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের ‌এই বিশেষ ঘোষণায় হইচই পড়ে যায় নেটিজেনদের মধ্যে। অনেকে নানা ধরনের মন্তব্য করতে শুরু করেন। তবে কিছুক্ষণ পরই আসল রহস্য বা তথ্য বেরিয়ে আসে। আসলে মজার ছলে নেটিজেনদের ‘এপ্রিল ফুল’ বানাতে এ পথ বেছে নিয়েছিল কেমব্রিজ ডিকশনারি ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের অ্যাডমিন। আসলে ‘কিউ’ শব্দটি থাকছে আগের মতোই। অনুসারীদের বোকা বানাতে এমন পোস্ট দেওয়া হয়েছিল।

কেমব্রিজ ডিকশনারি থেকে ইংরেজি বর্ণমালার ১৭তম অক্ষর কিউ (Q বা q) সরিয়ে ফেলা–সংক্রান্ত প্রথম পোস্টে ‘আমাদের কমিউনিটির জন্য একটি বিশেষ ঘোষণা’ শিরোনামে বলা হয়, ‘আজ আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত শেয়ার করতে এসেছি। আমাদের কমিউনিটির সদস্যরা সব সময় ইংরেজি বানান নিয়ে সমস্যায় পড়েন, বিশেষ করে “q” অক্ষর দিয়ে বানান করা শব্দগুলোর সঙ্গে। তাই আমরা কেমব্রিজ ডিকশনারি থেকে “q” অক্ষরটি সরিয়ে ফেলব।’ q অক্ষরের পরিবর্তে কোন অক্ষরটি ব্যবহার করা হবে, সেটিও জানিয়ে বলা হয়, ‘বর্তমানে “qu” দিয়ে বানান করা সব শব্দের পরিবর্তে “k” অথবা “kw” দিয়ে বানান করা হবে। উদাহরণস্বরূপ- kwiet, ekwipment ও antike।’

‘এপ্রিল ফুল’ প্রাঙ্কে কেমব্রিজ ডিকশনারি এমন পথ বেছে নেওয়ায় অনুসারীদের তোপের মুখেও পড়তে হয়। নানা সমালোচনা করে অনেকেই এটিকে ‘ফালতু’পদ্ধতি বলে মন্তব্য করেছেন। অনেকে পেজটিকে আনফলো করার কথাও বলেছেন। কেউ কেউ কিউ অক্ষের বানানগুলো ‘কিউইউ’ বা ‘কে’ দিয়ে লিখে মন্তব্য করেছেন।

আরও পড়ুনকুইনস কমনওয়েলথ রচনা প্রতিযোগিতা, অংশ নিয়ে ইংল্যান্ড ভ্রমণের সুযোগ ৫ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুন ইয়ার্ন ইঞ্জিনিয়ারিং-ফেব্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং-অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা, আবেদনের সুযোগ আরও ২০ দিন৩০ মার্চ ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভ র ফ য় ড ফ সব ক প জ ন ট জ নদ র

এছাড়াও পড়ুন:

মেঘনার পাড়ে ‘আড়াই ঘণ্টার হাট’, দৈনিক বেচাকেনা ২৫-২৬ লাখ টাকার টাটকা মাছ

মেঘনা নদীর তীরে প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে দুই দফায় মোট আড়াই ঘণ্টার জন্য বসে হাটটি। এই অল্প সময়ে প্রতিদিন গড়ে বেচাকেনা হয় প্রায় ২৫ থেকে ২৬ লাখ টাকার তাজা মাছ। জেলে, আড়তদার ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের হইচই আর হাঁকডাকে মুখর থাকে হাটটি।

এই হাটের অবস্থান চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল এলাকায় মেঘনা-ধনাগোদা বেড়িবাঁধের পশ্চিম পাশে। এটি ‘বাবুরবাজার হাট’ নামে পরিচিত। প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এবং বেলা সাড়ে ৩টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এই হাট বসে। স্থানীয় লোকজনের চাহিদা মিটিয়ে এখান থেকে মাছ যায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লাসহ আশপাশের আরও কয়েকটি জেলা-উপজেলায়।

গতকাল শুক্রবার সকালে বাবুরবাজার হাটে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে অনেক লোকের জটলা, হইচই ও কোলাহল। আড়তদার, পাইকার ও সাধারণ ক্রেতাদের দর-কষাকষি ও হাঁকডাকে পরিবেশ জমজমাট। মেঘনার তীরে ভেড়ানো নৌকা থেকে জেলেরা ডালায় করে ছোট-বড় বিভিন্ন মাছ এনে রাখছেন আড়তদারদের কাছে। তাঁর কাছ থেকে ওই মাছ কিনছেন পাইকারি ও খুচরা ক্রেতারা। ইলিশ, পাঙাশ, রুই, কাতলা, চেউয়া, বাইলা, রিঠা, পোয়া, চাপিলা, শিং ও শিলংসহ আরও নানা জাতের মাছ উঠছে সেখানে। দরদাম শেষে ক্রেতারা আড়তদারদের কাছ থেকে সেগুলো কিনছেন।

ইলিশ, পাঙাশ, রুই, কাতলা, চেউয়া, বাইলা, রিঠা, পোয়া, চাপিলা, শিং ও শিলংসহ আরও নানা জাতের মাছ ওঠে এই হাটে। গতকাল শুক্রবার সকালে তোলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেঘনার পাড়ে ‘আড়াই ঘণ্টার হাট’, দৈনিক বেচাকেনা ২৫-২৬ লাখ টাকার টাটকা মাছ