পটুয়াখালী জেলা কারাগারের ব্যারাক থেকে শাজিদুল ইসলাম (৪২) নামের এক কারারক্ষীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টায় রোল কলের সময় শাজিদুল ইসলামকে উপস্থিত না পেয়ে সহকর্মীরা খোঁজ নিতে শুরু করেন। একপর্যায়ে ব্যারাকে গিয়ে তার কক্ষের দরজা বন্ধ দেখতে পান তারা। এসময় ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া-শব্দ পাওয়া যায়নি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে শাজিদুলকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

পটুয়াখালী জেলা কারাগারের জেল সুপার মো.

মাহবুবুল আলম বলেন, ‘‘ঘটনার বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। কী কারণে আত্মহত্যা করতে পারেন, সে জন্য তার সহকর্মী ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।’’

পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ বলেন, ‘‘শাজিদুল ইসলামের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের বিষয়ে আমরা অবগত। তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/ইমরান/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে প্রেম করার আগে জেনে রাখুন

আমরা যাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করি, তাঁদের দিনের বড় একটি অংশ সহকর্মীদের সঙ্গেই কাটে। আসা–যাওয়া আর ঘুমের সময়টুকু বাদ দিলে দেখা যাবে, পরিবারের সদস্যদের চেয়ে তাঁদের সঙ্গেই কাটছে বেশি সময়। স্বাভাবিকভাবেই সহকর্মীদের সঙ্গে একধরনের সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়, তাঁরা হয়ে ওঠেন বন্ধু, মনের কথা ভাগ করে নেওয়ার সঙ্গী। কখনো কখনো এই সম্পর্ক পেশাগত সীমারেখাও ছাড়িয়ে যায়।

প্রশ্ন হলো, সহকর্মীদের সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রে এই সীমারেখা কোথায় টানতে হবে? অফিসে বা বাইরে বিপরীত লিঙ্গের সহকর্মীর সঙ্গে কোন কথাটা বলা যাবে, কোন ঠাট্টাটা করা যাবে, মোটের ওপর কতটা মেলামেশা করা যাবে?

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে কোল্ডপ্লের কনসার্ট দেখতে গিয়ে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ক্যামেরায় ধরা পড়েন মার্কিন সফটওয়্যার সংস্থা অ্যাস্ট্রোনোমার প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি বায়রন ও সংস্থাটির এইচআর প্রধান ক্রিস্টিন ক্যাবট। যাঁদের দুজনেরই রয়েছে আলাদা পরিবার। তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অফিসের ক্ষেত্রে সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে, একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের মধ্যের সম্পর্ক নৈতিকতার কোন মানদণ্ড মেনে চলবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

সহকর্মীর সঙ্গে কেমন আচরণ করবেন সেসব নিয়ে প্রতিটি ভালো অফিসেই আচরণবিধি থাকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কর্মক্ষেত্রে বুলিং: শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
  • অফিসে প্রেম করার আগে জেনে রাখুন