মোহাম্মদপুর থানার কাছে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর, মুঠোফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগ
Published: 4th, April 2025 GMT
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার কাছে একদল ব্যক্তি একজন পুলিশ কর্মকর্তা ও তাঁর দুই স্বজনকে মারধর করে একটি মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ব্যক্তিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন সারদায় মৌলিক প্রশিক্ষণরত সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সাজিদ বিন কামাল (২৮), তাঁর দূরসম্পর্কের দুই চাচাতো ভাই তৌহিদুর রহমান ওরফে ফাহিম (২৭) ও বিপুল (২৭)।
পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মোহাম্মদপুর থানার কাছে আল্লাহ করিম মসজিদসংলগ্ন তিন রাস্তার মোড়ে এএসপি সাজিদ বিন কামালকে বহনকারী একটি প্রাইভেট কারের (ঢাকা মেট্রো গ- ১৯-২৩২৩) সঙ্গে একটি মোটর সাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেলটি সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হলে ওই মোটরসাইকেলের আরোহীসহ অপর দুই-তিনটি মোটরসাইকেলের আরোহীরা প্রাইভেট কারটি ধাওয়া করে আটকানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে রাস্তার পাশে থাকা বড় বোর্ডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রাইভেট কারের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। এ সময় ১০-১২ জন প্রাইভেট কারে থাকা এএসপি সাজিদ বিন কামাল ও তাঁর দূরসম্পর্কের চাচাতো ভাই তৌহিদুর (২৭) ও বিপুলকে (২৭) মারধর করেন। তাঁরা পুলিশ কর্মকর্তা সাজিদ বিন কামালের কাছ থেকে মুঠোফোন ছিনতাই করে নিয়ে যান। পরে সাজিদ বিন কামালসহ তিনজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
আজ শুক্রবার বিকেলে যোগাযোগ করা হলে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান প্রথম আলোকে বলেন, এএসপি সাজিদ বিন কামাল তাঁর আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে গতকাল রাতে খুলনা থেকে একটি প্রাইভেট কারে ঢাকায় আসেন। এ সময় তাঁকে বহনকারী গাড়িটি একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এতে পুলিশ কর্মকর্তা সাজিদ বিন কামাল সামান্য আহত হন। তবে তাঁর কাছ থেকে যে মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে তিনি জানেন না। এ বিষয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম হ ম মদপ র থ ন র প ল শ কর মকর ত
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার ৫ জন কারাগারে
রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহনকারী ‘ক্ষণিকা’ বাসে হামলার ঘটনায় করা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ বুধবার আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠান।
বাসে হামলার এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন বিভাগের একজন কর্মকর্তা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে উত্তরা পশ্চিম থানা–পুলিশ। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
ওসি হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত একজনের পরিকল্পনায় নাশকতার উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহনকারী ক্ষণিকা বাসে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে মামলা হয়। সেই মামলায় জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি হাফিজুর রহমান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, গত রোববার (২৭ এপ্রিল) উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে বিআরটিসির ট্রাকের চাপায় একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় কিছু শিক্ষার্থী ও বহিরাগত ব্যক্তিরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহনকারী ক্ষণিকা বাসে হামলা ও ভাঙচুর চালান। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
জনসংযোগ দপ্তর আরও বলেছে, হামলার ঘটনায় অভিযোগ জানাতে মঙ্গলবার রাতে উত্তরা পশ্চিম–থানায় যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান ও প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ। উপাচার্য শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আটক করতে অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুনঢাবির ‘ক্ষণিকা’ বাসে হামলা, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও ছাত্রসংগঠনগুলোর নিন্দা২২ ঘণ্টা আগে